ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি কাল সারাদেশে হরতাল ডেকেছে

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

বিএনপি কাল সারাদেশে হরতাল ডেকেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামীকাল সোমবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি, শনিবারের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধার প্রতিবাদ, গাজীপুরের জনসভা বানচাল এবং ১৪৪ ধারার মধ্যেই ক্ষমতাসীনদের মিছিল, বিক্ষোভের দ্বৈত নীতির প্রতিবাদে এ হরতালের ডাক দেয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনে কার্যালয়ে জোটের মহাসচিবদের বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এ্যাম্বুলেন্স, মিডিয়ার গাড়ি ছাড়াও জরুরী সেবাসমূহের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে। তবে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে অন্যান্য দলের মহাসচিব হাজির হলেও সেখানে জোটের অন্যতম শরিক ও বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর কেউ হাজির ছিলেন না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান, জাতীয় পার্টির আহসান হাবিব লিঙ্কন, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদি, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, এনপিপির মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে ওলামা ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ডিএলের খোকন চন্দ্র দাস, বিজেপির সালাহউদ্দিন মতিন প্রভাষ, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম প্রমুখ। এদিকে বিএনপির ডাকা হরতাল মোকাবেলায় আজ রবিবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরী বৈঠক ডেকেছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। বিষয়টি জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেন নগর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গাজীপুরে বিএনপির সমাবেশে বাধা দিতে সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শনিবার সেখানে হরতাল পালন করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে ২০ দলীয় জোটের বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বাধা দেয়া হয়েছে। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদেই এ হরতালের ডাক দেয়া হয়েছে। গাজীপুরে খালেদা জিয়ার সমাবেশ প-ের জন্য সরকারকে দায়ী করে মির্জা ফকরুল বলেন, একদিকে ছাত্রলীগকে দিয়ে খালেদা জিয়ার জনসভা বানচালে ১৪৪ ধারা জারি, অন্যদিকে আজ এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ছাত্রলীগ পুলিশের সহায়তায় মিছিল করেছে। সরকারের এহেন দ্বৈতনীতির নিন্দা জানাই। সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে ৫টি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চক্রান্ত চলছে। একইভাবে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। কেবল তাই নয়, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক, হবিগঞ্জের মেয়র জি কে গউস, গাজীপুরের মেয়র এম এ মান্নান, রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ বিভিন্ন নির্বাচিত মেয়র ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। তিনি খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে গত ২৪ ডিসেম্বর বকশীবাজারের সংঘর্ষের জন্য বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানান। বলেন, কিভাবে ছাত্রলীগের পান্ডারা নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালিয়েছে। তা দেশবাসী দেখেছে। এখন উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে আবদুল আউয়াল মিন্টু, হাবিবউন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসানসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এ সময় তিনি চার বছরের শিশু জিহাদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও সমবেদনা জানান।
×