ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তিকারীদের বিচার করা হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তিকারীদের বিচার করা হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ২৭ ডিসেম্বর ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ইতিহাস বিকৃত করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করেছে, তাদের বিচার করা হবে। তাদের কুলাঙ্গার বলে অভিহিত করে তিনি বলেছেন, জনগণই তাদের বিচার করবে, তারা পার পাবে না। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত বিশ্বব্যাংকের কাছে আওয়ামী লীগকে দুর্নীতিবাজ বানাতে চেয়েছিল, তা তারা পারেনি। শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ভবনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া জেলার যেসব ইউনিটে কাউন্সিল এখনও হয়নি, সেগুলো দ্রুত শেষ করে বই আকারে তাঁর কাছে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় এসে পৌঁছান। দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি জাতির পিতার সমাধিবেদীতে ফুল দিয়ে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে কাছে ডেকে নেন সফরসঙ্গী ছোট বোন শেখ রেহানাসহ চাচাত ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি ও শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল এবং পরিবারের সদস্যদের। তারা একসঙ্গে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ কবীর হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, যুব মহিলা লীগ সভনেত্রী নাজমা আক্তার এমপি, উম্মে রাজিয়া কাজল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিকদার নূর মোহম্মদ দুলু ও শেখ রুহুল আমীন, সাধারণ-সম্পাদক চৌধুরী এমদাদুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন পান্না, জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপু, জাতীয় মহিলা সংস্থা গোপালগঞ্জের চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাছিমা আক্তার রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আবদুল হালিম, এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর, শেখ মোঃ ইউসুফ আলী, আবুল বশার খায়ের, সোলায়মান বিশ্বাস, বদরুল আলম বদর ও বিএম হাসান কবির সানু, সদর কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, মুজিবর রহমান হাওলাদার ও গাজী গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র এইচএম অহেদুল ইসলাম, সরদার ইলিয়াস হোসেন ও রেজাউল হক সিকদার (রাজু), জেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম সাহাবউদ্দিন আজম, ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল হামিদসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাত শেষে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে চলে যান মাজার-কমপ্লেক্সের বঙ্গবন্ধু ভবনে। সেখানে তিনি ডেকে নেন তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়াসহ সদর, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার দলীয় নেতৃবৃন্দকে। তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পৃথক পৃথকভাবে। প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থাকায় ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার মধ্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে ভিড় জমান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেন আড়াই ঘণ্টা দেরিতে। পরে মধ্যাহ্ন বিরতি, নামাজ ও বিশ্রাম শেষে বিকেল চারটা ২০ মিনিটে তিনি রওনা হন ঢাকার উদ্দেশে।
×