
ছবিঃ সংগৃহীত
কক্সবাজারের তিন উপজেলা—রামু, ঈদগাঁও ও চকরিয়ায় পূর্বনির্ধারিত পথসভা ভণ্ডুল করে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বিএনপি নেতারা। আয়োজন করতে পারেনি নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি)। দলটির অভিযোগ, বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাধা ও বিক্ষোভের মুখে তারা কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় কক্সবাজার ত্যাগ করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
সূত্র জানায়, কক্সবাজার শহরের দৌলত ময়দানে আয়োজিত এনসিপির জনসভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দেন। বক্তব্যে ‘গডফাদার’ ও ‘চাঁদাবাজ’ ইঙ্গিতপূর্ণভাবে উল্লেখ করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে জেলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভে অংশ নেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে চকরিয়ার জনতা মার্কেটের সামনে এনসিপির পথসভাস্থলে উত্তেজিত জনতা মঞ্চ ভাঙচুর করে এবং মাইকিং বন্ধ করে দেয়।
এনসিপির দাবি, বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং ট্রাকের কাচ ভাঙচুর করে। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এনসিপির গাড়িবহর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কক্সবাজার ছেড়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এনসিপির চকরিয়া উপজেলার সংগঠক খাইরুল বাশার বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ছাত্রদল-বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে সভাস্থল দখল করে নেয়।
অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা এনসিপির বক্তব্যকে ‘অপমানজনক’ ও ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলে দাবি করেছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না বলেন, জাতীয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য কক্সবাজারের মানুষ মেনে নেয়নি। তারা প্রতিরোধ করেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, এনসিপি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তাদের বক্তব্য রাজনীতির শালীনতা ভেঙে দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে। নতুন দল এনসিপির আগমন, স্থানীয় রাজনীতির প্রতিক্রিয়া এবং দলীয় অবস্থান নিয়ে আরও উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইমরান