ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২৯ লাখ টাকা হাতিয়ে উধাও হজ এজেন্সি

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪

২৯ লাখ টাকা হাতিয়ে উধাও হজ এজেন্সি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর ২৪ হাজীর ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। মনিরুল ইসলাম ঢাকাস্থ খাদেমুল হারামাইন নামে একটি হজ এজেন্সির রাজশাহী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। রাজশাহীতে জিয়ারতে হারামাইন নামে একটি শাখা অফিস ছিল। সে রাজশাহী গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌর এলাকার কুন্দুলিয়া পাড়ার হাসান আলীর ছেলে। এ ঘটনায় চারঘাট থানায় মামলা ও জেলা পুলিশ সুপার অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন প্রতারণার শিকার হাজীরা। মামলার পর থেকে মনিরুল ইসলাম আত্মগোপনে রয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতবার হজে যাওয়ার সময় দেশের ৬৩১ হাজী বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়। এর মধ্যে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ২৪ হাজী ছিলেন। এদের সবাই জিয়ারতে হারামাইন হজ এজেন্সির মাধ্যমে এজেন্সির চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ও এজেন্সির চারঘাট প্রতিনিধি রবিউল ইসলামের মাধ্যমে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা করে চুক্তি অনুযায়ী দেন। গত ২২ সেপ্টেমর তাদের হজ ক্যাম্পে না নিয়ে গিয়ে রাখা হয় ঢাকার একটি হোটেলে। মনিরুল ইসলাম বিমানের টিকেটের জন্য সেখানে হাজীদের কাছ থেকে আরও ১০ হাজার টাকা করে সংগ্রহ করে আত্মগোপনে চলে যায়। প্রতারণায় পড়ে ৪৪ হাজী বিপদে পড়ে যান। ওই ৪৪ জনের মধ্যে ২০ জনকে সরকারী খরচে পাঠানো হলেও বাকি ২৪ জন আরও এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিমানের টিকিট সংগ্রহ করে হজ সম্পাদন করেন। গত ৯ অক্টোবর মক্কাস্থ বাংলাদেশ হজ অফিসে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী হাজীরা অভিযোগ দায়ের করেন। পরে হজ শেষ করে ১৮ নবেম্বর চারঘাট থানায় ২৪ জনের এক লাখ ২০ হাজার টাকা করে মোট ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে পরে চারঘাট থানা থেকে পুলিশ সুপারের হাত ঘুরে ফাইল আসে বোয়ালিয়া থানায়। এরপরে পুলিশের আর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এদিকে প্রশাসনের কোন শক্ত পদক্ষেপ না দেখে ভুক্তভোগী হাজীরা রাজশাহী হাজী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুস সামাদের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ইনছান আলী জানান, অনেক কষ্ট করে তিনি হজের জন্য টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। হজে যাওয়ার মতো ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে মনিরুল ইসলাম বাবলু তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। মনিরুল ইসলাম কাছে অর্থ ফেরত চাইলে আজ দিব কাল দিব বলে দিন পার করতে থাকে। পরে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। এখন কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
×