ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হংকংয়ে আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

হংকংয়ে আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক

হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের এক সংগঠক নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো দখল করাকে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে আইন অমান্য আন্দোলন করারও আহ্বান জানান। খবর এএফপির। গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীরা তাদের আন্দোলনের নাম দিয়েছেন অকুপাই সেন্ট্রাল উইথ লাভ এ্যান্ড পিস মুভমেন্ট। আন্দোলনের তিন প্রতিষ্ঠাতার একজন হলেন বেনি তাই। তিনি বলেন, আন্দোলন এখন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, বিক্ষোভকারীরা তাদের শিবিরে অবস্থান করলে পুলিশের সঙ্গে আবারও সহিংস সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসে এক সম্পাদকীয়তে তিনি লেখেন, ‘অকুপাই এখন ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, বিক্ষোভকারীদের কর পরিশোধে অস্বীকৃতির মতো অসহযোগ কর্মকা- পালন করা উচিত। চীনের অধীন আধা স্বায়ত্তশাসিত এ ভূখ-ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীসহ হংকংয়ের সর্বস্তরের মানুষ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তাঁবু গেড়ে আন্দোলন করছেন। চীন বলেছে, হংকংবাসী ভোট দিতে পারবেন। তবে প্রার্থীরা যোগ্য কিনা সে সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেবে বেইজিং। গণতন্ত্রের দাবিতে প্রথম দিককার সমাবেশগুলোতে হাজার হাজার লোক অংশ নেয়। তবে ধীরে ধীরে আন্দোলনের প্রতি জনসমর্থন হ্রাস পেতে থাকে এবং পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষে বহু আহতও হয়। এ প্রেক্ষাপটে দিন দিন জনসমাবেশগুলোতে লোক সমাগম কমতে থাকে। এছাড়া কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়। আন্দোলনকারীরা তিনটি স্থানে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ করে আসছিল। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত একটি থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পেরেছে পুলিশ। হংকং কর্তৃপক্ষ আগামী সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার কর্মকা- আরও জোরদার করবে বলে জানিয়েছে। গত সপ্তাহান্তে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পুলিশের সঙ্গে শত শত বিক্ষোভকারীর সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা সরকারী সদর দফতর ঘেরাওয়ের চেষ্টা করলে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে। এদিকে আন্দোলনের তিন সংগঠক বেনি তাই, চ্যান কিন-ম্যান ও চু ইউ-মিং বুধবার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আন্দোলন বন্ধ করতে তাঁরা এ পদক্ষেপ নেন। অপরদিকে আন্দোলনে সক্রিয় বিভিন্ন গ্রুপ বিক্ষোভ কিভাবে চালিয়ে নেয়া হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। সম্পাদকীয়তে তাই লেখেন, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার চেয়ে সরকারকে অবরোধ করা অনেক বেশি কার্যকর।
×