ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জয়ের প্রত্যাশা মামুনুলের

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪

জয়ের প্রত্যাশা মামুনুলের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পথ যতই হোক বন্ধুর ও অমৃসণ, লক্ষ্য যতই হোক কঠিনÑ সেটা হাসিল করার জন্য যদি না থাকে প্রয়োজনীয় রসদ, নির্দিষ্ট করে বললে সুদৃঢ় মনোবল, তাহলে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার সম্ভাবনা-আশঙ্কাই বেশি। এটা ভালভাবেই জানেন মামুনুল ইসলাম। বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার দলপতি তাই শুরুতেই হারার আগেই হারতে নারাজ। সোমবার কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন গত ১২ ডিসেম্বর ২৬ বছর পূর্ণ করা মামুনুল। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সতীর্থদের সঙ্গে আনুশীলন করেছেন ঝরিয়েছেন ঘাম। জাপান অনুর্ধ-২১ দলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে একটি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। নিজেদের মাটিতে বিজয়ের মাসে এ ম্যাচে জয় কুড়িয়ে নিতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মামুনুল, ‘জাপানের এই দলটি জাতীয় বা সিনিয়র দল না হলেও দলটি যথেষ্ট শক্তিশালী। আমার জানামতে এই দলের বেশিরভাগ ফুটবলারই ইনচন এশিয়ান গেমসে খেলেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের শক্তির ফারাক আছে বিস্তর। তারপরও নিজেদের মাটিতে বিজয়ের মাসে তাদের সঙ্গে লড়াই করে ম্যাচটা জিততে চাই আমরা।’ শক্তির তারতম্য বিস্তর। এটা জেনেও এমন প্রত্যাশা-আত্মবিশ্বাস কিভাবে করছেন? ‘ভাল খেলতে হবে। আমাদের ৪/৫ জন জাতীয় দলের খেলোয়াড়। বাকি সবাই অনুর্ধ-২৩ দলের। তাই লড়াই হবে এই ম্যাচে। দলে যোগ দিয়ে বুঝেছি আমাদের বর্তমান দলটি অনেক ভালমানের। সব পজিশনেই দুজন করে খেলোয়াড় রয়েছেন আমাদের। যেমন আমি যদি না খেলতে পারি, আমার পজিশনে খেলার মতো ভাল খেলোয়াড়ও কিন্তু আমাদের আছে। সবাই যার যার সেরা খেলাটা দিতে পারলে ভাল রেজাল্ট করা অসম্ভব নয়।’ জানুয়ারিতে ঘরের মাটিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট। যেখানে অংশ নেবে অনেক শক্তিশালী দল। ওই টুর্নামেন্টের আগে জাপানের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ খেলাটা অনেক সহায়তা করবে বলে মনে করেন মামুনুল। আরও যোগ করেন, ‘এখন আমরা যত টপ টিমগুলোর সঙ্গে খেলব তত দ্রুত আমরা ভাল ফিটনেসের অধিকারী হব। আর যত বেশি ম্যাচ খেলব, তত ভাল পারফর্মেন্স করার একটা ক্ষমতা চলে আসবে। বঙ্গবন্ধু কাপে আমাদের খেলতে সহজ হবে।’ জাপান-বাংলাদেশ প্রীতি ম্যাচের মতো এমন আরও একাধিক ম্যাচ খেলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মামুনুল, ‘অবশ্যই আরও ম্যাচ খেলা উচিত আমাদের। ট্রেনিং, আবাসিক ক্যাম্প এবং ম্যাচ খেলাটা জরুরী বর্তমান প্রেক্ষাপটে।’ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের মতো দলের সঙ্গে খেললে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে, এমনটাও ভাল ফলাফল করতে।’ ইন্ডিয়ান সুপার লীগে এ্যাটলেটিকো ডি কলকাতায় একটি ম্যাচেও দেখা যায়নি মামুনুলকে। অথচ অনেক ঘটা করেই চুক্তি স্বাক্ষর করে ডি কলকাতায় নেয়া হয়েছিল মামুনুলকে। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘কেন আমাকে খেলানো হয়নি, সেটা বলতে পারব না। তবে আমি অনুশীলনে নিজের সেরাটাই দিয়েছি। কোচের কাছে হয়ত কোন অপশন ছিল না। সবকিছুই তো তাঁর ওপর নির্ভরশীল। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ খেলার পর কয়েকদিন ইনজুরিতে ছিলাম। এ জন্য মাদ্রিদে গিয়ে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করতে পারিনি। হয়ত এ কারণেই ...।’ এ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা কর্তৃপক্ষ বাফুফেকে জানিয়েছিল, তারা মামুনুলকে ছাড়বে কিনা, ছাড়লে কবে ছাড়বেÑ এ বিষয়টি জানিয়ে শুক্রবারের মধ্যে ফোন করবে বা ই-মেইল করবে। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত তারা কিছুই জানায়নি। ডি কলকাতা আবার সেমিফাইনালেও উঠেছে। এ জন্য দরকার হতে পারে বলে ক্লাবটি মামুনুলকে ছাড়বেও না, প্রথমে শোনা গিয়েছিল এমনটাই (ক্লাবটির সঙ্গে মামুনুলের চুক্তি আছে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত)। ফলে জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছিল মামুনুলের জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। এখন দেখার বিষয়, মামুনুলের আশা মোতাবেক জাপানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ তাদের কাক্সিক্ষত অসম্ভব ‘জয়’টি কুড়িয়ে নিতে পারে কিনা।
×