ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ১০ গ্রাম

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২৭ অক্টোবর ২০১৪

কুড়িগ্রামে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ১০ গ্রাম

দুধকুমরের ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় প্রযুক্তিতে পাইলিং স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে দুধকুমর নদীর ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ঘোগাদহ ইউনিয়নের খামার, ব্রহ্মত্তর, কাজলদহ ও চর রসুলপুর মৌজার ১০ গ্রাম মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। বন্যাপরবর্তী সময়ে বাড়িঘর হারিয়ে গৃহহীন হয়েছে ৪ শতাধিক পরিবার। এখনও ভাঙ্গনের মুখে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। ভাঙ্গনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে পার্শ্ববর্তী যাত্রাপুর ইউনিয়নের কালাইপাড়া মাদ্রাসা, যাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও যাত্রাপুর মহাবিদ্যালয় এবং ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাট। প্রতিদিন মানুষ নিঃস্ব হলেও হাত গুটিয়ে বসে আছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের সাফ কথা বরাদ্দ না থাকায় তারা অসহায়। নিরুপায় হয়ে ১০ গ্রামের মানুষ জোট বেঁধেছে ভাঙ্গন রোধে। নিজেদের চাঁদা দিয়ে ও স্থানীয় প্রযুক্তিতে বাঁশের পাইলিং দিয়ে চলছে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা। ঘোগাদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার জানান, চলতি বন্যায় দুধকুমর নদীর প্রলয়ঙ্করী ভাঙ্গনে ১০ গ্রামের প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার ভিটামাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এর মধ্যে গত দুই সপ্তাহে গ্রাস করেছে শতাধিক বাড়ি। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে শত শত একর আবাদী জমি, বাপ-দাদার ভিটা, মূল্যবান গাছপালা, একটি মসজিদসহ বহু মূল্যবান সম্পদ ও স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে জনবহুল ১০টি গ্রাম, ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাট, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজসহ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঘোগাদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহালম জানান, কুড়িগ্রাম শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার পূর্বে ঘোগাদহ ইউনিয়নের খামার ও ব্রহ্মত্তর এলাকায় দুধকুমর নদীতে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে ভাঙ্গন। এলাকাবাসী ভাঙ্গন ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমে শুরু করেছে পাইলিং। এলাকার মানুষ এ কাজে দিয়েছে প্রায় ১ হাজার বাঁশ। এর বাইরেও কিনতে হচ্ছে বাঁশের তৈরি চাটাই, গুণা, সুতলি, জিআই তারসহ নানা উপকরণ। আর এ সব শ্রমের কাজে হাত মিলিয়েছে গ্রামের কিশোর-যুবা থেকে বৃদ্ধরা। বরিশালে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলা ॥ অগ্নিদগ্ধ ৩ স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ উজিরপুর উপজেলার বাহেরঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার জেরধরে প্রতিপক্ষের লোকজন পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে। এতে তিনজন অগ্নিদগ্ধসহ বসতঘর ভস্মীভূত হয়। গুরুতর আহত একজনকে শনিবার রাতে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদে বাহেরঘাট গ্রামের আবুল হোসেন হাওলাদার একই গ্রামের ইউপি সদস্য নান্নু সিকদারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হন। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে আবুল হোসেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নান্নু সিকদারের বাগ্বিত-া হয়। সন্ধ্যায় নান্নু সিকদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আবুল হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা আবুলের ভাই মামুনকে লক্ষ্য করে ঘরের ভেতর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। হামলায় আবুলের বোন সেলিনা বেগম ও অন্তঃসত্ত্বা ভাবী বিলকিস আহত হন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে আহতদের উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে ওইদিন রাতে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
×