ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১৪ নভেম্বর ২০১৪

বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

মোরসালিন মিজান হুমায়ূন চলে গেছেন বটে। তবে, তাঁকে ভোলা কঠিন। নন্দিত লেখক নাট্যকার চলচ্চিত্র নির্মাতা এখন তাঁর কাজে বেঁচে আছেন। শুধু কী বেঁচে থাকাই নয়, বৃহস্পতিবার ঘটা করে উদ্যাপন করা হলো তাঁর ৬৬তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির শহর ঢাকায় ছিল নানা আয়োজন। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও জন্মদিনে হুমায়ূন আহমেদের একক বইমেলার আয়োজন করা হয়। শাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার মেলার উদ্বোধন করেন লেখক পতœী মেহের আফরোজ শাওন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এদিন হুমায়ূনের ওপর আলোচনা স্মৃতিচারণ ছাড়াও ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বই কেনার পাশাপাশি চলেছে স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও পথনাটক উপভোগ। ফলে বিকেল বেলাটি বেশ জমে উঠেছিল। সপ্তাহব্যাপী মেলা শেষ হবে আগামী ১৯ নবেম্বর। আয়োজকরা জানান, প্রতিদিনই নানা আয়োজন থাকবে মেলা মঞ্চে। তার মানে, এখানকার বাকি দিনগুলোও হবে উভোগ্য। একই দিন হুমায়ূন আহমেদের ৬৬তম জন্মদিন বেশ ঘটা করে উদ্যাপন করে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’। কার্যালয়ের সামনের খোলা জায়গায় এদিন আয়োজন করা হয় হুমায়ূন মেলার। সকালে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, কবি আসাদ চৌধুরী, আবদুল লতিফ বাচ্চু, মোঃ খুরশীদ আলম, কেরামত মাওলা, জুয়েল আইচ, ফকির আলমগীর, তারিক আনাম খান, চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর প্রমুখ। মেলায় এসেছিলেন হুমায়ূন আহমেদের পতœী মেহের আফরোজ শাওন। দুই শিশুসন্তান নিষাদ ও নিনিতকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। মেলায় হুমায়ূন আহমেদের লেখা বই, গান ও চলচ্চিত্রের অডিও সিডি ইত্যাদি দিয়ে স্টল সাজানো হয়। খোলা মঞ্চে চলে হুমায়ূন আহমেদের লেখা ও পছন্দের গান। গান পরিবেশন করেন বাউলশিল্পী সফি ম-ল, সেলিম চৌধুরী, তুবা, স্মরণ, লুইপা, রাফসান প্রমুখ। এ ছাড়াও ছিল ছবি আঁকা কর্মশালা। এবার যুদ্ধাপরাধীদের কথা। হ্যাঁ, বৃহস্পতিবার আরও একজন মানবতাবিরোধী অপরাধীর মামলার রায় ঘোষণা করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে ফরিদপুরের খোকন রাজাকারের। ফলাফলÑ ফাঁসির রায়। যে কোন যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। এমনটি-ই আশা করেন বিবেকবান মানুষ। রায়ে সেটি প্রতিফলিত হওয়ায় এদিনও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ঢাকার মানুষ। অলিগলি ঘুরে পাওয়া গেছে এমন প্রতিক্রিয়া। বিশেষ করে শাহবাগের তরুণ প্রজন্ম নানাভাবে তাঁদের স্বস্তির কথা জানিয়েছে। এদিনও শাহবাগে সমবেত হয় গণজাগরণ মঞ্চের দুই অংশ এবং ব্লগার ও ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। চলে সেøাগান। গণসঙ্গীত। তবে যার মৃত্যুদ-ের রায় হয়েছে সেই খোকন রাজাকার পলাতক। এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। ফলে যে কোন মূল্যে এই ঘৃণ্য অপরাধীকে ধরে এনে সাজা কার্যকরের দাবি ওঠানো হয় শাহবাগ থেকে।
×