ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লক্ষ্য ২০১৬ অলিম্পিক, শূটিংয়ে অর্থ বরাদ্দ

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ২০ নভেম্বর ২০১৪

লক্ষ্য ২০১৬ অলিম্পিক, শূটিংয়ে অর্থ বরাদ্দ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের শূটিং খেলার উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে আইএফআইসি ব্যাংক। তারা এ জন্য বাংলাদেশ শূটিং স্পোর্টস ফেডারেশনকে আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে। টাকার অঙ্কটা বেশ বড়ইÑ ২ কোটি! বুধবার সকালে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় রাজউক এ্যাভিনিউর বিডিবিএল ভবনের একাদশ তলায় ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে। সেখানে বাংলাদেশ শূটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইন্তেখাবুল হামিদের হাতে ২ কোটি টাকার চেক তুলে দেন আইএফআইসি ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তারা। ইন্তেখাবুল হামিদ জানান, ‘আগামী ২০১৬ রিও অলিম্পিককে সামনে রেখে আমরা দীর্ঘমেয়াদী শূটিং ক্যাম্প চালু করেছি। এ জন্য আমাদের প্রয়োজন ৮ কোটি টাকার বাজেট। এই টাকার সিংহভাগই খরচ হয়ে যাবে কোচের বেতন বাবদে। বাকি ৬ কোটি টাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ২ কোটি টাকা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আইএফআইসি ব্যাংককে। ২০১৬ অলিম্পিকে যদি আমরা প্রত্যাশিত রেজাল্ট না-ও করি, তাহলে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে অবশ্যই ভাল রেজাল্ট করতে সক্ষম হব।’ ইন্তেখাবুল আরও জানান, ট্রেনিং ক্যাম্পে আছে ১০ মিটার এয়ারগান রাইফেল, ১০ মিটার এয়ার পিস্তল এবং ২৫ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টের পুরুষ ও মহিলা শূটার। সব মিলিয়ে ২৪ শূটার। এদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দিতে ইতোমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছেন কোচ মিস্টার লি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ অলিম্পিকের যে কটি আসরে অংশ নিয়েছে, তাতে কোনবারই কোয়ালিফাই করে অংশ নিতে পারেনি। এক্ষেত্রে তাদের বিশেষ বিবেচনায় ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ নিয়ে খেলতে হয়। ইন্তেখাবুলের স্বপ্ন, ‘আমরা যদি রিও অলিম্পিকে ওয়াইল্ড কার্ড ছাড়াই নিজেদের যোগ্যতায় অংশ নিতে পারি, তাহলে এটাই হবে আমাদের সবচেয়ে আনন্দ ও বড় একটি অর্জন।’ ২৪ শূটারের পাশাপাশি গুলশানের জাতীয় কমপ্লেক্সে ‘বি’ ও সি’ দলেরও শূটিং প্রশিক্ষণ চলছে। ‘বি’ দলে আছে ৩০ শূটার। আগামী জানুয়ারিতে আসছেন আরও দুই কোরিয়ান কোচ, যাদের একজন মহিলা। ‘এরা অবশ্য হাই-প্রোফাইল কোচ নন। তারা দেবেন স্বল্পমেয়াদে কোচিং। আজকাল হাই প্রোফাইল কোচ পাওয়া মুশকিল। আর পেলেও তারা থাকতেও চান না বেশিদিন। বিভিন্ন প্রোগ্রামে যোগ দিতে চলে যান। তাছাড়া তাদের বেতনের চাহিদাও অনেক বেশিÑ ১০ থেকে ১২ হাজার ডলার, যা দেয়া সম্ভব নয় শূটিং ফেডারেশনের।’ যোগ করেন ইন্তেখাবুল। পাইপলাইনে যেন শূটারদের অভাব দেখা না দেয়, সে জন্য ‘সি’ দলকেও গড়ে তোলা হবে। এরা শূটিং সম্পর্কে কিছুই জানে না। বলতে গেলে এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই তাদের শূটিংয়ের হাতেখড়ি হবে।’
×