ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমরা তোমাদের ভুলব না

প্রকাশিত: ০৩:০৯, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪

আমরা তোমাদের ভুলব না

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর। স্বাধীন বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের দুই দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর গঠিত আল-বদর বাহিনীর সহযোগিতায় পাকহানাদার বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে। ঘাতকরা যখন বুঝতে পারে তাদের পরাজয় ঘনিয়ে এসেছে, বাংলার মাটি ছেড়ে যখন তাদের লেজ গুটিয়ে পালানোর সময় হয়েছে তখন তারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে দেশকে মেধা শুন্য করা, দেশকে পিছিয়ে দেয়ার হীন ষড়যন্ত্র করে। শুরু করে দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যার নীলনক্সা। আর এই নক্সা তৈরির মূল হোতা ছিল আল-বদর বাহিনী। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ৪ তারিখ থেকে ঢাকায় নতুন করে কারফিউ জারি করা হয়। ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের প্রস্তুতি নেয়া হতে থাকে। মূলত ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পনার মূল অংশ বাস্তবায়ন হয়। অধ্যাপক, সাংবাদিক, শিল্পী, প্রকৌশলী, লেখকসহ চিহ্নিত বুদ্ধিজীবীদের পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসররা জোরপূর্বক বাসা এবং কর্মস্থল থেকে তুলে নিয়ে যায়। সে দিন প্রায় ২০০ জনের মতো বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের চোখে কাপড় বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপড়া, রাজারবাগসহ অন্য আরও অনেক স্থানে স্থাপিত নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের ওপর বীভৎস নির্যাতন চালানো হয়। পরে তাঁদের নৃশংসভাবে রায়ের বাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়। পাকিস্তানী সামরিক জান্তার পক্ষে এ হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ও তাদের এদেশীয় দোসররা। আর তাকে তালিকা প্রস্তুতিতে সহযোগিতা ও হত্যাকা- বাস্তবায়নের পেছনে ছিল মূলত আল-বদর বাহিনী। বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রধান ঘাতক ছিলেন বদর বাহিনীর চৌধুরী মঈনুদ্দীন (অপারেশন ইনচার্জ) ও আশরাফুজ্জামান খান (প্রধান জল্লাদ)। ১৬ ডিসেম্বরের পর আশরাফুজ্জামান খানের নাখালপাড়ার বাড়ি থেকে তার একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি উদ্ধার করা হয়। যার দুটি পৃষ্ঠায় প্রায় ২০জন বুদ্ধিজীবীর নাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তাদের কোয়াটার নম্বরসহ লেখা ছিল। তার গাড়ির ড্রাইভার মফিজুদ্দিনের দেয়া সাক্ষ্য অনুযায়ী রায়ের বাজারের বিল ও মিরপুরের শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি থেকে বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর গলিত লাশ পাওয়া যায় যাদের সে নিজ হাতে গুলি করে মেরেছিল। আর চৌধুরী মঈনুদ্দীনও ’৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি অবজারভার ভবন থেকে বুদ্ধিজীবীদের নাম-ঠিকানা রাও ফরমান আলী ও ব্রিগেডিয়ার বশীর আহমেদের কাছে পেঁৗঁছে দিতেন। এছাড়া আরও ছিলেন এবিএম খালেক মজুদার (শহীদুল্লাহ কায়সারের হত্যাকারী), মওলানা আবদুল মান্নান (ডা. আলীম চৌধুরীর হত্যাকারী), আবদুল কাদের মোল্লা (কবি মেহেরুন্নেসার হত্যাকারী)। চট্টগ্রামের প্রধান হত্যকারী ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার দুই ছেলে সালাউদ্দিন কাদের এবং গিয়াস কাদের চৌধুরী। বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী ও পরিকল্পনাকারী আল-বদর বাহিনীর মূল হোতাসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। কোন কোন মহল ও রাজনৈতিক দল এই যুদ্ধাপরাধীদের এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তাই দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আপামর মানুষকে একত্রিত হয়ে এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে। জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতেই হবে। আমরা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কখনও ভুলব না। নাজনীন বেগম লালমাটিয়া, ঢাকা। পটুয়াখালী সরকারী মেডিক্যাল কলেজ নামকরণ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, দক্ষিণ বাংলার কৃতী সন্তান, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মরহুম হাবিবুর রহমান মিয়া। ১৯৬০ সাল থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও আওয়ামী লীগ সংগঠনকে একটি শক্ত অবস্থানে রেখেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার-পরিজনসহ নির্মমভাবে শহীদ হওয়ার পর পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেছিলেন। দক্ষিণ বাংলার কৃতী সন্তান হিসেবে মরহুম হাবিবুর রহমান মিয়ার নামকরণে কোন হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা, ব্রিজ বা কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের পটুয়াখালী জেলায় শিগগির একটি সরকারী মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। পটুয়াখালী জেলাবাসী ও হাবিবুর রহমান মিয়ার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন ওই সরকারী মেডিক্যাল কলেজটি যাতে দক্ষিণ বাংলার কৃতী সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাবিবুর রহমান মিয়ার নামে নামকরণ করা হয়। নাজনীন নাহার রশীদ (লাইজু) পটুয়াখালী। ঐতিহ্যবাহী টেরাকোটা শিল্প সংস্কৃতির মধ্যদিয়েই কোন দেশ বা জাতির পরিচয় ফুটে ওঠে। ব্যুৎপতিগত অর্থে সংস্কার শব্দ থেকে সংস্কৃতি শব্দের উৎপতি। সংস্কৃতির একটি ধারা লোক শিল্প লোকায়ত সমাজ জীবনের বিচিত্র। ঐশ্বর্য বহুকাল থেকেই গৌরব ধন্য। টেরাকোটা তেমনি একটি লোক শিল্প। টেরাকোটা ইতালির শব্দ যুগল। টেরা অর্থ মাটি এবং কোটা অর্থ দগ্ধ তাই টেরাকোটা হচ্ছে পোড়ামাটির শিল্প। আমাদের বাংলাদেশের পাহাড়পুর, মহাস্থানগড়, ময়নামতি এসব স্থানে এ শিল্পের বহু নিদর্শন শিল্প রসিকদের প্রশংসা কুড়িয়ে আসছে বহুকাল থেকেই। এসব স্থানে যে শিল্প নিদর্শনগুলো দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে রাধাকৃষ্ণ, নারী মূর্তি, বলরাম, বৌদ্ধজাতক, রাম, গাড়ি, রামায়ন-মহাভারতের বিভিন্ন কাহিনীর দৃশ্যাবলী, করুক্ষেত্র যুদ্ধের কাহিনী, রাম-রাবনের কাহিনী, বিবাহের দৃশ্যাবলী, জলে ভেসে হাসসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা ইত্যাদি। এছাড়াও এসব টেরাকোটায় দৃশ্যমান রাম-রাবন, রাধাকৃষ্ণ, শিব-দূর্গা, কালী- সরস্বতী, লক্ষ্মী-নারায়ণসহ বিভিন্ন ফুল-ফল-পাতা, পালকি আর পশুপাখির মূর্তি। এগুলো বেশির ভাগই ছাঁচে তৈরি। কোন কোন মূর্তি আবার হাতেরও তৈরি। আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির-মসজিদে এসব নিদর্শন রসিক জনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমাদের দেশের রাজশাহী, দিনাজপুর , নাটোর, পাবনা ফরিদপুর, যশোহর, বরিশাল, কুমিল্লা, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, রংপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম প্রভৃতি স্থানে এসব শিল্প নিদর্শনগুলো দেখা যায়। পোড়ামাটির এসব শিল্পকর্মে রঙের ব্যবহার খুবই চোখে পড়ে। পোড়ামাটির এসব শিল্প কর্মবাংলার লোক সমাজের লোকায়ত ভাবনা এক অনুপম অভিজ্ঞান হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। চর্তুদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত বাংলার বহু মসজিদে ও মন্দিরে টেরাকোটার শিল্প কর্ম দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে আউলিয়া মসজিদ, গৌড়ের ছোট সোনা মসজিদ, বিবিচিনি শাহী মসজিদ, বাবা আদম মসজিদ, বাঘামসজিদ, পাবনার জোড় বাংলা মন্দির, কাজে টেরাকোটার অলঙ্করণ দেখা য়ায়। এখান থেকে বিষয়টি স্পষ্ট যে, লোক শিল্পীদের মাটি চিনে নেবার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ । মৃৎশিল্পীরা তাদের টেরাকোটায় মূর্তি নির্মাণ করতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়কে আশ্রয় করেছেন। এর মধ্যে পুরানকে কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে রামায়ণ-মহাভারত ও রাধা কৃষ্ণের লীলাবিষয়ক রামায়ণ ও কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের কাহিনীর নানান মূর্তি। লোকায়ত জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে গৃহ সাজসজ্জার নানা উপকরণ ফল-ফুল, পুতুল, হাঁড়ি-কলসি, লতাপাতা, ঘট বিভিন্ন মুখোশ ইত্যাদি। বিভিন্ন ভঙ্গীতে নারী মূর্তি কর্মকেন্দ্রিক জীবনের নানা দৃশ্য, পশুপাখি কেন্দ্রিক নানা পুতুল হাতি, ঘোড়া, উট, ময়ুর, গরু, হরিণ, ভালুক, বিড়াল, বাঘ, সিংহ ইত্যাদি। এছাড়াও দেখা যায়, সঙ্গীত কেন্দ্রিক নানা যন্ত্র হারমনিয়াম, তানপুরা, খোল-করতাল, তবলা-ডুগডুগি, বাঁশি-বেহালা ইত্যাদি। কোন কোন মূর্তিতে অসংস্কৃত ভঙ্গিমাও লক্ষণীয়। এসব মূর্তি তৈরির পিছনে শিল্পীরা আদিম যাদু বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে বলেই মনে হয়। ঐতিহ্যবাহী লোকায়ত জীবনের লোকজীবনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে গৌরব ম-িত টেরাকোটা শিল্প। শিল্প তার নিজস্ব গুণেই প্রাচীনকাল থেকে অদ্যবধি টিকে থাকবে তত কাল পৃথিবী টিকে থাকবে যতকাল। নৃপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রাজৈর-মাদারীপুর। মহান বিজয় দিবস ... ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী নরপিশাচদের হাত থেকে বাংলার দামাল ছেলেরা যে বিজয়ের লাল সূর্য কেড়ে আনে তারই ৪৩ বছরের প্রান্তে আমরা দাঁড়িয়ে। আমাদের সাহস, মনোবল আর দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের জন্যইও ওরা আত্মসমর্পণ করে আমাদের কাছে ওই দিন নতিস্বীকার করেছিল। আমরা যে স্বপ্নে এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম সেখানে আজ কতটুকু স্বার্থক তাই আজ জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন থেকে যায়। বিজয়ের এই ৪৩ বছরে আমরা দেশের জন্য কি করতে পারলাম তার হিসেব না করে শুধু কি পেলাম এই হিসেবেই আমরা আজ ব্যস্ত। যা জাতির জন্য লজ্জার বিষয়। সকল বিভেদ ভুলে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ দেশ বিনির্মাণে নিজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব এটাই হোক বিজয়ের ৪৩ বছরে আমাদের দৃঢ় শপথ। দেওয়ান ফাহিম ফয়সাল কচুয়া, সখীপুর, টাঙ্গাইল। জঙ্গীদের টার্গেট এখন আবাসিক এলাকা ঢাকার আবাসিক এলাকা ওয়ারী। এখানে রয়েছে অসংখ্য আকাশচুম্বি অট্টালিকা। বসবাস করেন বিত্তবান বিত্তশ্রেণী, ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা, সাবেক মন্ত্রীসহ নামী দামী ব্যক্তিরা। আবাসিক এলাকা কাম বাণিজ্যনগরী হিসেবে সুপরিচিত। ওয়ারীতে রয়েছে নানা প্রকার কেমিক্যাল গুদাম। থানা, পুলিশ ফাঁড়ি। ওয়ারীর উত্তরে জয়কালী মন্দির ও বঙ্গভবন, দক্ষিণে টিপু সুলতান সড়ক, পূর্বে রাজধানী সুপার মার্কেট, র্যাব অফিস ও পশ্চিমে বনগ্রাম। আবাসিক এলাকার চারপাশে প্রতিবেশী ঘিঞ্জি ঘনবসতি এলাকা। অভিযোগ রয়েছে অনেক আগে থেকেই জঙ্গীগোষ্ঠীর নজরে ছিল অত্র এলাকা। নিরাপদ স্থান হিসেবে সরকার পতনের অবৈধ কর্মকা- পরিচালনার অংশ হিসেবে জঙ্গীগোষ্ঠীর অত্যন্ত সুচারুভাবে গড়ে তোলার সুযোগ পেয়েছে বোমা তৈরির কারখানা! মনে হয় এলাকাটি শক্তিশালী বোমার আঘাতে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র হিসেবে এখানে শক্তিশালী বোমা তৈরির স্থাপন করেছিল সবার অজান্তে! ভারতের সাতকন্যার আসামের উলফা ও বাংলাদেশের জেএমবির সঙ্গে যোগ হয়েছে হিজবুত তাহরীর, জামায়াত ইসলাম ছাত্র শিবির। এরা অর্থের বিনিময়ে সহজ-সরল নিরীহ যুবকদের দলে টানছে। অসংখ্য গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাব এবং পুলিশ কাজ করার ফাঁকে জেএমবি শিবির-জামায়াত, হিজবুত খোদ রাজধানীতে বোমা, ককটেল, অস্ত্র তৈরির কারখানা তৈরি করে মজুত করছে, ব্যবহার করছে। গোপন সভা ও মিছিল করে যাচ্ছে অবলীলাক্রমে। কার্যক্রম পরিচালনা এবং অঘটন ঘটানোর জন্য জানা-অজানা ভিনদেশ ও নিজ দেশের কতিপয় ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, কালো টাকার মালিক ও ইসলামী ব্যাংক শতশত কোটি টাকা সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিচ্ছে এই ধরনে খবর আসছে পত্র-পত্রিকায়। অবিলম্বে রাজাকার, আলবদর, আল শাম্স, যুদ্ধাপরাধী স্বপক্ষের দোসরদের গ্রেফতার করে জেএমবি, শিবির কর্তৃক সন্ত্রাসীদের বোমা তৈরির কারখানাগুলো শনাক্ত করে দেশ ও জাতিকে শঙ্কামুক্ত রাখতে ব্যবস্থা নিতে হবে। মেছের আলী, শ্রীনগর। যৌতুকের বিরুদ্ধে নারী হচ্ছে মায়ের জাতি কিন্তু তারা আজ বিপদগ্রস্ত। তাদের রক্ষা করতে গিয়ে দেখলাম, মিলিয়নপ্রতি আর অট্টালিকার মালিক যারা মডেলিং যৌতুক ফর্মুলা তৈরি করেছে ও মালসামানা দিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে তাদের এই রেশ ধরে সাধারণ ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষের মধ্যেও ঘটক দিয়ে যৌতুকের ব্যবসা তৈরি করেছে। তাই তো সমাজে মেয়েরা মূল্যহীন হয়েছে। তাই আমি কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের পক্ষ ধরে ১৯৭৪ সালের বিবাহ ও নিখাহ নামার আইন বিশ্লেষণ করে দেখলাম যে, ১৩নং কলামে দেনমোহর ধার্য করা হয়। এ দেনমোহরের পরিমাণ বরের উপার্জন ও সামর্থ্য অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে। বর বা কনেপক্ষ যদি ১৩নং কলামটি বুঝতে না পারে তবে তাদের বুঝাবেন কাজী। এর পরে ১৪ ও ১৫নং কলমটি সম্পর্কেও উভয়পক্ষকে বুঝাবেন কাজী। কাজীরা ব্যবসায়িক ফাঁদ তৈরি করছে। এই ফাঁদের কারণে কাজীগণ উপকৃত বা লাভবান হয়েছে ঠিকই কিন্তু জাতির ওপর নেমে এসেছে এক ভয়াবহ যৌতুক নামক অভিশাপ। এই অভিশাপ থেকে রক্ষা পেতে হলে আইনের ১৪ ও ১৫নং কলামটি সংশোধনে আনতে হবে। ১৪ ও ১৫নং কলামের আইনটিকে সংশোধনে এনে দেনমোহরানা ছেলের সামর্থ্য অনুযায়ী করতে হবে এক হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে রেখে সেটাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করলে ভাল হবে এবং যদি কারও স্ত্রীকে বেশি গহনা দেয়া হয় সেটা উল্লেখ রাখা যেতে পারে কাবিনে। আমার জানা মতে, ১৯৭৪ সালে দেনমোহর বেশি ধার্য করা হতো কারণ তখনকার আমলে তালাকের প্রথাটা বেশি ছিল যার ফলে এই আইন প্রয়োজন ছিল। তাই এই আইনটি করা হয়েছিল। মোঃ ফরিদ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ঢাকা। এরা জ্ঞান পাপী বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান এবং তাদের অনুসারী দেশের অন্য অনেক জ্ঞানপাপীদের মিথ্যাচার আর অপপ্রচারে বিভ্রান্ত দেশের কিছু সাধারণ মানুষ। অর্থের প্রলোভনে পরে দিকভ্রান্ত বর্তমান তরুণ সমাজের একাংশ স্বাধীনতার ৪৩ বছরে এসেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জনক বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটুক্তি করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা করে। বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দিনে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়ে ভুয়া জন্মদিনের দানবীয় উৎসব করে। অথচ একটি জাতির চরম চাওয়ার পরম পাওয়া হচ্ছে সে দেশের স্বাধীনতা। আর স্বাধীনতার জনক হোন সে দেশের সকলের শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্বাধীন জাতিকে পছন্দ করেন। অথচ দেশের কিছু অর্বাচিন ব্যক্তি এবং তাদের অনুসারীরা আজও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং এর বিরোধিতাকারী মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলছে নিরন্তর। এরা স্বাধীনতা পক্ষের কোন কিছুকেই ভাল চোখে দেখে না। সব কাজেরই ছিদ্র অনে¦ষণ করে বেড়ায়। এরা পরাজিত শক্তির পদলেহনে তুষ্ট হয়। রাজনীতিতে অপরিপক্ব অর্ধশিক্ষিত নীতিও আদর্শ বিবর্জিত দুর্নীতিবাজ অর্থ পাচারকারীকে নেতা মেনে তার পেছনে ছুটছে। তার বিকৃত মানসিকতার মিথ্যাচারের আস্ফালনে বাহবা দিচ্ছে। স্বপ্ন দেখছে আবার ক্ষমতার মসনদে বসার। অথচ এদের কারণেই বারো আওলিয়ার পুণ্য ভূমিতে ধর্মীয় শান্তি আর সম্প্রীতির দেশে জঙ্গীবাদ আর মৌলবাদীর সৃষ্টি হয়। কাজেই ভয় হয় এদের হাতে আবার পড়লে দেশ ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে বাংলাদেশ। মোঃ ওসমান গনী কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
×