ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অব্যাহতি পেলেন শ্বেতা বাসু

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪

অব্যাহতি পেলেন শ্বেতা বাসু

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী ভারতীয় অভিনেত্রী শ্বেতা বাসু প্রসাদের বিরুদ্ধে অবৈধ যৌন ব্যবসায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন হায়দ্রাবাদ মহানগর দায়রা আদালত। ৫ ডিসেম্বর শ্বেতাকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত। হায়দ্রাবাদের একটি হোটেল থেকে অবৈধ যৌন ব্যবসায় জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে গ্রেফতার হন এই অভিনেত্রী। এরপর দুই মাস পুলিশের তত্ত্বাবধানে পুনর্বাসন কেন্দ্রে কাটান তিনি। এ বিষয়ে ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে ২৩ বছর বয়সী অভিনেত্রী শ্বেতা বলেন, এভাবে নিজের সত্যতা প্রমাণের অপেক্ষায় ছিলাম। যদিও এ ঘটনাকে পেছনে ফেলে আমি সামনে এগিয়ে গেছি। কিন্তু এর একটা শেষ হওয়ার প্রয়োজন ছিল। আদালত আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। বলে বোঝাতে পারব না, এখন কতটা হালকা বোধ করছি। মনে হচ্ছে মাসের পর মাস আমার নামকে ঘিরে যে অবিশ্বাস আর সন্দেহের জাল তৈরি হয়েছিল, অবশেষে তা পরিষ্কার হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত কয়েক মাসে এই প্রথম তাঁর বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটেছে। এদিকে শ্বেতা গ্রেফতার হওয়ার পর গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছিল, দক্ষিণী চলচ্চিত্রে তেমন সুবিধা করতে না পেরে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। নিজের ও পরিবারের ভরণপোষণের জন্য তাঁর কাছে আর কোন দরজা খোলা ছিল না। পুনর্বাসনকেন্দ্রে দুই মাস থাকার পর জামিনে বাড়ি ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় শ্বেতা জানান, এমন কোন বক্তব্যই তিনি দেননি। শুধু তাই নয়, ওই হোটেলে তিনি গিয়েছিলেন একটি এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। দুর্ভাগ্যবশত ওই রাতে গ্রেফতার হন তিনি। এ বিষয়ে শ্বেতা বলেন, এই পুরো বিষয়টি যে কত অন্তসারশূন্য ও অপ্রয়োজনীয় তা এখন বুঝতে পারছি। আমি যে বেঁচে আছি, সুস্থ আছি এবং যে কোন কিছু করার জন্য প্রস্তুত তাতেই আমি খুশি। জীবন সুন্দর এবং আশাপ্রদ মনে হচ্ছে। আমার একটাই দুঃখ যে গণমাধ্যমের একটি অংশ আমার বিচার করেছে। আমাকে নিজের পক্ষে কথা বলার সুযোগ দেয়া উচিত ছিল। অসুবিধা নেই। এখন যেহেতু আমার কলঙ্ক ঘুঁচে গিয়েছে, কারও বিরুদ্ধে কোন ক্ষোভ নেই। প্রসঙ্গত, শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করা শ্বেতা ছোটপর্দার চেনা মুখ হয়ে উঠেছিলেন ‘কাহানি ঘার ঘার কি’, ‘কারিশমা কা কারিশমা’র মতো টিভি সিরিয়ালের বদৌলতে। ২০০২ সালে মুক্তি পায় তার ভিশাল ভারাদওয়াজের পরিচালনায় তার চলচ্চিত্র ‘মাকড়ি’। শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন। এছাড়াও ‘ইকবাল’ চলচ্চিত্রে শ্বেতার অভিনয় প্রশংসিত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি দক্ষিণী চলচ্চিত্রে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
×