ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সঠিক তালিকা চাই

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

সম্পাদক সমীপে

নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামে এবং ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরি। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৪২ বছর অতিক্রম হলেও আজও সেই বীরসেনানী মুক্তিযোদ্ধাদেও একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন হয়নি। ক্ষমতা আর রাজনৈতিক প্রভাবে বার বার তালিকা পরিবর্তন হয়েছে। দেখা যায় অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় নেই। আবার অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় স্থান পেয়েছে। শুধু তাই নয়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারাও সরকারী ভাতা গ্রহণ করছে। ফলে আজও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের এই বিড়ম্বনা থেকে রেহাই দেয়া খুবই জরুরী। আমাদের দেশপ্রেমিক সুদক্ষ সেনাবাহিনী দ্বারা অতি অল্প সময়ে একটি নির্ভুল ও নিরপেক্ষ তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব। তা না হলে সঠিক তালিকা শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংশ্লিষ্ট মাননীয় মন্ত্রী তথা সরকারের কাছে আমাদের আবেদন একটি সঠিক ও নির্ভল তালিকা প্রণয়ণ করে অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশিত মূল্যায়ন করুন। মোঃ রফিক উদ্দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাটিগ্রাম, মানিকগঞ্জ। নারীদের নিরাপত্তা অধিকার আদায়ে সচেতন হলেও যাতায়াতে এখনও নারীরা নিরাপদ মনে করছে না। রাস্তাঘাটে, গণপরিবহনে, বিপণিবিতান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে নারীরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়ে থাকে। এক জরিপে দেখা যায়, মফস্বল থেকে শহরের ৯৫ শতাংশ নারী যৌন সহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। তারা এ ধরনের সহিংসতায় থানা পুলিশের সাহায্য-সহযোগিতা নেয়াকে বিড়ম্বনা মনে করছে। কারণ পুলিশ এক্ষেত্রে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে একেবারে ব্যর্থ। গার্মেন্টের মেয়েরা, সুবিধাবঞ্চিত বা দরিদ্র ঘরের নারী ও মেয়েদের অবস্থা করুণ। প্রথমত তারা ঘটনার শিকার হলে সমাজ তাদের দোষী করে থাকে। পথে-ঘাটে, দোকানপাট, বিপণিবিতানগুলো বা পার্কে মেয়েদের বখাটেরা সাধারনত উত্ত্যক্ত করে থাকে। এমনকি অফিসের সহকর্মী বা বসরা কাজের নামে নারী চাকরিজীবীদের অহরহ বিরক্ত করে থাকে। এটাও এক ধরনের যৌন হয়রানি। উল্লেখ্য, নারীদের অবাধ মেলামেশা, না জেনেশুনে বখাটে বা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলা, নারীর অবাধ চলাফেরা এবং তাদের অশ্লীল পোশাক, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ফেসবুক ইত্যাদির কারণে তারা যৌন হয়রানির শিকার হয়। এছাড়া সিনেমা, মডেলিং, অভিনয়, রেস্টুরেন্টে খাওয়া ইত্যাদির নামে আড্ডা থেকে নারী তার সর্বস্ব হারিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোন নারী বা মেয়ে তাদের বন্ধু বা সহপাঠীদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমে অজান্তে নেশাজাতীয় কোক বা এ জাতীয় ড্রিনক্স খায় তখনই বিপত্তি। সে নারী বা মেয়েরা তার বন্ধুদের কাছে তখনই তার সম্ভ্রম হারিয়ে থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। অনেক ক্ষেত্রে নারীরা ব্ল্যাকমেইল হয়ে থাকে। বন্ধুরা তাদের এ ধরনের ভিডিও চিত্রগুলো বাজারে ছেড়ে দিবে না হলে টাকা দাবি করে জিম্মি করে। এক্ষেত্রে নারীরা ও তাদের পরিবার বড়ই অসহায়। অনেক নারী বা মেয়েদের পরিবার এ সকল ঘটনার ব্যাপারগুলো লাজ-লজ্জার কারণে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে চায় না। সহপাঠী বন্ধু বা বখাটেদের উৎপাতে অনেক নারী শেষে আত্মহত্যা করে থাকে। আজও আমাদের দেশের নারী সমাজ অবহেলিত। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা। বিটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘শেষ কোথায়’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রতি শুক্রবার নিয়মিত সন্ধ্যা ৭টায় ও প্রতিদিন বিভিন্ন সময় পুনর্প্রচার হতো জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ‘শেষ কোথায়’। ওই অনুষ্ঠানটি দেখে দেশের জনগণ অনেক সচেতন হয়েছে বলে আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজ মনে করে। এ ধরনের জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আমাদের সমাজের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আপনি প্রথম ব্যক্তি যে ধরনের একটা সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে একজন সাহসী ও একনিষ্ঠ উপস্থাপক/সাংবাদিক দিয়ে অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করিয়ে প্রচার করার ব্যবস্থা করে জনগণকে সচেতন করায় ইতিবাচক পদেক্ষপ নিয়েছিলেন। যা দ্বারা আপনি তথা আপনার প্রশাসন ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের কারণে দেশের আপামর জনসাদারণের মুখে শুনেছি আপনার দূরদর্শিতা ও প্রশংসার কথা। এও শুনেছি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারাই ওই ধরনের অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করা সম্ভব। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশ্যে মোবাইল কোর্টের বিচার দেখে অন্য অপরাধীরা ওই ধরনের অপরাধ করা থেকে বিরত থেকেছে। অপরাধীরা বুঝতে পেরেছে অপরাধ করলে তার সাজা হয়। আমরা সাধারণ জনগণ দেখেছি বিটিভির নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘শেষ কোথায়’ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অসহায় মানুষদের প্রাণের কথা তুলে এনে প্রচার করত। এতে ওই এলাকার সাধারণ মানুষকে অসৎ ব্যক্তিরা প্রতারিত করতে পারে নাই। কারণ এলাকাবাসী বুঝতে পেরেছিল তারা কাদের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছিল। জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানের কারণে আপনার জনপ্রিয়তা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি সেনাবাহিনীর কার্যক্রম, পুলিশ বিভাগের সাফল্যগাথা, র‌্যাবের কার্যক্রম, উপজেলা নির্বাহীদের কার্যক্রম, জেলা প্রশাসনের কার্যক্রম, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কার্যক্রম, বিভিন্ন হাট-বাজারের কার্যক্রম, বিআরটিএর কার্যক্রম, শিক্ষাব্যবস্থার কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠানটি নির্মিত হতো, যাতে সংশ্লিষ্ট মহলের কৃতীগাথা তুলে ধরা হতো। আমরা সাধারণ জনগণ এখনও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকি অনুষ্ঠানটি আবার কবে প্রচারিত হবে। জনস্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে ‘শেষ কোথায়’ অনুষ্ঠানটি পুনরায় প্রচার করা প্রয়োজন। জাহাঙ্গীর আলম প্রভাষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের উন্নয়নে... মানুষ তার প্রখর বুদ্ধিবলে প্রযুক্তিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। সুদূর মঙ্গলগ্রহে মনুষ্যযান পৌঁছেছে। কিন্তু এটাই বাস্তব যে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যে গতিতে উন্নতি ঘটেছে, মানুষের মানবিকতা ও নৈতিক চেতনা সেই পরিমাণে উন্নতি ঘটেনি। বরঞ্চ অবনতিই ঘটেছে। যে এ্যাটোম বোমাকে খনি আবিষ্কারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু সেই এ্যাটোম বোমা দিয়েই হিরোশিমা-নাগাসিকাতে বিধ্বংসী ঘটনো হয়েছিল। তাহলে এখানে কী এ্যাটোম বোমা তৈরি করা মানুষের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল? নাকি এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষের নৈতিকতার অভাব ছিল? জ্ঞানী ব্যক্তির জ্ঞান যদি ভাল অভিপ্রায়ে ব্যবহৃত না হয় তাহলে সে জ্ঞানের কোন মূল্যই থাকে না, সেইরূপ মানুষ যদি কোন কিছু সৃষ্টি করে, সেটি যদি কোন মানবকল্যাণে না এসে যদি অকল্যাণ বয়ে আনে তাহলে সে সৃষ্টির কোন মূল্যই থাকে না। আর এ সকল মূল্য-অমূল্য নির্ভর করে মানুষের নৈতিক-অনৈতিক চিন্তার উপর। রাষ্ট্রের ও সমাজের মানুষের একটি শুভ চিন্তা একটি দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে ও শান্তি স্থাপন করতে পারে। তাই সারাবিশ্বকে আজ সেই শুভ চিন্তার উন্মেষ ঘটাতে হবে। আজ বহু দেশে গণতন্ত্র পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারছে না, সন্ত্রাসবাদের বৃদ্ধি ঘটছে, সাধারণ মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েই চলছে, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারছে না, আর এর সকল কিছুর জন্য মানুষের অনৈতিক চিন্তাই দায়ী। একটি দেশ তখনই সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করতে পারে, যখন সে দেশের মানুষ তাদের দেশের উন্নতি ও মানুষের কল্যাণের প্রয়াসে নিজেদের মধ্যে নৈতিক ভাবনা স্থাপন করে থাকে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে ৪৩ বছর পেরিয়ে গেছে। ৪৩ বছর একটি জাতির জন্য কম সময় নয়। কিন্তু দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য, নারী বৈষম্য, সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে আমরা আজও মুক্তি পাইনি। এর জন্য আমরাই দায়ী। তাই আসুন সকলেই নিজের দেশ তথা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নৈতিক দর্শনকে উপলব্ধি করি। সুকদেব বিশ্বাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। হারিয়ে যাচ্ছে কবি গুরু বলেছেন, বাঁচতে হলে লাঙ্গল ধরো আবার এসে গাঁয়। সকালে কৃষক পান্তা খেয়ে বলদ নিয়ে লাঙ্গল কাঁধে ফসলের মাঠে যায়। সে দৃশ্য অনেক কবি-সাহিত্যিকের মন কেড়ে নেয়। বাতাসে যখন ফসল দোল খায় সে দৃশ্য যে কারও মন আনন্দে দোলতে থাকে। কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রম ফসল ফলায়। আর সেই ফসরের দ্বারা আমাদের জীবন বাঁচে। তাই কবি বলেছেন, ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে কৃষক বাঁচবে। আর কৃষক বাঁচলে আমরা বাঁচব। কৃষক হচ্ছে সব চেয়ে বড় সাধক। সবচেয়ে খাঁটি বড় নেতা। আধুনিক নগর সভ্যতার যুগে গ্রাম আজ বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। তার স্থান দখল করছে ইট, কাঠ, পাথরের বড় বড় অট্টালিকা। পরিবেশবাদীরা বলেন, গ্রাম হচ্ছে অক্সিজেনের ফেক্টরি। সারাক্ষণ অক্সিজেন নির্গত হয়। গ্রামের মাটির ঘর আরেক আর্শ্চয জিনিস। অপরূপ সৌন্দর্যে গড়া এ মাটির ঘর যেন এ্যায়ারকন্ডিশন। এই ঘরের ভেতর গরমের সময় ঠা-া, আর শীতের সময় গরম লাগে। গ্রামের নওজুয়ান আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। সেই সুন্দর গ্রাম আজ আর নেই। আছে শুধু স্মৃতি। বালুর অতল গহ্বরে গ্রামের সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে গেছে। কিন্তু আধুনিক নগর সভ্যতার যুগে সবাই এখন গ্রাম ছেড়ে ঢাকামুখী। তাই ঢাকায় জনসংখ্যার চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমবর্ধŸমান জনসংখ্যার আবাসন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর সে সুযোগে আবাসন কোম্পানিগুলো বা হাউজিং কোম্পানি জনগণ বলে ভূমিদস্যু কোম্পানিগুলো ঢাকার আশপাশের গ্রামগুলোকে গ্রাস করে আবাসন তৈরি করছে। গ্রামের জলাশয় ভরাট হচ্ছে। কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিলুপ্ত হচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার চিরচেনা রূপ। ঢাকা শহরে প্রায় ২ কোটি লোকের বসবাস। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৮ হাজার ৪৬১ জন লোকর বাস। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৫ ভাগ। হুড়হুড় করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বসবাসের জন্য বাড়িঘর তৈরিতে জমির চাহিদাও বেড়েছে বহুগুণ। অন্যদিকে জমির চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জমির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে অত্যধিক। কৃষি জমিতে তৈরি হচ্ছে আবাসন। আর হ্রাস পাচ্ছে কৃষি জমি। উৎপাদন কমে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক আয় কমে যাচ্ছে। খাদ্যাভাব দেখা দিচ্ছে। নতুন শহর বা উপশহরকে কেন্দ্র করে এখানে জমির চাহিদা ও মূল্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই জমি ভরাট করে প্লট বানিয়ে বেমি দামে বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। কেউ কেউ ৪০-৫০ ফুট গভীর জলাশয় ক্রয় করে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে আকর্ষণীয় কমিশনে প্লট বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। তাতে ওইসব অঞ্চলের জলাশয় ও কৃষি জমি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। কৃষি উৎপাদন কমে যাচ্ছে। বন্যা ও জলাবদ্ধতামুক্ত রাখতে হলে শহরের চারপশে পানি প্রবাহ সচল রাখতে হবে। কিন্তু হউজিং কোম্পানিগুলো কোন আইন-কানুন ও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই তাদের কর্মকা- অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সেচ, নৌ-চলাচল, গবাদি পশুর খাদ্য, পাখির আশ্রয়স্থল, জ্বালানি ও জৈবসারসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্যাভাব ও কর্মস্থল বিলীন হচ্ছে। হাউজিং কোম্পানির কর্মচারীরা বলেন, জমির মালিকরা জমি বিক্রি করে দিলে কারও কিছু করার থাকে না। কিন্তু বাস্তব চিত্র অন্যরকম। সর্বোপরি ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। কবিগুরু বলেছেন, বাঁচতে হলে লাঙল ধর আবার এসে গাঁয়। আমাদের বাঁচতে হবে এবং গ্রামগুলোকে বাঁচাতে হবে। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের জলাশয় ও জমিগুলোকে হাউজিং কোম্পানির রাহুগ্রাশ থেকে রক্ষা করতে হবে সবাই মিলে। নজরুল ইসলাম লিখন ঢাকা।
×