ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নৌপথে পণ্য পরিবহনে বিপর্যয়, জ্বালানি সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১১ নভেম্বর ২০১৪

নৌপথে পণ্য পরিবহনে বিপর্যয়, জ্বালানি সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পরও দেশের নৌযান সেক্টরে অচলাবস্থা কাটল না। ফলে সোমবার ধর্মঘটের তৃতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। দেশের নৌরুটগুলোতে সব ধরনের নৌযান ও লাইটার জাহাজের চলাচল থমকে রয়েছে। রবিবার রাতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের একাংশের ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণার পর সোমবার সকালে কাজ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। নৌপথে নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলনরত ফেডারেশনের অনড় অবস্থানের কারণে তৃতীয় দিনের মতো কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙ্গরে পণ্য লাইটারিং এবং অভ্যন্তরীণ রুটে পণ্য পরিবহন হয়নি। তবে এ ব্যাপারে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সরকারের উচ্চপর্যায়ে সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা যায় ধর্মঘটী শ্রমিকদের কাছ থেকে। এদিকে, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় গত রবিবার রাতে আরও দুটি জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে নৌযান শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ ৫ চালকের মধ্যে একজনের লাশ সোমবার লক্ষ্মীপুরের রামগতি মেঘনা নদীতে উদ্ধার হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের বিপরীতে শাহ্ সিমেন্ট ও ম্যাট্রোসেম ফ্যাক্টরির কাছে নদীতে দুইদল শ্রমিকের মধ্যে সোমবার দুপুরে সংঘর্ষ হয়েছে। লাইটার জাহাজ চললে একদল শ্রমিক বাধা দেয়। তারা একটি ট্রলারে করে চলাচলরত লাইটার জাহাজে ঢিল মারে। আরেক দল শ্রমিক এর প্রতিবাদে হামলাকারী শ্রমিকদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ১৪ শ্রমিকে একটি ট্রলারসহ আটক করে। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। সদর থানার ওসি আবুল খায়ের ফকির জানান, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা এবং সমঝোতার পর যাচাই বাছাই করে আটককৃতদের কয়েক ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে পুলিশ মুক্তারপুর এলাকার শিল্পকারখানার পাশের নদীতে বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে।
×