
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির তোপের মুখে পড়ে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ও চকরিয়ায় পথ সমাবেশ করতে পারেনি জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপি। কক্সবাজার থেকে সোজা বান্দরবান চলে যায় এনসিপির জুলাই পদযাত্রা।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন বিকেল ৫ টা নাগাদ জানিয়েছেন, তারা চকরিয়া পার করেছেন, কিন্তু কিছু লোক আটকা পড়েছেন।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের শহীদ দৌলত ময়দানে সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদকে ইঙ্গিত করে গডফাদার ও চাঁদাবাজ মন্তব্য করে বক্তব্য দেন এনসিপিরি মূখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী।
এই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার সাথে সাথেই জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন।
দুপুর আড়াইটার দিকে সমাবেশ শেষ করে কক্সবাজার ছাড়ে এনসিপির গাড়ি বহর। যাত্রাপথে সমাবেশ করার কথা ছিলো ঈদগাঁও উপজেলায়। সেখানে বিএনপির তোপের মুখে সমাবেশ না করেই রওনা হয় এনসিপির গাড়ি বহর।
এরইমধ্যে চকরিয়াতে এনসিপির সমাবেশস্থল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ধাওয়া দেয়। পরে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। চকরিয়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এরপর কক্সবাজারে বিক্ষোভে নামে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা এনসিপির সমাবেশ ঘিরে লাগানো ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে সড়কে আগুন দেয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশ করে।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাঃ সম্পাদক এড: শামীম আরা স্বপ্না বলেন, “সালাউদ্দিন আহমেদ সারা বাংলাদেশের অহংকার। আর তার নামে কুরুচিপূর্ণ দিয়েছেন নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী।
স্বপ্না বলেন, “নাসির উদ্দীন পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষায় শিক্ষিত নয় বলে এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
এছাড়াও বিক্ষোভ হয়েছে পেকুয়া, উখিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে।
উল্লেখ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া সংসদীয় আসনের তিন বারের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৯৬- ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য ছিলেন। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওই আসনে সংসদ সদস্য হন সালাউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
ছামিয়া