ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টিআইবি ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

টিআইবি ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি দমনে বিবেক ও বুদ্ধি একত্র করে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অথচ বিএনপি সরকারের আমলে দুদককে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে করার ফলে ৪ বার বিশ্বে দুর্নীতিতে প্রথম স্থান দখল করেছিল। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে কমিশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ ও সংস্থাটি বিশেষ কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন। এ ধরনের (টিআইবি) শত্রুর কাছ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন তিনি। অপরদিকে পুলিশের কাছে যেতে ভয় পেলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে আসতেই চায় না সাধারণ মানুষ। দুদক নখ-দন্তহীন নয়, তা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দিতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং বর্তমান আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হক বলেন, টিআইবি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানদ-ের দাবি করলেও অপরাপর প্রতিষ্ঠানের ওপর ধারণা থেকে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তিনি বলেন, আমি যখন প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, ২০১০ সালের শেষ দিকে টিআইবি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, বিচার বিভাগ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগস্ত। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি আমলে দুর্নীতি যে হতো তা কারও চোখে ভাসতো না। বর্তমানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশন যুদ্ধে নেমেছে। দুর্নীতি কমাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যে দুর্নীতি হয়েছে, তা বিশ্ববাসী জানেন। ওই সময় আমরা চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আপনাদের আমলের দুর্নীতিকে আপনারা চোখে দেখেননি। আপনারা তা আলমারিতে আটকে রেখেছিলেন। আপনার বিরুদ্ধে ভৈরব সেতুর মামলা হয়েছে। ঐ মামলা থেকে আপনাকে (খালেদা জিয়া) অব্যাহতি দিয়েছে দুদক। এক্ষেত্রে দুদক আপনাকে দায়মুক্তি দিয়েছে, তাতো আপনি বলেন না। আপনারা কথায় কথায় দুদককে দায়মুক্তি কমিশন বলছেন। কিন্তু আপনাদের সময় কী করেছেন। দুদককে অকার্যকর প্রতিষ্ঠান করে রেখেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা দেখি দুর্নীতিবাজকে। সে কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য, সেটা আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়।
×