নিজস্ব সংবাদদাতা, দাউদকান্দি, কুমিল্লা, ২৬ ডিসেম্বর ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় মেঘনা সেতুর ওপর একটি লরি বিকল হয়ে পড়লে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় সেতুর উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। হাইওয়ে পুলিশ কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকল হওয়া লরিটি অন্যত্র সরিয়ে নিলে ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এদিকে রাত ৩টায় মহাসড়কের দাউদকান্দির বারপাড়ায় লরি ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ হলে ফের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে মহাসড়কের মেঘনা সেতু এলাকা থেকে চান্দিনা পেরিয়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়কে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট। রাত থেকে সৃষ্টি হওয়া এ যানজট শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। যানজটের কারণে মহাসড়কজুড়ে আটকা পড়া হাজার হাজার যানবাহনের যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। ৩০ টাকার বাস ভাড়া ৭০/৮০ টাকা, ১০ টাকার সিএনজি অটোরিক্সার ভাড়া ৪০ টাকা, রিক্সা ভাড়াও দ্বিগুণ। বহু যাত্রী কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও রিক্সা করে, কখনওবা সিএনজি করে ৮/১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন বলে যাত্রীরা জানান। যাত্রীদের ১ ঘণ্টার পথ যেতে সময় লেগেছে ৫/৬ ঘণ্টা। বিশেষ করে যাত্রীরা ছোট শিশু, ভারি মালামাল, ব্যাগ ও এ্যাম্বুলেন্সে রোগীদের নিয়ে পড়েন চরম বিপাকে। নাইট কোচের দূরগামী যানবাহনের যাত্রীদেরও পোহাতে হয়েছে চরম দুর্ভোগ। যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীরা সঠিক সময়ে পৌঁছতে পারেননি গন্তব্য স্থানে। যানবাহন চালকরা জানান, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও ঘন কুয়াশার কারণে ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ ও র্যাব-১১-এর সদস্যদের কাজ করতে দেখা গেছে। মধ্যরাত থেকে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ, দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশ, দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ, গৌরীপুর ফাঁড়ি পুলিশ ও ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশকে যানজট নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে দেখা যায়।
১৯ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ॥ স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা সেতু থেকে মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত ২০ কিমি দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা পর শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় মহাসড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। রাত পৌনে ৮টায় রেকারের মাধ্যমে মেঘনা সেতুর ওপর বিকল মালবাহী ট্রাকটি সরিয়ে নেয়ার পর যানজট কমতে থাকে।