
সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, “করোনার পর থেকে আমার রাজনৈতিক অভিলাষ, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি চলে গেছে। এখন আর রাজনীতি বা নির্বাচন—কোনোটাই করবো না।”
এক অনলাইন আলোচনায় তিনি বলেন, “আমি এক সময় বলেছিলাম আওয়ামী লীগের দুর্দিনে আমি হাল ধরব। কিন্তু করোনার পর আমার শরীর-মন যেন রাজনীতি থেকে একেবারে সরে এসেছে। এখন আমি শুধু লেখালেখি করছি, টকশোতে অংশ নিচ্ছি—এই হোক আমার ভবিষ্যৎ।”
রনি বলেন, “২০১২-১৩ সাল থেকে আমি এই আওয়ামী রেজিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আর এত বছর ধরে প্রতিবাদ জানাতে জানাতে আমার শরীর অবসন্ন হয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনার পতনের পর আমার মধ্যে অলসতা আর রাজনৈতিক উদ্দীপনা—দুটোই হারিয়ে গেছে।”
নিজের রাজনৈতিক সম্ভাবনা ও অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি তো খুব কাছ থেকে মন্ত্রী, এমপি, এমনকি প্রধানমন্ত্রী পদও দেখেছি। আজ যদি আমাকে বলা হয় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, তারেক রহমান, কিংবা বেগম জিয়ার জীবনের জায়গায় যাব কি না—আমি বলব না। বরং তারা নিজেরাই যদি অপশন পান, গোলাম মাওলা রনি হয়ে যেতে চাইবেন। কারণ আমি এখন খুব শান্তিপূর্ণ, সাউন্ড জীবন কাটাচ্ছি।”
রনি আরও জানান, “একটা সময় বলেছিলাম—বিএনপির মন্ত্রী হওয়ার চেয়ে আওয়ামী লীগের বিপদের সময় সাধারণ সম্পাদক হওয়াটাই আমি বেছে নেব। সেটা ছিল ২০২১-২২ সালের কথা। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে আমি বলি, এখন যদি আমাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তো দূরের কথা, গায়ে সোরেয়া (সাদা গামছা) জড়িয়ে রাজপথে নামতে বলা হয়, আমি কান্নাকাটি করে পালিয়ে যাব।”
তিনি জানান, “আমার বিএনপির সঙ্গে ২০১৮ সাল থেকে ভালো সম্পর্ক আছে। চাইলে সেখানে বড় কোনো পদেও যেতে পারি। কিন্তু রাজনীতি করার শরীর বা মানসিকতা আমার আর নেই।”
রনি বলেন, “এই সরকারের পরিবর্তনের পর যারা উপদেষ্টা বা নেতৃত্বে এসেছেন, তাদের সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। চাইলে আমিও এই কাঠামোর অংশ হতে পারতাম, এখনো পারি। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলছি—আমি রাজনীতি করব না।”
সানজানা