ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে সোনালী ব্যাংক লুটের চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

রাজশাহীতে সোনালী  ব্যাংক লুটের  চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী নগরীতে সোনালী ব্যাংক কোর্টবিল্ডিং শাখার ভল্ট ঘেঁষে সুড়ঙ্গ করে লুটের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সুড়ঙ্গ খোড়ার সময় স্থানীয়রা জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। তবে পুলিশ আসার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে ব্যবহৃত খুনতি, বেলচা, দা, ছেনি, শাবল, হাতুড়ি, করাতসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানান, সোনালী ব্যাংক কোর্টবিল্ডিং শাখার ভবনটি রাস্তার পাশে হলেও প্রাচীর ঘেরা। এ জন্য সেখানে কি হচ্ছে পথচারীরা ভালভাবে লক্ষ্য করতে পারেন না। ব্যাংকের ভল্ট সেখানেই অবস্থিত। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পথচারীরা প্রাচীর ও ভল্ট ঘরের মাঝের ফাঁকা জায়গা থেকে খোঁড়াখুঁড়ির শব্দ পান। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সেখানে টহল পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে লোকজন যন্ত্রপাতি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খোঁড়ার কাজে ব্যবহৃত খুনতি, বেলচা, দা, ছেনি, শাবল, হাতুড়ি, করাতসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। নগরীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। ব্যাংকের ভল্ট ঘরের বাইরের দেয়ালে ২ ফিট পর্যন্ত খুঁড়তে পেরেছিল তারা। ছুটির দিন টার্গেট করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা বৃহস্পতিবার থেকেই কাজ শুরু করে। স্থানীয়রা টের না পেলে রবিবার ব্যাংক খোলার আগেই ভল্ট পর্যন্ত জড়িতরা পৌঁছে যেতে পারত বলে পুলিশ ধারণা করছে। এ ঘটনার সঙ্গে বড় সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত আছে বলেও পুলিশের ধারণা। এদিকে ঘটনার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) তানভির হায়দার চৌধুরী। তিনি জানান বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ। এদিকে সোনালী ব্যাংক রাজশাহী কোর্ট শাখায় সুড়ঙ্গ কেটে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। রাজপাড়া থানা পুলিশ কোর্টের আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। শুক্রবার বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এরা হলো; মহানগরীর রাজপাড়া থানার কেশবপুর এলাকার আবদুর রউফের ছেলে সেলিম (৩০), গুলজারবাগ এলাকার আলমগীরের ছেলে নাজমুল ইসলাম (৩২), ডিঙ্গাডোবা এলাকার মৃত উজিরের ছেলে মানিক মিয়া (২৮), বহরমপুর এলাকার মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে টুটুল (২৫) ও দাশপুকুর এলাকার মৃত সাদেক আলীর ছেলে মিনারুল (৩০)। রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক শামিম উদ্দিন জানান, আটককৃত পাঁচজনকে আজ শনিবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ওই চুরির ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপক আবদুল হাদি বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
×