ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পদ ৪১, কর্মরত ১

লালমনিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

লালমনিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ৯ ডিসেম্বর ॥ লালমনিরহাট এক শ’ শয্যার হাসপাতালে অনুমোদিত চিকিৎসক পদের সংখ্যা ৪১টি, কর্মরত আছেন মাত্র ১০ জন। জেলা সদর উপজেলাসহ ১০টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের পদ ১৩টি। কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন। দুই বছর ধরে এক শ’ শয্যার হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। সামান্য ফোঁড়া অপসারণে যেতে হয় প্রাইভেট ক্লিনিকে। চিকিৎসাসেবার এই দুর্বলতার অজুহাতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে শহরের আনাচে- কানাচে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়োগনস্টিক সেন্টার। লালমনিরহাটে কর্মরত এক শ’ শয্যার সরকারী হাসপাতাল, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ মাঠ পর্যায়ের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরাই প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই ছোট-বড় ও জটিল সকল প্রকার অপারেশন করছেন। অথচ এক শ’ শয্যার হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটারে আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও দুই বছর ধরে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। লালমনিরহাট জেলায় স্বাস্থ্যসেবার মান খুবই নাজুক। চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে এক শ’ শয্যার সরকারী হাসপতালটিতে স্বল্প আয়ের মানুষ ও হঠাৎ অসুস্থ হওয়া রোগীরা চিকিৎসাসেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে দুর্ঘটনাজনিত কোন রোগী হাসপাতালে এনে চিকিৎসক না থাকায় সময়ক্ষেপণ হয়। এরপর তাকে যেতে হয় রংপুরে। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর অনেক পদ শূন্য রয়েছে। সুইপার পদে হরিজন পল্লীর মানুষকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিয়োগ না দিয়ে সাধারণ হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতে করে সুইপার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন মলমূত্র, অপারেশনের বর্জ্য, বাথরুম, টয়লেট, হাসপাতালের মেঝে, ওয়ার্ড়ের রোগীদের ময়লা-আবর্জনা রাখার গামলা পরিষ্কার করতে চায় না। ফলে হাসপাতালের মেঝে, সিঁড়ি, রোগীর ওয়ার্ড়, বাথরুম, টয়লেট নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশ সার্বক্ষণিক বিরাজ করে। লালমনিরহাট সরকারী এক শ’ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কটসহ নানা অব্যবস্থাপনা চলছে। হাসপাতালটি নিজেই এখন রুগ্ন হয়ে পড়েছে। এখানে কর্মচারীদের রয়েছে সিন্ডিকেট। অনেকে বহু বছর ধরে একই কর্মস্থলে চাকরি করছে। লালমনিরহাট জেলার সিভিল সার্জন একেএম মোস্তফা কামাল জানান, তিনি সদ্য এই জেলায় সিভিল সার্জন হিসেবে যোগ দিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কটসহ নানা সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেন।
×