
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান ও কৌশল নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, বিএনপি এখন এমন এক রাজনৈতিক বিভ্রান্তির মধ্যে আছে, যেখানে তারা বুঝতেই পারছে না, কে তাদের প্রকৃত বন্ধু আর কে শত্রু।
তিনি বলেন, “যেভাবে মানুষ সাপের সর্পিল গতি দেখে ভয় পায়, কারণ বোঝা যায় না কোন দিকে যাচ্ছে—বিএনপিও এখন ঠিক তাই।তাদের আগে বুঝতে হবে যে তারা যে রাজনীতিটা করছে, এটা একটা সেকুলার, সেমি সেকুলার, ধর্মভিত্তিক, ইসলামাইজেশনের একটা রাজনীতি, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। তারা এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি কে বন্ধু আর কে শত্রু। এই অনির্ধারিত অবস্থার কারণেই তারা সবাইকে বন্ধু ভাবছে, আবার সবাইকেই শত্রু মনে করছে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি হঠাৎ করে একেবারে জিদ ধরলো যে, ২০২৫ সনের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। এবং এর মধ্যে নির্বাচন না হলে একেবারে সরকারকে উল্টে ফেলে দেয়া হবে। এরপর তারা জিদ ধরলো দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদটাও তাদের লাগবেই, এবং এটা তারা যেভাবে বলবে, সরকারকে সেভাবেই দিতে হবে।”
রনি বলেন, “এই সব জিদ বিএনপির জন্য একেবারেই প্রয়োজন ছিল না এবং তারা প্রতিবারই পরাজিত হয়েছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টাদের সাথে বৈঠকের পর বিএনপির রাজনৈতিক গতি একপ্রকার শূন্যে নেমে এসেছে। একই অবস্থা গোপালগঞ্জের ঘটনাতেও। এই ঘটনার পর বিএনপি হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে—তাদের বোঝা মুশকিল কী বলা উচিত। একদিকে ছাত্রদের গমন নিয়ে সংশয়, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আচরণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “এটা সেই ২০১৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মতো, যখন বিএনপি বিভক্ত ছিল—ছাত্রদের সমর্থন দেবে কি না, সে সিদ্ধান্তে। এমনকি তারেক রহমান সাহেবের সমর্থনের পরও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের একটা বড় অংশ মনে করেছিল এটা আন্দোলনকে নেতিবাচক করবে, দমনপীড়ন বাড়াবে এবং ছাত্রদের গতি থামিয়ে দেবে। ফলে বিপ্লবের পর বিএনপি তা নিজেদের অর্জন বলেও পুরোপুরি দাবি করতে পারেনি।”
সানজানা