ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের বৃহত্তম ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৫:১২, ১২ নভেম্বর ২০১৪

চট্টগ্রামের বৃহত্তম ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ শুরু আজ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার চট্টগ্রামে আসছেন। সকালে তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হবেন। এছাড়া দুপুরে তিনি উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রামের বৃহত্তম ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজের। সকালে চট্টগ্রাম পৌঁছার পর পরই তিনি যাবেন সেনানিবাসে। সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর ৩৪, ৩৬ ও ৩৮ বেঙ্গলকে তিনি ন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড প্রদান করবেন। চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জানান, দুপুরে মুরাদপুর এলাকায় চট্টগ্রামের বৃহত্তম ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত মেয়াদ অর্থাৎ দু’বছরের মধ্যেই এর কাজ শেষ হবে। চউক চেয়ারম্যান বলেন, এটি চট্টগ্রামবাসীর জন্য আরও একটি বিশাল প্রকল্প, যা চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিরই অংশ। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে লালদীঘি ময়দানে নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিজ হাতে নিলাম’। ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি একের পর এক উন্নয়ন কর্মকা-ের মাধ্যমে তাঁর অঙ্গীকার রক্ষা করে চলেছেন। মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ উড়াল সড়কটির নামকরণ হয়েছে ‘আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ফ্লাইওভার’। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মৃতিকে চিরজাগরুক করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ ফ্লাইওভারের নামকরণ করেন। চট্টগ্রামে নির্মিত এই ফ্লাইওভারটিই হবে সত্যিকারের ফ্লাইওভার। এতে বিভিন্ন স্থানে যানবাহন ওঠানামার জন্য থাকবে লুপ। চট্টগ্রামে ক্রমবর্ধমান বসতি ও যানবাহন বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সরকার এ ফ্লাইওভার নির্মাণের অনুমোদন দেয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ পায় চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স র‌্যানকিন জেভি। দক্ষ এ প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যেই ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ শেষ করবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স র‌্যানকিন জেভির মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয় গত ২৮ অক্টোবর। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও ম্যাক্স র‌্যানকিন জেবির পক্ষে গোলাম মোঃ আলমগীর। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী কাজ শুরু হওয়ার দু’বছরের মধ্যে শেষ হবে ফ্লাইওভার নির্মাণ। ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়াল সড়ক নির্মিত হলে বন্দরনগরীতে যানজটজনিত জনদুর্ভোগ অনেকাংশেই লাঘব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
×