ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে লেনদেনের সঙ্গে সূচকের পতন

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪

পুঁজিবাজারে লেনদেনের সঙ্গে সূচকের পতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন প্রজন্মের স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা চালুর কারণে লেনদেনের ধীরগতি দিয়ে গত সপ্তাহের লেনদেন শেষ হয়েছে। নতুন সফটওয়ারের সঙ্গে বিনিয়োগকারী ও অনুমোদিত প্রতিনিধিদের কম পরিচিতি বা বুঝতে না পারার কারণে বেশিরভাগ কোম্পানির দর ও সূচকের মন্দাবস্থাও দেখা গেছে। মূলত সফটওয়ারজনিত জটিলতার কারণে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন কমেছে ৮৪৭ কোটি ২০ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৪ টাকা। একই সঙ্গে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও লেনদেন কমেছে সিএসইতে ৭২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমার কারণে সেখানে ধরনের সূচকের পতনই ঘটেছে। বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমার কারণে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এদিকে সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ১ দশমিক ৬৬ শতংশ, সিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। এছাড়া সিএএসপিআই সূচক কমেছে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ডিএসইর সার্বিক বা ডিএসইএক্স ছিল ৪ হাজার ৯৩৩ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮৫৬ পয়েন্টে। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার সিএসইর সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৯ হাজার ২৫৬ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৯ হাজার ১০২ পয়েন্টে। অপরদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন কমেছে ৪৭ দশমিক ০১ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে ৯৫৫ কোটি ২ লাখ ৯৩ হাজার ১০০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল মোট এক হাজার ৮০২ কোটি ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭০৪ টাকা। গত সপ্তাহের ৪ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৩টির, কমেছে ১৮৩টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৮টির দাম। লেনদেন হয়নি ৪টি প্রতিষ্ঠানের। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১১৭টির, কমেছিল ১৭২টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৭টির দাম। আর লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের। এদিকে মোট ৪ কার্যদিবসে ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ২৩৮ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ২৭৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ৩৬০ কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৩৪১ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন কমেছে ৩৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায়, নতুন সফটওয়ারের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কিছুটা সমস্যা হওয়ায় লেনদেন আগের তুলনায় কমেছে। সেই সঙ্গে সর্বনিম্ন লেনদেন কমে দাঁড়ায় প্রায় ১শ’ কোটি টাকার কাছাকাছি। সেখানে আগের সপ্তাহের চেয়ে মোট ৩৪ শতাংশ লেনদেন কমেছে। লেনদেন কমার কারণে ডিএসইতে সার্বিকভাবে ছোট মূলধনী কোম্পানির দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। এর বিপরীতে বড় মূলধনী কোম্পানির দর কমেছে ২ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং মাঝারি মূলধনী কোম্পানির দর কমেছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ। তবে খাতওয়ারি হিসেবে টেলিযোগাযোগ খাতের মোট ৩ দশমিক ৪ শতাংশ দর কমেছে। পুরো সপ্তাহে ওষুধ এবং রসায়ন খাত ও প্রকৌশল খাতটি ১৫ শতাংশ ও ১৪ শতাংশ লেনদেন দখল করেছে। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : অগ্নি সিস্টেম, ফু-ওয়াং ফুড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, স্কয়ার ফার্মা, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, কাসেম ড্রাইসেল, বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণফোন ও কেয়া কসমেটিকস। দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- ফু-ওয়াং ফুড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, আরএকে সিরামিকস, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনালী আঁশ, দেশবন্ধু পলিমার, জিএসপি ফিন্যান্স, অগ্নি সিস্টেমস, নাভানা সিএনজি ও মোজাফ্ফর হোসাইন স্পিনিং মিলস।
×