ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অনৈক্য নয় সমৃদ্ধ॥অভিন্ন শত্রু সন্ত্রাস মৌলবাদ মোকাবেলায় চাই সমন্বিতপদক্ষেপ

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ২৭ নভেম্বর ২০১৪

অনৈক্য নয়  সমৃদ্ধ॥অভিন্ন শত্রু সন্ত্রাস মৌলবাদ মোকাবেলায় চাই সমন্বিতপদক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতপার্থক্য দূরে ঠেলে যৌথ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে আসার জন্য সার্ক শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। বুধবার নেপালের কাঠমান্ডু সিটি হলে দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টায় কাঠমান্ডুর সিটি হলে সার্ক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জোটের বিদায়ী চেয়ারম্যান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম দুই দিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে সার্কভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বক্তব্য রাখেন। এই সময় সার্ক শীর্ষ নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং ধর্মীয় মৌলবাদ দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করছে। তাই সন্ত্রাসবাদ দমনে তারা সম্মিলিত ও দ্ব্যর্থহীন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আহ্বান জানান। আজ বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডু ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাঠমান্ডু সিটি হলে শীর্ষ সম্মেলন শেষ হবে। ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন হবে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী অধিবেশনে সর্বশক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য সার্ক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সার্ক প্রকৃতপক্ষেই সার্বিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও উচ্চাশা অর্জন করতে পারে। এ জন্য আমাদের মতপার্থক্য একপাশে রেখে এতদাঞ্চলের জনগণের প্রকৃত সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি আনয়নে সর্বশক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে। আরও বাস্তবসম্মত, কল্যাণমুখী এবং সম্মিলিত সমৃদ্ধির লক্ষ্যে পারস্পরিক কল্যাণমূলক অংশীদারিত্বের পদক্ষেপ গ্রহণে সার্ক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, আরও শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়া গঠনে অবদান রাখার অঙ্গীকার করি। দ্রুত উন্নয়নে সার্ক দেশগুলোকে তাদের সার্বিক প্রচেষ্টা, উন্নয়ন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রয়োগ সর্বপর্যায়ে জোরদার করতে হবে। স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা আরও গভীরতর করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সার্কের কর্মকা-ে গতিশীলতা আনয়নে আমাদের মধ্যে আরও খোলামেলা আলোচনা হওয়া দরকার। দারিদ্র্য সার্ক অঞ্চলের অভিন্ন ও প্রধান শত্রু। এটি এ অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নকে ব্যাহত করছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা বিধানের আহ্বান জানান। জ্বালানি খাতে সার্ক দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সময় এসেছে এ খাতের উন্নয়নে আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগ গ্রহণের। আমাদের জনগণের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানির সর্বোচ্চ সরবরাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে তিনি জ্বালানি সহযোগিতাসংক্রান্ত সার্ক ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের অগ্রগতিকে প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন। আঞ্চলিক যোগাযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক শান্তি, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে যোগাযোগ বিস্তারে আগ্রহী। আমরা চিন্তা-ভাবনা, জ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, জনগণ, সড়ক-রেল-বিমান, পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগ এবং চলাচলে যোগাযোগ বিস্তারে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, সার্ক দেশগুলোর আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যের ওপর আলোকপাত করা প্রয়োজন। এ ছাড়া সাপটা’র দ্রুত ও কার্যকর বাস্তবায়নও জরুরী। সার্ক ফোরামের পর্যবেক্ষকদের অবদানকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে তারা জ্ঞানভিত্তিক সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশ তাদের অবদানকে মূল্য দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সার্ক ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় প্রতিষ্ঠিত সেন্টারগুলোতে প্রয়োজনীয় সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক পণ্য, জ্ঞান ও ধারণার বাহক। এগুলোর উন্নয়নে আমাদের অবশ্যই সম্ভাব্য সব ধরনের সমর্থন ও সহায়তা দিতে হবে। গত কয়েক দশকে উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে দক্ষিণ এশিয়া ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। তা দারিদ্র্য বিমোচন এবং এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হয়েছে। বাংলাদেশে গত ৫ বছর গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশ বজায় রয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালের ৪০ শতাংশ থেকে বর্তমানে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জনগণের নিরাপদ সুপেয় পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশনের শাশ্বত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। তবে যেহেতু আমরা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে চাই সেহেতু আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। আমাদের জনগণের পুষ্টির নিরাপত্তা অর্জন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধান খাদ্যশস্য, অভ্যন্তরীণ মৎস্য ও পশুসম্পদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং কৃষি খাতে পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সার্ক ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় ফুড ব্যাংক ও সিড ব্যাংক পরিচালনা খুবই জরুরী। সার্ক অঞ্চলে রয়েছে বিপুলসংখ্যক তরুণ জনসংখ্যা। মানসম্পন্ন শিক্ষা ও কার্যকর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের প্রাথমিকভাবে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। বাংলাদেশে শিক্ষার উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত মেয়েরা এখন বিনা বেতনে শিক্ষা পাচ্ছে। দরিদ্র পরিবারগুলোর ১২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ছাত্রছাত্রী মাসিক স্টাইপেন্ড পাচ্ছে। এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই মেয়ে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, পুরুষের সঙ্গে জীবনের সর্বস্তরে তাদের সমান অংশগ্রহণ টেকসই উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। শেখ হাসিনা বলেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, এ সাফল্যের পেছনে আমাদের সরকারের বাস্তবমুখী নীতি, সম্পদ বরাদ্দ ও জোরালো অঙ্গীকার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে। প্রযুক্তি বিশেষ করে আইসিটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে বহুমুখী করেছে। এটি আমাদের জীবনে পরিবর্তন এনেছে। জীবনযাপনে বহু সমস্যার সমাধান করেছেÑ যা কয়েক বছর আগেও আমরা ভাবতে পারিনি। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশব্যাপী ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব সেন্টার থেকে গ্রামীণ জনগণ প্রায় ২শ’ ধরনের আইসিটি সম্পর্কিত সেবা পাচ্ছে। তারা আইটি সংযুক্ত ১৩ হাজার ৫শ’ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ওষুধসহ স্বাস্থ্যসেবাও পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের বার্ষিক ডিজিপি ৩ শতাংশ হ্রাস পাচ্ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ প্রায় ৩ কোটি লোকের বাস্তুচু্যুত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি কার্যকর ও ব্যাপকভাবে মোকাবেলায় তাঁর সরকার একটি জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সার্ক শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন ॥ দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস দমনে সকল সার্ক দেশের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালনোর আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে বুধবার নেপালের কাঠমান্ডুতে ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা কাঠমান্ডুর সিটি হলে সদস্যদেশগুলোর পক্ষ থেকে মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী টিশেরিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসে যোগ দেন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছেÑ ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য গভীর সংহতি।’ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা বলেন, সন্ত্রাসবাদ আমাদের অভিন্ন শত্রু এবং দক্ষিণ এশিয়া এর ভয়াবহ শিকার। সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং ধর্মীয় মৌলবাদ দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করছে। তাই সন্ত্রাসবাদ দমনে আমাদের সম্মিলিত ও দ্ব্যর্থহীন পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকল প্রতিষ্ঠান ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে স্বচ্ছ ও কার্যকর সহযোগিতাসহ সার্কের আওতায় একটি প্রাতিষ্ঠানিক ফ্রেমওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এর আগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার কাছে সার্কের চেয়ারম্যানশিপ হস্তান্তর করেন। সম্মেলনে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মরিশাস, মিয়ানমার, ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৯ পর্যবেক্ষকও যোগ দিয়েছেন। তিন চুক্তি অনিশ্চিত ॥ এবারের সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগাযোগ ও বিদ্যুত খাতের সহযোগিতা বাড়াতে প্রত্যাশিত তিন চুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনের কর্মসূচীতে এই চুক্তি করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় কাঠমান্ডুর সিটি হলে সার্ক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জোটের বিদায়ী চেয়ারম্যান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম দুই দিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সার্ক নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা সাড়ে বারোটায় চুক্তি স্বাক্ষরের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় নতুন চেয়ারম্যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সম্মেলন মুলতবি করেছেন। সদস্য দেশগুলো একমত হতে না পারায় সার্ক আঞ্চলিক রেল সহযোগিতা চুক্তি এবং সার্ক পণ্য ও যাত্রীবাহী মোটরযান চলাচল চুক্তি এবার নাও হতে পারেÑ এমন ইঙ্গিত মঙ্গলবারই দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এরপর বিদ্যুত সহযোগিতা বাড়াতে সার্ক কাঠামো চুক্তির সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক চালিয়ে যান সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তবে তাঁদের সে চেষ্টা নিষ্ফলাই থাকে। জানা গেছে, সম্মেলন শুরুর আগে এই তিন চুক্তি নিয়ে জোর আলোচনা চললেও মূলত পাকিস্তানের বিরোধিতায় এই তিন চুক্তি আটকে যায়। পাকিস্তান বলছে, তারা এখনও চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত নয়। এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য কোন সময়ও রাখা হয়নি। সে কারণে এই তিন চুক্তি এবার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ১৯তম সার্ক শীর্ষ পাকিস্তানে ॥ ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন হবে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে। ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক হওয়ার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচন করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সার্ককে আরও গতিশীল করতে হবে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধের বদলে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
×