
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ – কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে এক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশীদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি বশীরুল্লাহ এবং প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশীদকে সভাপতি ও মাওলানা হিফজুর রহমান খানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ – কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “আন্তর্জাতিক বাস্তবতায় জাতিসংঘ একটি ব্যর্থ সংস্থায় পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, আরাকান ও আফ্রিকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তাদের নীরব ভূমিকা প্রমাণ করে, তারা কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নয়। বাংলাদেশের মতো শান্তিপূর্ণ দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলা অনুচিত ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এই অফিসের কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে শাপলা চত্বর, ২০২১ সালের আন্দোলনসহ নানা সময় ঘটে যাওয়া খুন-গুম ও নির্যাতনের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা এসব ঘটনার বিচার কিসাসের মাধ্যমে দাবি করি।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা আহমাদুল্লাহ, মাওলানা শেরজাহান, মাওলানা আনজার শাহ তানিম, মাওলানা এরশাদুল হক, মাওলানা নূরুল আলম, মাওলানা শুআইব বিন আব্দুর রউফ, মাওলানা ইলিয়াস কাসেমী, মাওলানা আব্দুল্লাহ সাদেক, মাওলানা তানভির প্রমুখ।
সভায় কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতীব, মাদরাসার মুহতামিম ও শিক্ষকবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক আলেম-ওলামা উপস্থিত ছিলেন। নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ দ্বীনি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
নুসরাত