ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জামায়াতের বই পুস্তক বাজেয়াপ্ত করে পুড়িয়ে ফেলার দাবিতে সমাবেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪

জামায়াতের বই পুস্তক বাজেয়াপ্ত করে পুড়িয়ে ফেলার দাবিতে সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াত-শিবিরের সকল বই বাজেয়াপ্ত করে পুড়িয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ। শুক্রবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ‘ইসলাম বিকৃতি ও ফেৎনা সৃষ্টিকারী, মওদুদী ইজমবাদী, মানবতাবিরোধী এবং একাত্তরের নরঘাতকদের সকল বই বাজেয়াপ্ত করার দাবিসহ জঙ্গীবাদ নির্মূলের দাবিতে সংগঠনটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সমাবেশে ইসলামী চিন্তাবিদ, আলেম- ওলামারা জামায়াত-শিবিরকে ইসলামের শত্রু অভিহিত করে বলেছেন, জামায়াত-শিবির ইসলামের নামে ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমাজকে বিভ্রান্ত করছে। প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলামের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের শত্রু। তাই অনতিবিলম্বে তাদের প্রকাশিত সব বই বাজেয়াপ্ত করতে হবে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, সদস্য সচিব ফিরোজ আহমেদ, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, হাজী আব্দুস ছামাদ প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা মুসলমান। পবিত্র ইসলাম আমাদের ধর্ম। কোরান-হাদিসে বিশ^াসী ও সঠিক গবেষণাকারী, সাহাবায়ে কেরাম ও আউলিয়ায়েজামদের অনুসারী আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আকিদায় বিশ^াসী ও অবিচল। আর ইসলামী আন্দোলনের নামে মওদুদী অনুসারী জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ইমান আকিদার চরম শত্রু। পবিত্র ইসলাম ধর্মে নেই কোন প্রকারের অস্ত্রবাজি, থাকতে পারবে না হানাহানি আর রক্তপাতের ঘটনা। অথচ জামায়াত ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সন্ত্রাস আর অস্ত্রবাজির মাধ্যমে তাদের প্রতিটি আন্দোলন এবং অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মওদুদী পন্থীরা তাদের লেখনির মাধ্যমে ইসলামকে বিকৃত করে আসছে। মহান আল্লাহ পাক থেকে শুরু করে নবী-রাসুল, সাহাবী, অলি-আল্লাহ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কেউ জামায়াতীদের সমালোচনা থেকে বাদ পড়েনি। তাই তাদের সকল লেখা বই-পুস্তক বাজেয়াপ্ত করে জ্বালিয়ে ফেলার জন্য আজকের এ প্রতিবাদ সভার জোর দাবি। চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, মওদুদীপন্থী জামায়াত-শিবির লেখার মধ্যে অসংখ্য অপব্যাখ্যা ও ফেৎনা সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে জামায়াতকে বিশ^সহ এশিয়ার হাক্কানি আলেম, মুফতি, মোহাদ্দেস ও পীরমাশায়েখ অসংখ্যবার ধর্মভীরু মুসলিম মিল্লাতকে ইমান আকিদা বাঁচানোর জন্য সতর্ক করেছিলেন শুধুমাত্র নিজেদের ইমানি কর্তব্য এবং খোদাতায়ালার রেজামন্দী হাসিলের জন্য। আলহাজ মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, মওদুদী ও জামায়াত- শিবিরের ভ্রান্ত আকিদা ও লেখনির বিষয়াদি সাধারণ মানুষের জানা না থাকায় ধর্মপ্রিয় সরল মুসলমান বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষিত সমাজ মওদুদী ও মানবতাবিরোধীদের লেখনিগুলোর পার্থক্য নির্ণয় করতে পারেন না। ফলে বাতিলদের বাহ্যিক আচার-আচরণে মুগ্ধ হয়ে ভ্রান্তির বেড়াজালে আঁকড়ে পড়েন। ধর্মভীরু মুসলিম মিল্লাত নিজেদের ইমান আকিদা হারাতে চলেছে। আলহাজ ফিরোজ আহাম্মদ বলেন, আল্লাহতায়ালার হাবীবের মাধ্যমে দ্বীন-ইসলামের পরিপূর্ণ ঘটে। দুঃখজনক বিষয় হলো ইসলামবিরোধী অপশক্তি জামায়াতীরা ইসলামের নাম ব্যবহার করে ইসলামের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে অপরাধ করে চলেছে। এরা ইসলামের শত্রু। তাই ভ্রান্ত মতাদর্শ ও বাতিল আকিদা মওদুদীপন্থীদের সকল বই বাজেয়াপ্ত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। আলহাজ খোরশেদ আলম রেজভী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, মওদুদীপন্থী জামায়াতীদের সকল বই বাজেয়াপ্ত করুন। আলহাজ কাজী মাওঃ আবুল হাসান শেখ শরিয়তপুরী বলেন, মওদুদী ও জামায়াত-শিবির ইসলামী অঙ্গনে একটি বাতিল ফেরকা। ’৭১-এর কুখ্যাত রাজাকারদের বাহ্যিক চাল-চলন দেখে মানুষ তাদের ভুলবশত সত্যিকারের ইসলামী দল হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু যখন তাদের ভুল ব্যাখ্যাকারী বই-পুস্তক পড়ে তখন প্রমাণিত হয় যে, তাদের ভেতরের কালো রূপটি খুবই খারাপ এবং ইমান আকিদা বিনষ্টকারী। তাই সরকারের কাছে মওদুদীপন্থীদের সকল লেখনি বাজেয়াপ্ত করে পুড়িয়ে ফেলার জোর দাবি জানাচ্ছি।
×