ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে রেস্ট হাউসের আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপ!

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ১২ নভেম্বর ২০১৪

চট্টগ্রামে রেস্ট হাউসের আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপ!

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে অপরাধে সহাযতা করচে পুলিশ এমন অভিযোগ অভিজাত এলাকাবাসীর। নগরীর বিলাসবহুল এলাকা হিসেবে খ্যাত খুলশী আবাসিক এলাকায় পুলিশের এ ধরনের কর্মকা- প্রতিনিয়ত চোখে পড়ে স্থানীয়দের। খুলশী থানা পুলিশের মোবাইল টিম ওই এলাকায় থাকা ১৫টিরও বেশি রেস্ট হাউসকে ঘিরে প্রতিনিয়ত অর্থ আদায়ের অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে বলে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময়ে পুলিশের উর্ধতন মহলকে অভিযোগ করলেও এর কোন মনিটরিং নেই। ফলে বসবাসে অনীহা অনেকেরই। অভিযোগ রয়েছে, এর মূল কারণ অভিজাত এলাকায় অভিজাত রেস্ট হাউসের আড়ালে অভিজাত ব্যক্তিরা অসামাজিক কাজ ও মাদকের আসর বসাচ্ছে। আর থানা পুলিশ সেখান থেকে মাসোহারা আদায় করে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছে এ ধরনের অপতৎপরতা। এসব স্পটের মধ্যে খুলশী থানার অনেক অসাধু কর্মকর্তার আসা-যাওয়া রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এসব রেস্ট হাউসকে ঘিরে সিএমপি ও জেলা পুলিশের একশ্রেণীর উর্ধতন কর্মকর্তার যাতায়াত থাকায় রেস্ট হাউসের নামে সেখানে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকের আসর। গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিলাসবহুল এসব ভবনে গড়ে উঠা এসব রেস্ট হাউসের মধ্যে রয়েছে উত্তর খুলশীর ১ নং রোডে খুলশী গেস্ট হাউস, ২ নং রোডে হিলটপ ও লেকভিউ, ৩ নং রোডে নাইটসেডো, ৪ নং রোডে সেঞ্চুরী পার্ক ও ইডেন পার্ক, ৫নং রোডে রিয়েল পার্ক, ৬নং রোডে গ্রীন রেসিডেন্ট ও সিলভার স্পুন। দক্ষিণ খুলশীতে হিলটপ ইন, ৪নং রোডে ব্লু-ওয়াটার ইন, রেখা হাউস-১, রেখা হাউস-২, স্বপ্ন বিলাসসহ ১৫টিরও বেশি স্পট। এ ধরনের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। শুধু খুলশীই নয়, নগরীর প্রাণকেন্দ্র কোতোয়ালি থানা এলাকায়ও রয়েছে একাধিক হোটেল। আবাসিক হোটেলের নামে থাকা এসব হোটেলেও চলছে নানা অপরাধ। এ ব্যাপারে খুলশী থানার ওসি মাইনুল ইসলাম ভূইয়া জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, আপনি আমার পরিচিত মানুষ। আপনাকে কি বলব। আপনার- আমার মতো মানুষরাই অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত। সুযোগ পেলে কে না যায়। রেখা হাউসের সঙ্গে ওসির যোগাযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোথায় অসামাজিক কাজ হয় না। আমাকেও যেতে হয় মাঝে মধ্যে। আপনি যেতে চাইলে আপনাকেও নিয়ে যাব। এ ব্যাপারে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার (এডিসি) প্রকৌশলী মোহম্মদ হাসান চৌধুরী জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, শুধু খুলশীই নয়, নগরীর যে কোন এলাকায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অসামাজিক কাজ, মাদক ব্যবসা এমনকি মাদকের আসর কোনটিই করতে দেয়া হবে না। অল্প কিছুদিনের মধ্যে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ থানার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে খুলশী থানা এলাকার মাত্র দেড় শ’ মিটার দূরত্বে ৪ নং সড়কের ৫তলা একটি ভবনে অবৈধ দুটি ওষুধ কোম্পানির কারখানায় দু’বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও পুলিশ তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখেছিল।
×