অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সারাদেশে সুলভ মূল্যে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন ঘোষণার পর পাঁচ দফায় ব্যান্ডউইথের দাম কমিয়ে আনে সরকার। তবে, তা গ্রাহক পর্যায়ে তেমন কমেনি। এর সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সেই অনুযায়ী দাম কমায়নি। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভাল হলে হয়ে গেল ‘কেমন ইন্টারনেট চাই’ শীর্ষক সংলাপ, এই সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) ও এক্সপো মেকারের যৌথ আয়োজনে এই সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিআইজেএফের সভাপতি মুহম্মদ খান। স্বাগত বক্তব্যে তিনি এই সংলাপ আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো এ শিল্পের মাধ্যমে ৫০ বছরে যে উন্নয়ন করেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ১৫ বছরে আমরা তা করতে পারব। এজন্য গ্র্রাম পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ দেয়া হবে। আমরা ইন্টারনেটকে সবার মৌলিক অধিকারে রূপ দিতে চাই। তিনি বলেন, সরকার দ্রুতগতির ইন্টারনেট থ্রিজি লাইসেন্স দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল শিক্ষা ও আয়ের দিকে মনোযোগ দেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সাড়ে ৫ বছরের ৮ হাজার কলেজ ও ২৫ হাজার স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করেছে। ইন্টারনেট কমমূল্যে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারলে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে বলে আশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের হেড অব স্ট্র্যাটেজি এরল্যান্ড প্রেস্টগার্ড বলেন, গ্রামীণফোন সবার জন্য ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। সারাদেশে কমমূল্যে ও সহজে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার জন্য দরকার প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা, যে কোন ব্র্যান্ডে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার সুযোগ। এছাড়া মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট সচেতনতা বৃদ্ধি খুবই জরুরী। এ জন্য বছরে ১ কোটি মানুষকে ইন্টারনেট বিষয় সচেতনতার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।