ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অভিমত মাশরাফি ও মুশফিকের

দলের এই সাফল্য বিশ্বকাপের অনুপ্রেরণা

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২ ডিসেম্বর ২০১৪

দলের এই সাফল্য বিশ্বকাপের অনুপ্রেরণা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে জয়ের ধারায় ফিরেছে দল। শতভাগ জয় নিয়েই পূর্ণাঙ্গ একটা সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে জিম্বাবুইয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার পর ওয়ানডে সিরিজেও প্রতিপক্ষকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে সাফল্যের ষোলোকলা পূর্ণ করেছে দল। পুরো বছর খারাপ গেলেও শেষ পর্যায়ে এসে এমন সাফল্য দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাবে। আর বিশ্বকাপে আলাদা আত্মবিশ্বাস নিয়েই দল অবতীর্ণ হতে পারবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও এ সিরিজে সাবেক হয়ে যাওয়া অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। তবে বছরজুড়ে হারের বৃত্তে থাকলেও খুব বেশি খারাপ খেলেনি দল এমনটাই দাবি এ দু’জনের। তবে বিশ্বকাপের আগে মাঝের দুই মাসে ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত সব খেলোয়াড়ের এমনটাই মনে করেন মাশরাফি। তবে সেই সঙ্গে ক্রিকেটারদের মানসিক, শারীরিক ফিটনেস এবং যথাযথ অনুশীলনের প্রতি টিম ম্যানেজমেন্টেরও সার্বিক যতœ প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তিনি। আগামী বছর আরও চ্যালেঞ্জিং হবে এবং সে জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়াটা জরুরী বলে জানান মুশফিক। সব মিলিয়ে ওয়ানডে সিরিজ ১০ ম্যাচের হলেও প্রতিপক্ষকে একইভাবে নাজেহাল করা সম্ভব এমন আত্মবিশ্বাসটা এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে জন্ম নিয়েছে। তবে মাশরাফি এ বিষয়ে বলেন, ‘অনেক ম্যাচ খেললে শেষ পর্যন্ত ফলাফলটা কেমন হতো তা বলা মুশকিল। কারণ যে কোন দলই নিজেদের দিনে জিতে যেতে পারে। হয়ত দেখা যেত কোন একটা ম্যাচ আমরা খারাপ খেলতে পারতাম। সেক্ষেত্রে পাড়ার কোন দলের বিরুদ্ধে খেললেও হয়ত হারতে হতো।’ বিশ্বকাপের আগে এ জয়টা দারুণ এক অনুপ্রেরণার কারণ হবে দলের জন্য। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা এ বছর খুব বেশি খারাপ খেলেছি এমন নয়। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচেও হেরে গেছি। জয় পাওয়াটা অবশ্যই জরুরী। সেটা বাড়তি অনুপ্রেরণা দেয়। আমি মনে করি বিশ্বকাপের আগে এটাও আমাদের যথেষ্ট উজ্জীবিত হতে সহায়ক হবে। তবে আমি মনে করি সে জন্য প্রতিটি খেলোয়াড়কেই ব্যক্তিগতভাবে নিজের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যদি কোন ক্ষেত্রে সমস্যা হয় তখন কোচের পরামর্শ নিয়ে তা কাটিয়ে উঠতে হবে। সেই সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডকে খেয়াল রাখতে হবে সব ক্রিকেটারের মানসিক ও শারীরিক উন্নয়ন এবং ভাল অনুশীলন নিশ্চিত করার জন্য।’ তবে মাশরাফি বছরজুড়ে দলের বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছেন সেটার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাঁরাই দলকে জয়ী করার ক্ষেত্রে বেশি অবদান রেখেছেন। মাশরাফি মনে করেন পেসারদেরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে স্পিনারদের যথাযথ সমর্থন জোগানো উচিত। ব্যাটিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকেও আমাদের টপঅর্ডারে সমস্যা হয়েছে জিম্বাবুইয়ের পেসে। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপে আরও সমস্যা হতে পারে। সেটা নিয়ে অবশ্যই উন্নতির জন্য চিন্তা করতে হবে।’ মুশফিকও বছরজুড়ে দলের নৈপুণ্যে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন কিছু ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জিততে পারেনি দল। কিন্তু যথেষ্ট ভাল করেছে সবাই। এখন জয় পেয়ে তাই তিনি দারুণ খুশি। তিনি বলেন, ‘দলগত প্রচেষ্টাটা অনেক ভাল হয়েছে। অবশ্যই ভাল লাগছে যে আমরা জিতেছি। তবে আগামী বছরটা আমাদের জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। সে জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’ অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর প্রথম সিরিজেই সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। এ বিষয়ে মুশফিক বলেন, ‘আগেও সিরিজসেরা হয়েছি সে জন্য বাড়তি কোন তৃপ্তি নেই। তবে বিয়ের পর প্রথম সিরিজে এমন হওয়াতে ভাল লাগছে। অধিনায়ক থাকি কিংবা না থাকি সব সময়ই একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে লক্ষ্য থাকে ভাল করার। দলের জন্য কিছু অবদান রাখার। আমি উইকেট কিপিংটা উপভোগ করি। আর যেহেতু ফিল্ডিংটা আমার ভাল নয় তাই এটাই ভাল।
×