ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বুদ্ধিজীবী দিবসের নাটক ‘সূচনা’

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪

বুদ্ধিজীবী দিবসের নাটক ‘সূচনা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আজকের এই দিনটি স্মরণ করতে দেশের সরকারী এবং বেসরকারী বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচী পালন করবে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে আজ রবিবার মঞ্চস্থ হবে বুদ্ধিজীবী দিবসের বিশেষ নাটক ‘সূচনা’। ‘স্টেজ-১’ প্রযোজিত সূচনা নাটকটি রচনা করেছেন অভিনেতা ও নাট্যনির্দেশক আবুল হায়াত। নিদের্শনা দিয়েছেন রহমত আলী। নাটকে মুক্তিযোদ্ধা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিতা চৌধুরী। অন্য তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়াহিদা মল্লিক জলি, চিত্রলেখা গুহ এবং নাজনীন হাসান চুমকী। নাটকের গল্প প্রসঙ্গে নাট্যকার আবুল হায়াত বলেন, মূলত একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁর তিন বান্ধবীর কলেজ জীবনের গল্প নিয়ে এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী। গল্পে আমরা চারজনের আলাদা আলাদা গল্প পাই। একজন মুক্তিযোদ্ধা হলেও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তাঁর তিন বান্ধবীও মুক্তিযোদ্ধা। কারণ তারা তিনজনও নানাভাবে ওতপ্রোতভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল। মূলত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়েই সূচনা নাটকের মূল গল্প আবর্তিত। প্রত্যেকেই যার যার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। আমি যা লিখেছি রহমত আলী তাঁর নির্দেশনায় উপস্থাপনকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আশা করি আজকের মঞ্চায়নও দর্শকের ভাললাগবে। নির্দেশক রহমত আলী জানান, আজ ‘সূচনা’ নাটকের ১৪তম মঞ্চায়ন হবে। প্রসঙ্গত, ‘সূচনা’ নাটকটি প্রথম মঞ্চায়ন হয় ১০১২ সালের ২৫ মার্চ। সর্বশেষ মঞ্চায়ন হয় চলতি বছরের জুন মাসে। প্রসঙ্গত, আজ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। বাঙালী জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। কারণ স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, পরাজয় তাদের অনিবার্য। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে ওরা বসবাস করতে পারবে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ আবার ফুলে ফলে ভরে উঠবে। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের বরেণ্য সব ব্যক্তিদের আজকের দিনে রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হয়। এ কারণে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকা- ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়ের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিকটাত্মীয়রা মিরপুর ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে তাদের গলিত ও ক্ষতবিক্ষত লাশ খুঁজে পায়।
×