ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইটের অভাবে উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ হওয়ার উপক্রম

প্রকাশিত: ০৩:২৪, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

ইটের অভাবে উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ হওয়ার উপক্রম

রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম থেকে ॥ উত্তরাঞ্চলসহ কুড়িগ্রাম জেলায় ইটের অভাবে সিমেন্ট এবং রড বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। সিমেন্ট আর রড নবেম্বর মাস থেকে বেচাকেনা শুরু হলেও ডিসেম্বর মাসের শেষে এসেও বাজারে কোন বেচাকেনা নেই। এ সব দোকানের ব্যবসায়ীরা চরম হতাশায় পড়েছে। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় কয়লার অভাবে অধিকাংশ ইটের ভাঁটি থেকে এখন পর্যন্ত ইট বের হয়নি। কিছু কিছু জেলায় কিছু কিছু ভাটায় ইট বের হলেও দাম গত বছরের তুলনায় দুই থেকে ্আড়াই হাজার টাকা বেশি। এত চড়া দামে ইট কিনছে না ঠিকাদাররা। এর ফলে রড সিমেন্ট বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানেন না তারা এ অবস্থা কতদিনে কাটিয়ে উঠতে পারবেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা মনে করেন এ অবস্থা চলতে থাকলে এডিপিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে না আগামী জুন মাসের মধ্যে। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন দোকানে সিমেন্ট বেচাকেনার এখন সময়। শুষ্ক মোসুমী সরকারী বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন কর্মকা- হয়ে থাকে। এ ছাড়া এ সময়ে বাসাবাড়িরও প্রচুর কাজ হয়। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে পাথর দিয়ে বিভিন্ন আবাসনের কাজ হলেও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পুরোপুরি ইটের উপর নির্ভরশীল। এখানে কয়লার কারণে চলছে ইটের সঙ্কট। ফলে স্থবির হয়ে গেছে এই ব্যবসা। কুড়িগ্রাম শিক্ষা প্রকৌশল জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আবদুল জলিল জানান, ইটের অভাবে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় ঠিকাদাররা বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ রেখেছে। এতে আমাদের বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম ঘোষপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী বাদল জানান, সরকার দ্রত ইটভাঁটি গুলিতে কয়লার ব্যবস্থা করলেই রড সিমেন্টের ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠবে। সরকারী প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। হাইব্রিড বোরো বীজ কিনে কৃষক প্রতারিত স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ কিশোরীগঞ্জ উপজেলার হাট-বাজারগুলো নিম্নমানের হাইব্রিড বোরো বীজে সয়লার। নিম্নমানের এ বীজ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এই উপজেলায় ইরি-বোরো মৌসুমে ১০ হাজার ২৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে দেশী বীজের চাহিদা বাদে বোরোর হাইব্রিড ও রূপসী জাতের বীজের চাহিদা রয়েছে ৭০ টন। এর মধ্যে হাইব্রিড ৫০ টন ও স্থানীয়জাতের ২০ টন। হাটবাজারে যত্রতত্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এসব বীজ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা। একজন কৃষক দুই থেকে তিনবার বীজ রোপণ করলেও অঙ্কুরোদগমন হচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে একটি প্রতারক চক্র নিম্নমানের বীজ নামীদামী কোম্পানির মোড়কে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করছে। এতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। চাঁদখানা ইউনিয়নের নগরবন গ্রামের চাষী সহিদার রহমান জানান, ১০ দিন আগে কিশোরীগঞ্জ বাজারের বীজ ব্যবসায়ী- এলাহীর কাছ থেকে দুই প্যাকেট উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্যাবলিন কোম্পানির সুপার হাইব্রিড বীজ কিনে নিয়মানুযায়ী বীজতলা তৈরি করে বপন করেন। কিন্তু বীজতলায় ৩০ ভাগ বীজও অঙ্কুরোদগমন হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
×