
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সকাল থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের প্রথম অধিবেশন। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে নামাজের বিরতি দেওয়া হয়। দলের পক্ষ থেকে আজান শেষে মূলমঞ্চ এবং উদ্যানের মাঠে ছোট ছোট দলে নামাজ আদায় করেন দলের নেতাকর্মীরা। বিরতির পর শনিবার দুপুর ২টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমাবেশের মূল পর্ব।
এরই মধ্যে জামায়াতের সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। আশপাশের এলাকাও কানায় কানায় পূর্ণ।
অনুষ্ঠানের মূল পর্বের শুরুতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান উপস্থিত নেতাকর্মীদের অভিবাদন জানান। মঞ্চে আরও উপস্থিত আছেন দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এটিএম আজহারুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা বলছেন, জামায়াতের এই সমাবেশ ইতিহাস গড়ার সমাবেশ। অতীতে এমন হয়নি, ভবিষ্যতেও এমন সমাবেশ বাংলাদেশে হবে কি না, তা বলা যায় না।
জামায়াতের ৭ দফা দাবিগুলো হলো:
১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার
২. রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার
৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন
৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন
৫. জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন
৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ
৭. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ
সানজানা