ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১২ নভেম্বর ২০১৪

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা

থাক ওরা পড়ে থাক ইতিহাস নিয়ে... অথবা তোমাদের কথা ইতিহাসের পাতায় লেখা রবে না....। সাবিনা ইয়াসমিনের গানের কলি দুটি মনকে প্রায় নাড়া দেয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে আর্জি ১৯৬৬ হতে ১৯৭১ ছয় দফা, এগারো দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র ও স্বাধিকার গণআন্দোলনের মুখ্য ভূমিকা ও মূল শক্তি ছিল ছাত্রদের। সর্বস্তরের জনতাকে এক সূত্রে আনতে জীবন বাজি রেখে দিন রাত শহর গ্রামে নিবেদিত হয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বৈষম্যের কথা বোঝাতে হয়েছে। অনেক সময় দিনের পর দিন বাসাই ফিরা হয়নি। দিনের পর দিন কেটে গিয়েছিল গ্রামগঞ্জে। স্বাধিকার ও মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই পাক সরকারের পুলিশের হাতে অনেক ছাত্রের জীবন শহীদের খাতাই চলে গিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে কত ছাত্র সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করে প্রাণ গিয়েছিল তার কোন রেকর্ড বা তালিকা নেই। গ্রামগঞ্জের কৃষক শ্রমিকের শিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত শিক্ষাহীন নিরেট অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবসমাজ সঙ্ঘবদ্ধভাবে সহযোদ্ধা হয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। দেশ সমাজ জাতি এদের কে কি দিয়েছে? অনেক কথা, অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। আলালের ঘরের দুলাল যারা তাদের ভূমিকা কেমন ছিল? গ্রাম্য কথাই আছে পেটে ভাত নেই কাটে শিন্দুর মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান সেলুট তাও আবার তালিকাভুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জন্য, এই তালিকাই অনেকে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ভুক্ত আছে। বর্তমানে অমুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্তদের বিরুদ্ধে কথা বলা মুসকিল। গান সেলুট সম্মানটুকু যদি একজন যোদ্ধা দেখে মরতে পারত তাহলেও হয়ত কিছুটা সান্ত¡না পেত। যারা ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় তাদের কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে? যে সব ছাত্র জনতা মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণ-করেছিল। রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে স্বাধীনতার পতাকার রক্তে সিক্ত করেছিল এবং আহত পঙ্গু হয়ে আজও স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে তারা বা তাদের মধ্যে কেউ বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরপ্রতীক হলো না? অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা সনদ পায়নি স্মৃতি উচ্চারণ করে দুঃখ করে না। মোঃ আব্দুর জামান আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা।
×