ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পরাজয়ে স্লেজিংয়ের ভূমিকা নেই ॥ ধোনি

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪

পরাজয়ে স্লেজিংয়ের ভূমিকা নেই ॥ ধোনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ হলেই ক্রিকেটের সঙ্গে আরেকটি বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায়। সেটি হচ্ছে ‘স্লেজিং’। এ বিষয়ে একেবারে সিদ্ধহস্ত অসি ক্রিকেটাররা। ভারতের বিরুদ্ধে চলমান টেস্ট সিরিজেও এবার সফরকারীদের অসি সেøজিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। আর মাঠের নৈপুণ্যে সেটারও কিছু বিরূপ প্রভাব রয়েছে। টানা দুই টেস্টে দারুণ খেলেও হেরেছে ভারত। কিন্তু এ পরাজয়ের পেছনে সেøজিং কোন প্রভাব ফেলেনি বলে দাবি করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। বরং আগের দুই টেস্টে ভারতীয় দলের যে নৈপুণ্য তাতে করে আরও অনুপ্রাণিত ক্রিকেটাররা এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। আজ মেলেবোর্নে ‘বক্সিং ডে’ টেস্টে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-ভারত। আর এ ম্যাচে জয় ছাড়া কোন পথ খোলা নেই ধোনিবাহিনীর সামনে সিরিজে টিকে থাকার জন্য। ড্র করলেও ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় চার টেস্টের সিরিজ জয় করবে অসিরা। ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা বেশ অগ্নিশর্মা হয়েছিলেন পেসার মিচেল জনসনের ওপর। কারণটা জনসনের ভয়ঙ্কর পেস নয় বরং ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর ক্যারিশম্যাটিক নৈপুণ্য। সপ্তম উইকেটে তিনি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ভেন্যু সেরা ১৪৮ রানের জুটি গড়েন। নিজে মাত্র ৯৩ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় তুলে নেন ৮৮ রান। এরপর বোলিংয়েও জনসন পুরোপুরি টর্নেডো বইয়ে দিয়েছেন। তাঁর স্পেলের মধ্যে মাত্র ১১ বলেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটান তিন অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়ে। সাবেক অধিনায়ক সুনিল গাভাস্কার মনে করেন ক্রিকেটীয় লড়াইয়ের পাশাপাশি মৌখিক লড়াইটাকে অগ্রাহ্য করতে হবে ভারতীয় দলকে। আর শুধু সেক্ষেত্রেই জয়টা আসতে পারে। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে অধিনায়ক ধোনি বলেন, ‘আমি মাঠে সামান্য কথা বিনিময়টাকে বরং ভালই মনে করি। এটা ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যদি গাইডলাইনটা অনুসরণ করে এসব করা হয় সেক্ষেত্রে আসলে বিরক্তি উৎপাদন হওয়ার কিছু নেই। এ ধরনের হালকা কথাবার্তা আমাদের পারফর্মেন্সে কোন প্রভাব ফেলার কারণ নেই।’ অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার দুই টেস্টেই ছিলেন দুরন্ত ব্যাট হাতে এবং মৌখিক মন্তব্যে। তিনি জানিয়েছেন কোনভাবেই এ দুটি আচরণ থেকে নড়তে পারবেন না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তাঁদের ওপর চড়াও হতে পছন্দ করি। চেষ্টা করি তাঁরাও যেন উল্টো আমার প্রতি চড়াও হওয়ার মনোভাব দেখায়। যখন আমি ব্যাট করি কিংবা মাঠে থাকি এটা সত্যি কার্যকর হয়।’ এ্যাডেলেইডে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ‘নো বলে’ বোল্ড হওয়ার পর তিনি বেশ চটে গিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের ওপর। এ জন্য ভারতের শিখর ধাওয়ান ও কোহলির পাশাপাশি তাঁকেও জরিমানা গুনতে হয়েছে। এ বিষয়ে অধিনায়ক স্মিথ বলেন, ‘ডেভিডের মতো মানুষ কিছুটা কথা বলতেই পছন্দ করেন। আমি আসলে এ বিষয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না। সে সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা নিজেরাই এমন করছিল। এসবই তাঁরা করেছে আমাদের উদ্দেশ্য করে। আশা করছি এবার তাঁরা সেসব থেকে বিরত থাকবে।’ অভিযোগ আছে গাব্বা টেস্টে কোহলি এবং ধাওয়ানকে কিছুটা আলাদাই রাখতে হয়েছিল দলের পরিচালক রবি শাস্ত্রীকে। কারণ দু’জনই বলের আঘাত পেয়েছিল। কিন্তু এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ধোনি। তিনি বলেন, ‘যদি দলের কেউ এমনটা বলে থাকেন তাহলে আমি জানতে চাইব কে সে? তিনি হয়ত কোন চলচ্চিত্র কোম্পানিতে কাজ করেন। আমাদের ড্রেসিং রুমে তাঁর থাকার অধিকার নেই। কারণ এ ধরনের কিছু ঘটেনি কিন্তু ভেতরে ভেতরে তিনি কিছু পরিবর্তন ঘটাতে চাচ্ছেন।’
×