
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে এবং যে কোনো অপরাধ বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর প্রবণতা এখন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “যেকোনো হত্যাই নিন্দনীয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মব জাস্টিস ঠেকানো সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখন দেখা যাচ্ছে, সরকার সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। বিএনপি তো সরকারে নেই, তারা বরং দলীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বারবার ব্যবস্থা নিচ্ছে, বহিষ্কার করছে, শৃঙ্খলাভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ উঠলেই সেটাকে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। “সম্প্রতি চাঁদপুরে এক ইমামকে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, খুলনায় যুবদলের এক কর্মীর ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে, কিন্তু সেসব বিষয়ে অন্য দলের তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি,” বলেন পার্থ।
বিএনপির বিরুদ্ধাচরণ রাজনৈতিকভাবে করা যেতেই পারে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিকে সমালোচনা করা যেতেই পারে। কিন্তু কোনো নেতাকর্মীর ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে গোটা দলকে টার্গেট করা শিষ্টাচারবহির্ভূত।”
তারেক রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে অত্যাচার সহ্য করার পরও গত ৯ মাসে তারেক রহমান একজন স্টেটসম্যানের মতো আচরণ করেছেন, হেইট স্পিচে না গিয়ে জাতীয় ঐক্য ও গুড গভর্নেন্সকে প্রমোট করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “চাইলেও কেউ অস্বীকার করতে পারবে না—আগামী দিনে জাতীয়তাবাদী শক্তির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে তারেক রহমানই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। তাকে মেলাইন করার চেষ্টা আসলে এমন একটি শক্তিকে ডেকে আনা, যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে ৫০ বছর আগে প্রশ্ন করেছিল।”
জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য দলের প্রতি ইঙ্গিত করে পার্থ বলেন, “এখন এমন এক আচরণ দেখা যাচ্ছে যেন উগান্ডাতে বোমা পড়লেও তার দায় নিতে হবে তারেক রহমানকে। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি দেশের স্থিতিশীলতার জন্য ভালো নয়।”
আবির