ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী রক্ষায় আন্দোলনের হুমকিদাতাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

শহীদের রক্তভেজা পতাকা আর কোন শকুনিকে খামচে ধরতে দেব না

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

শহীদের রক্তভেজা পতাকা আর কোন শকুনিকে খামচে ধরতে দেব না

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিজয়ের মাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের সঙ্গে নিয়ে জনসভা করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন, আল্টিমেটাম দিচ্ছেন। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় উনার আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেবে না। আর শকুনের দোয়ায় গরুও মরবে না। উনার (খালেদা জিয়া) মতো শকুনিরা ষড়যন্ত্র করে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা ও দেশকে ধ্বংস করতে চায়। পাকিদের দালালরা (বিএনপি-জামায়াত) আর কোনদিন যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, ক্ষমতায় এসে জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর করতে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, রায়ও কার্যকর হবে। দেশের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা আর কোন শকুনীকে খামচে ধরতে দেব না। পতাকা নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। শহীদের রক্তভেজা পতাকা প্রয়োজনে বুকের রক্ত দিয়ে রক্ষা করব, আজ এটাই আমাদের শপথ। নারায়ণগঞ্জের জনসভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বুদ্ধিজীবী দিবসের একদিন আগে বিএনপি নেত্রী বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী রাজাকার-আলবদর নেতাদের সঙ্গে নিয়ে একমঞ্চে জনসভা করে নানা কথা বলছেন। সরকার উৎখাতের হুমকি দিচ্ছেন। ২০০৯ সালে মহাজোট ক্ষমতা গ্রহণের দুই মাস থেকেই বিএনপি-জামায়াত সরকার উৎখাতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কিন্তু রাখে আল্লা মারে কে। যাদের পরামর্শে উনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচনে না গিয়ে ঠেকানোর নামে শত শত মানুষকে হত্যা করেছেন, তাদের পরামর্শেই উনি এখন সরকারকে আল্টিমেটাম দিচ্ছেন। কিন্তু দেশের জনগণ তার কোন ষড়যন্ত্রই বাস্তবায়িত হতে দেবে না। রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অঝোর ধারায় কেঁদেছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডাঃ আলীম চৌধুরীর কন্যা ডাঃ নুজহাত চৌধুরী। কাঁদিয়েছেন মিলনায়তন ভর্তি হাজারও মানুষকে। তার কান্নাজড়িত স্মৃতিচারণ আর বেদনার্ত শব্দচয়নে মঞ্চে বসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। বক্তব্য শেষ হলে ডাঃ নুজহাতকে বুকে টেনে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যাও কেঁদে ফেলেন। এ সময় পুরো অনুষ্ঠানেই আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আরেক শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের পুত্র তৌহিদ রেজা নূরের আবেগঘন বক্তব্য সবার মনকে নাড়া দেয়। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রবীণ নেতা আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বেগম মতিয়া চৌধুরী, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, মাহবুব-উল- আলম হানিফ, এম এ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আসাদুজ্জামান খান কামাল, কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ্যাভোকেট কামরুল ইসলাম ও সুজিত রায় নন্দী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ড. হাছান মাহমুদ ও অসীম কুমার উকিল। বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনের রাজত্ব সৃষ্টি, দেশকে অন্ধকার ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করাই ছিল এই অশুভ জোটটির একমাত্র লক্ষ্য। মানুষের রক্ত নিয়ে খেলাই হচ্ছে তাদের চরিত্র। দেশবাসীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেনÑ ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, জেল হত্যাকা-, একাত্তরের গণহত্যা, ও বুদ্ধিজীবীদের কারা হত্যা করেছে? এই বিএনপি-জামায়াতই করেছে। বিডিআর হত্যাকা-ের সঙ্গেও তারা জড়িত। আর ২১ আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলাতেও এই বিএনপি-জামায়াত যে জড়িত ছিল সে প্রমাণও আমাদের কাছে রয়েছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী ও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী রাজাকার-আলবদরদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়াও গণহত্যাকারী রাজাকার-আলবদর বাহিনীর প্রধান নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। বিডিআর হত্যাকা- নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির জনসভায় খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, বিডিআর হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত না থাকলে খালেদা জিয়া পালিয়ে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন কেন? কেন সেনা অফিসারদের হত্যাকারীদের রক্ষায় বিডিআর হত্যামামলার আসামিদের পক্ষে বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীরা দাঁড়িয়েছিলেন? এর জবাব দেশবাসীকে খালেদা জিয়াকেই দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ সাড়ে ৯টায় শুরু হয়। তার দেড় ঘণ্টা আগে সমস্ত সরকারী প্রটোকল ও নিরাপত্তা ছেড়ে অত্যন্ত গোপনে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে আন্ডারগ্রাউন্ডে (আত্মগোপনে) গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। বিডিআর বিদ্রোহে যে ৫৭ সামরিক অফিসার নিহত হয়েছেন, তার মধ্যে ৩৩ জনের পরিবারই আওয়ামী পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন, ওই ক্লান্তিকালীন সময় তখন সব রাজনৈতিক দলই সহযোগিতার জন্য ছুটে এসেছিলেন। উনি সেখানে না গিয়ে কেন আত্মগোপনে ছিলেন? কেন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পর দেড় মাস ক্যান্টনমেন্টের বাসায় উনি যাননি? উনি কী আশায় আত্মগোপনে বসেছিলেন, তা দেশবাসীকে খালেদা জিয়াকে জানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিডিআর হত্যাকা-ের বিচারেও উনারা (বিএনপি-জামায়াত) সহযোগিতা করেনি, বরং বিচার যাতে না হয় সেজন্য হত্যাকারীদের পক্ষেই তাদের আইনজীবীরা কাজ করেছেন। বিএনপি-জামায়াতের বাঘা বাঘা আইনজীবীও সেনা অফিসার হত্যাকারীদের পক্ষে আদালতে কাজ করেছেন। বিএনপি যদি এই বিডিআর হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতই না থাকবে তবে কেন খালেদা জিয়া আসামিদের পক্ষে ছিলেন? তার দল জড়িত না থাকলে তাদের আইনজীবীরা হত্যাকারীদের পক্ষ নিলেন কেন? আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেনি- খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের জবাবে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ না করলে করেছে কে? বিএনপির তখন তো জন্মই হয়নি। কোন্ নেতা ও কোন্ দলের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে? মুক্তিযুদ্ধের সময় উনি কোথায় ছিলেন? এ কথা কী খালেদা জিয়া দেশবাসীকে বলবেন? তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়ার মুখে এসব কথা শুনে তার দলে (বিএনপি) মুক্তিযোদ্ধারা থাকেন? শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পরাজিত নিশ্চিত জেনেই বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। আর এ নেতৃত্ব দেন গোলাম আযম-নিজামী-মুজাহিদরা। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ১১ হাজার শাস্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী কারাগারে বন্দী, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি ও যুদ্ধাপরাধীদের ভোটের অধিকার ছিল না। পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়া যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্বও বাতিল করা হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জেনারেল জিয়াউর রহমানই একে একে সব যুদ্ধাপরাধীকে মুক্তি দেন, যুদ্ধাপরাধীদের ভোটের অধিকার, জামায়াতের রাজনীতির অধিকার ফিরিয়ে দেন, এমনকি গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেন। যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা তুলে দেন এই জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, জিয়ার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পরই দেশে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়। প্রায় ১৯টি ক্যুর নামে শত শত সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার-সৈনিককে হত্যা করে এই জেনারেল জিয়া। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী কর্নেল রশিদ ও হুদাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে জিতিয়ে এনে এমপি বানান, বিরোধী দলের আসনে বসান। একাত্তরের গণহত্যাকারী ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী আলবদরবাহিনীর প্রধান নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানান। ক্ষমতায় থেকে খুনীদের মদদ দেয়া এবং দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টাই করে গেছেন এই খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় যাতে খুনীদের দ- না হয় সেজন্য এই খালেদা জিয়া আদালতের রায় ঘোষণার দিন হরতাল দিয়েছিলেন। কিন্তু রায় হয়েছে, রায় কার্যকরও হয়েছে। এখন যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর হচ্ছে তখন তাদের রক্ষায় খালেদা জিয়া মরিয়া হয়ে উঠেছেন। উনি (খালেদা জিয়া) স্বাধীনতায় বিশ্বাস করলে কীভাবে বিজয়ের মাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের সঙ্গে নিয়ে একমঞ্চে জনসভা করেন? তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় উনি দোয়া করেন আমার ওপর গজব নাজিল হোক! কিন্তু শকুনের দোয়ায় গরু মরবে না। শুনেছি দেশে নাকি শকুন নেই, উনিই একমাত্র শকুন, রয়েছেন। আলোচনা সভায় নিজে কেঁদেছেন, সবাইকে কাঁদিয়েছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডাঃ আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, শিশু বয়সে বাবার যে বুকটিতে শুয়ে ঘুমাতাম, সেই বুকটি আলবদররা বেয়নেট দিয়ে ও ব্রাশফায়ার করে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। বাংলাদেশের লাল-সবুজের রক্তস্নাত পতাকার যে অংশটুকু লাল রয়েছে, সেখানে আমার বাবার এক ফোঁটা রক্ত রয়েছে। দেশবাসীর প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমার বাবার খুনী ইনকিলাবের মাওলানা মান্নানকে জিয়াউর রহমান প্রতিমন্ত্রী আর জেনারেল এরশাদ পূর্ণ মন্ত্রী করেছিলেন। এই কী আমাদের পাওনা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের কাছ থেকে? আর খালেদা জিয়া আলবদর নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আর নিজামী-মুজাহিদরা সকল শহীদ ও সারা জাতির মুখে কাদা মাখিয়ে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে চলেছিলেন। এটাই কী পাওনা ছিল আমাদের? শত ষড়যন্ত্র ও আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সকল শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এখন শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশ। একমাত্র ভরসাস্থল। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ডাঃ নুজহাত। এ সময় মঞ্চে থাকা সকল নেতা ও হাজার হাজার নেতাকর্মীও নিজেদের অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। নুজহাতের আবেগঘন বক্তব্যের সময় প্রায়শই রুমাল দিয়ে শেখ হাসিনাকে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়। নুজহাতের বক্তব্য শেষ হতেই নিজের আসন থেকে দাঁড়িয়ে বুকে টেনে নেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় দু’জনই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় পুরো অনুষ্ঠানের পরিবেশই ভারি হয়ে ওঠে। আরেক শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের পুত্র তৌহিদ রেজা নূর আবেগ জড়িতকণ্ঠে বলেন, এ দেশটি যাদের আত্মদানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, একাত্তরে তাদের লাশ শকুন, শেয়াল-কুকুরে খেয়েছে। দেশের মানুষকে তাদের দাফন পর্যন্ত করতে দেয়নি কুখ্যাত রাজাকার-আলবদররা। এরাই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। তিনি বলেন, সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন, রায়ও কার্যকর হচ্ছে। এজন্য শুধু শহীদ পরিবারই নয়, দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তি ও নতুন প্রজন্ম শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছে এবং থাকবে।
×