ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টানা দ্বিতীয় জয় মোহামেডানের

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ১৯ নভেম্বর ২০১৪

টানা দ্বিতীয় জয় মোহামেডানের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নবাগত পারটেক্স স্পোর্টস ক্লাব আরেকটি চমক উপহার দিয়েছে মঙ্গলবার। ফতুল্লায় নিজেদের চেয়ে শক্তিশালী ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবকে ১২ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে তারা। এবার ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে উদ্বোধনী ম্যাচেই শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবকে হারিয়ে দিয়েছিল তারা। তবে প্রথম ম্যাচ হারলেও টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে তারা এবার ৪৪ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। অপরদিকে, মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিকে (কেসিএ) ১১৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। মিরপুরে আগে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান রিক্রুট দিলশান মুনাবিরা ও সাদমান ইসলামের জোড়া অর্ধশতকে ৪৯.৪ ওভারে ২৭৪ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে প্রাইম ব্যাংক। মুনাবিরা ৮০ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন। সাদমান ১০৪ বলে ৫ চারে করেন ৫৩। মাহমুদুল হাসান ২৬ রানে তিনটি উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভাল করলেও মুনাবিরার বোলিং দাপটে ৪০.৫ ওভারে মাত্র ১৬১ রানেই গুটিয়ে যায় কেসিএ। জীবন মেন্ডিস সর্বোচ্চ ৩৬ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৫ রান করেন। মুনাবিরা ৪০ রানে নেন ৫ উইকেট। বিকেএসপিতে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান। টস জিতে আগে ব্যাট হাতে নিয়ে এজাজ আহমেদের ১১৯ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় করা ৮৪ এবং অধিনায়ক নাঈম ইসলামের ৮৪ বলে ৪ চারে করা ৫২ রানের সুবাদে ৯ উইকেটে ২৫৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ গড়ে মোহামেডান। যদিও আসিফ হোসেন দারুণ বোলিং করে ৪৭ রানেই নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিল ব্রাদার্স। কিন্তু এরপর শুধু নাজমুস সাদাত কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পেরেছেন মোহামেডান বোলারদের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৫ রান করতে সক্ষম হয় তারা। নাজমুস ৬১ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। দুটি করে উইকেট নেন অমিত কুমার ও রাহাতুল ফেরদৌস। ফতুল্লায় লীগের শুরু থেকেই লো-স্কোরিং ম্যাচে আগে ব্যাট করা দল জয়ী হয়েছে। মঙ্গলবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি। আগে ব্যাট করে পারটেক্স ৮ উইকেটে ১৮৯ রানের মামুলি সংগ্রহ গড়ে। মেহরাব জুনিয়র ৯৫ বলে ৬ চারে সর্বোচ্চ ৪৮ ও রাজিন সালেহ ৩২ রান করেন। শহিদুল ইসলাম ৪১ রানে নেন তিন উইকেট। জবাবে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়া ডিওএইচএস ৪৯.১ ওভারে ১৭৭ রানেই গুটিয়ে যায়। কাফি খান ৩৩, মোহাম্মদ সজিব ৩০ ও জয়রাজ শেখ ২৮ রান করেন। তিনটি করে উইকেট নেন নুরুজ্জামান ও শফিউল ইসলাম।
×