ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়ায় ৪৬ কেজিতে মণ! ঠকছে কৃষক

প্রকাশিত: ০৩:২৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

কলাপাড়ায় ৪৬ কেজিতে মণ! ঠকছে কৃষক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২২ ডিসেম্বর ॥ কোন হিসাব মেলাতে পারছেন না কৃষক। ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে এক মণ ধান। দিতে হচ্ছে ৪৬ কেজি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ ফড়িয়া-দালালরা সব জিম্মি করে কৃষকের একমণ ধানে ৬ কেজি করে বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে। ওজনের ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগী এ চক্রটি ফ্রি-স্টাইলে এমন কারচুপি করে যাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের চরম উদাসীনতা এবং অব্যবস্থাপনায় শুধুমাত্র সাগরপারের কলাপাড়া থেকে এ বছর চার লাখ ৭৯ হাজার মণ ধান বেশি হাতিয়ে নয়া হচ্ছে। যার মূল্য প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। ওজনের ক্ষেত্রে মিটার পদ্ধতি ব্যবহারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু মানা হয় না। নেই কোন মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা। কৃষকের চোখে আঙুল দিয়ে এসব চলছে। কারণ, এখন ধানের ফড়িয়া-দালাল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এক শ্রেণীর নেতাকর্মী প্রত্যেকটি হাটবাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। সাধারণ কৃষক পড়েছে জিম্মি দশায়। বাইরের কোন ক্রেতা-বিক্রেতা হাটে-বাজারে আসতে পারছে না। নগদ টাকা পর্যন্ত পায় না কৃষক। বাকিতে বিক্রির ৭/৮ দিন থেকে এক মাস পরও টাকা নিতে হয়। কৃষকের কাছ থেকে কেনা ধান বিক্রি করেই ওই টাকা শোধ দেয়া হচ্ছে। মাঝখান থেকে বিনা পুঁজিতেই হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাভের টাকা। কৃষকরা জানান, বাড়িতে বসে তারা ধান বিক্রির সুযোগ পেলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ওজনে ৪০ কেজির পরিবর্তে দিতে হচ্ছে ৪৬ কেজি। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কৃষক শামসুল হক মোল্লা জানান, মিটার পদ্ধতিতে ৪০ কেজিতে মণ হিসেবে ধান কেনা-বেচার দাবিতে তারা বহুবার কৃষি অফিসসহ উপজেলা প্রশাসনের কাছে দেন-দরবার করেছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার তারা পাননি। অননুমোদিত যানে জয়পুরহাটের সড়ক নিরাপত্তাহীন ॥ প্রশাসন নীরব নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ২২ ডিসেম্বর ॥ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অননুমোদিত করিমন, নসিমন, ভটভটি, বেবিট্যাক্সি, মেসি, শ্যালো মেশিন চালিত ভ্যান ও তাদের অদক্ষ চালকের দাপটে জয়পুরহাট জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও কার্যকর কোন পদক্ষেপ না থাকার ফলে ও একশ্রেণীর নামধারী শ্রমিকের বেপোরোয়া আচরণের কারণে এ সমস্ত অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। জেলার প্রায় ১০টি অভ্যন্তরীণ রুটে এ সব অবৈধ যানবাহন চলাচল করে পুলিশকে নিয়মিত মাসোহারা দেয় বলে অভিযোগ। জয়পুরহাটের যে রুটগুলোতে অবৈধ এ গাড়িগুলো চলাচল করে সেগুলো হলো জয়পুরহাট-বগুড়া, জয়পুরহাট-শান্তাহার, জয়পুরহাট-মঙ্গলবাড়ি, জয়পুরহাট-পাঁচবিবি-হিলি, জয়পুরহাট-গোবিন্দগঞ্জ, পাঁচবিবি-গোবিন্দগঞ্জ, জয়পুরহাট-গোবরচাপা-নওগাঁ, জয়পুরহাট-মলামগাড়ি, আক্কেলপুর-বগুড়া, জয়পুরহাট-ক্ষেতলাল। ঝুঁকিপূর্ণ এই যানবাহনগুলো প্রশাসনের নাকের ডগায় চলাচল করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনই ব্যবস্থা নেয়া হয় না। জয়পুরহাটের মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন এবং মালিক সমিতি একাধিকবার এ অবৈধ যানবাহনগুলো চলাচল বন্ধে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে অভিযোগ দিলেও তা বন্ধ হয়নি। প্রশাসনের অহেতুক নীরবতার প্রতিবাদে মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ইতিপূর্বে পাঁচবিবি-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। জেলার শিশু সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে জানান, জয়পুরহাটের সড়কগুলোর যে অবৈধ যানবাহন নিরাপত্তাহীন করে তুলেছে তা অভিভাবকদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।
×