ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ

আদালতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হওয়া তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় একমত এবি পার্টি

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ২০ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২১:৫৬, ২০ জুলাই ২০২৫

আদালতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হওয়া তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় একমত এবি পার্টি

ছবিঃ সংগৃহীত

রোববার (২০ জুলাই) তৃতীয় দফা বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনায় একমত পোষণ করে আমার বাংলাদেশ পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, এটি আদালতের রায়ের মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে। কমিশন সকল দলের মতের উপর ভিত্তি করে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে, যেখানে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা রাজনৈতিক দলের নেতারাই সমাধান করবেন। সংসদের প্রধান দল, বিরোধী দল, দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল মতামত দেবেন। মতামতের উপর ভিত্তি করে ৭ সদস্যের একটি প্যানেল করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন সকল রাজনৈতিক দল, যেখানে প্যানেল ৫ জন করে বাছাই করবেন। বাছাই প্রক্রিয়া শেষে সরকারি দলের প্রস্তাব, বিরোধী দলের প্রস্তাব, দ্বিতীয় বিরোধী দলের প্রস্তাব মিলিয়ে ৫ সদস্যের একটা প্যানেল হতে পারে।

যদি প্রথম স্টেজে সকল দল মিলে একমত হতে না পারে, তাহলে ঐ প্যানেলে র‍্যাংক চয়েস ভোট হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু দ্বিমত আছে, যেখানে সংসদে সকল প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে মতামতে অংশগ্রহণ করানো যায় কিনা—সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতির ব্যাপারে এবি পার্টি একমত। যদিও প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের ব্যাপারে আরও একটি প্রস্তাব এসেছে, যেখানে সংসদের বাইরে রাজনৈতিকভাবে নিবন্ধিত, কার্যকর এমন দলগুলোর মতামতও নেওয়া হবে কিনা—তা আলোচনায় এসেছে।

তৃতীয়ত, বাকি ১৫ জন উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষমতা প্রধান উপদেষ্টার হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এবি পার্টি এক্ষেত্রে মনে করে, অন্যান্য উপদেষ্টা নিয়োগে প্রধান উপদেষ্টা বাছাই কমিটির মতামত নিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা বাধ্য নন—এমন একটি প্রস্তাব এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক ঐক্যমতে তুলে ধরেছেন।

আজ (২০ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় এবি পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) সাঈদ নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) গাজী নাসির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক।

এ সময় ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, যেহেতু কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে, তাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা ৫% কোটাকে তারা অবমাননাকর মনে করছেন। কোটার বিরুদ্ধে মেধার ভিত্তিতে সমাজ ও একটি রাষ্ট্র তৈরির এই আজাদির লড়াইয়ে আবার কোটা ফিরিয়ে আনা অন্যায়। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে ‘জুলাই কোটা’র বিরুদ্ধে কমিশনে আলোচনা হওয়া উচিত। পাশাপাশি পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এজন্য এবি পার্টি কমিশনে গুরুত্বের সাথে পুলিশ এবং জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে ঐক্যমত্য কমিশনে আলোচনার দাবি জানিয়েছে।

ইমরান

×