ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ১৭ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১১ নভেম্বর ২০১৪

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ১৭ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও পুঁজিবাজারে সূচক পতনের মাধ্যমে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনও। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৭ শতাংশ। তবে গত কয়েকদিনের চাঙাভাব শেষে সোমবার নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে বিনিয়োগকারীর মুনাফা তুলে নিয়েছেন। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচক কমেছে। তবে সেখানে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি শাহজিবাজার কোম্পানি লিমিটেডের দরবৃদ্ধি তদন্তে কমিটি গঠনের কারণে বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে শেয়ারটির দর সর্বোচ্চ কমে যায়। একইভাবে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের সভার তারিখ ঘোষণার কারণে কোম্পানিটির দর সবচেয়ে বেশি কমেছে। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। শুধু তাই নয়, দর পতনের তালিকায় ছিল আরও কয়েকটি নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি। বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে সোমবার ৭০৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় ১৪৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বা ১৭ শতাংশ কম। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৮৫৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসই এক্স ২৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯১৪ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৪৭ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮০৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩০২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। ডিএসইতে খাতভিত্তিক লেনদেনের সেরা স্থান দখল করেছে জ্বালানি এবং শক্তি খাত। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ২১ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের কোম্পানি। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৪৭ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ২১ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানি। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ১৩ ভাগ। এছাড়া ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ার। এরপরে রয়েছেÑ ডেসকো, বরকত উল্লাহ ইলেক্ট্রো ডাইনামিকস, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, অরিয়ন ইনফিউশন, বিবিএস, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি এবং যমুনা অয়েল। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ওরিয়ন ইনফিউশন, ফার্মা এইড, ঢাকা ডাইং, অগ্নি সিস্টেম, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, ১ম আইসিবি, এনভয় টেক্সটাইল, আইসিবি, সোনালী আঁশ ও ফু-য়াং ফুড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, অলটেক্স, সুহৃদ ইন্ড্রাস্টিজ, ন্যাশনাল টিউবস, সামিট পোর্ট এলায়েন্স, খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং, ইবিএলএনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, আলহাজ টেক্সটাইল ও স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৭৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৬৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২১৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। সিএসইতে লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ আইবিবিএলপি বন্ড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, অ্যাপোলো ইস্পাত, মবিল যমুনা বিডি, খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং, পেনিনসুলা, বেক্সিমকো, কেয়া কসমেটিকস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ও ওরিয়ন ইনফিউশন।
×