ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বৈশ্বিক সংঘাতে ধর্মীয় উন্মাদনার প্রভাব নেপথ্য কারণ

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪

বৈশ্বিক সংঘাতে ধর্মীয় উন্মাদনার প্রভাব নেপথ্য কারণ

হতাশা বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় উগ্রবাদকে উস্কে দিচ্ছে। আর মধ্যপ্রাচ্যে উল্কার গতিতে প্রভাব বিস্তার করা ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গী গ্রুপ যেভাবে পশ্চিমা জিহাদীদের দলে ভেড়াচ্ছে তা থেকে বোঝা যায় যে, বৈশ্বিক সংঘাতে ধর্মীয় উন্মাদনা প্রভাব রাখছে। মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক দশক ধরে চলা একনায়কতান্ত্রিক শাসন থেকে মুক্তির জন্য দেখা দেয় আরব বসন্ত। তারপর ২০১৪ সালে সিরিয়া এবং ইরাকজুড়ে আইএস জঙ্গীদের আবির্ভাব। পাশাপাশি গত ৬ বছর ধরে চলা যুদ্ধে ধ্বংসপ্রায় গাজা উপত্যকা। এসব অঞ্চলে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরা দুর্নীতি, যৎসামান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আরব জাতীয়তাবাদী নীতি ধরে রাখতে না পারা এবং ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধান না হওয়ার বিকল্প পথ হিসেবে এসব অঞ্চলের মানুষ মূলত ইসলামী রাজনীতির দিকে ঝুঁকছে। এসব অঞ্চলে মূলত একেশ্বরবাদী তিন ধর্মের আবির্ভাব হয়েছে। এ বিষয়ে কার্নেগি মিডিলিস্ট সেন্টারের ভিজিটিং স্কলার রাফায়েল লেয়েভার বলেন, ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আগ্রাসনই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। এ আক্রমণের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিভিন্ন ধর্মীয় উপদল সৃষ্টি হতে থাকে। ঠিক ওই সময় থেকেই আরব বিশ্বে প্রভাব সৃষ্টিকারী শক্তি হিসেবে ইরানের আবির্ভাব। রাফায়েল লেয়েভার আরও বলেন, ওই সময় থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে মূলত সুন্নি চেতনাবোধ মাথাচাড়া দিতে থাকে। সিরিয়াকে মূলত নিয়ন্ত্রণ করে সংখ্যালঘু শিয়া আলাভি সম্প্রদায়। আর এই আলাভি সম্প্রদায়কে নিয়ন্ত্রণ ও অর্থায়ন করে শিয়া অধ্যুষিত ইরান। সিরিয়ায় যারা মার খাচ্ছে তাদের বেশিরভাগই সুন্নি সম্প্রদায়ের লোক। অপরদিকে ইরাকী সুন্নিদের অভিযোগ যে, তারা শিয়া নেতৃত্বের কাছে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আর এসব কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে আইএস এবং আল নুসরা ফ্রন্টের মতো সুন্নি জঙ্গীগোষ্ঠীর উদ্ভব বলে মনে করেন রাফায়ে। -এএফপি আইএস দমনে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করল মার্কিন সিনেট ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি করে এক নতুন বার্ষিক প্রতিরক্ষা বিল অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেট। খবর বিবিসি অনলাইনের। এ বিলে ৫৯ হাজার ৬শ’ কোটি ডলারের সাধারণ পেন্টাগন বাজেট এবং বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধের জন্য ৬ হাজার ৪শ’ কোটি ডলারের বাজেট অনুমোদন করা হয়। এ বিলে দু’বছরের জন্য মধ্যপন্থী সিরীয় বিদ্রোহী যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি প্রদানেরও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বিলটি প্রতিনিধি সভায় পাস হয়ে গেছে এবং আইনে পরিণত করতে স্বাক্ষরের জন্য এখন প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে পাঠানো হয়েছে। আইএস সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা এলাকাগুলোতে কঠোর শরিয়া আইন প্রয়োগ করছে। অন্য ধর্মালম্বীদের ওপর তারা নির্যাতন চালাচ্ছে এবং তাদের হত্যা করছে।
×