
ইতিহাসে এই প্রথম রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়িয়ে একদিকে কারওয়ান বাজার, অপরদিকে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে কাটাবন পর্যন্ত ছড়িয়েছে জামায়াতের সমাবেশ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
সমাবেশ স্থান ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় বসানো হয়েছে মেডিকেল সেন্টার। ব্যবস্থা করা হয়েছে সুপেয় পানির।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এসব এলাকা কিছুটা যানচলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে ট্রাফিক বিভাগ ও জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবকরা। এসব এলাকায় নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকায় জরুরি সেবায় নিয়োজিত পরিবহন ও হাসপাতালমুখী পরিবহন শৃঙ্খলভাবে চালানো হচ্ছে।
সকাল ১০টায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুরু হয় সমাবেশ স্থলে। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় জাতীয় সমাবেশ।
জানা গেছে, এই মুহূর্তে সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে আসা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগরী উত্তরের গুলশান জোনের একটি মিছিলের সঙ্গে সমাবেশস্থলে যান মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। মিছিলের আগে তিনি সেখানে নেতাকর্মীদের উৎসাহমূলক বক্তব্যও দেন।
অপরদিকে মহানগরী দক্ষিণ থেকেও মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন মহানগরীর আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল।
একইভাবে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে যোগ দিচ্ছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক দিয়েও একের পর এক মিছিল যেতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এসব নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন না। কারণ সেখানে আগেই পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। নেতাকর্মীরা আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।
নেতাকর্মীরা বলছেন, জামায়াতের এই সমাবেশ ইতিহাস গড়ার সমাবেশ। অতীতে এমন হয়নি, ভবিষ্যতেও এমন সমাবেশ বাংলাদেশে হবে কিনা তা বলা যায় না।
জামায়াতের সাত দফা দাবিসমূহ হলো:
১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার
২. রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার
৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন
৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন
৫. জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন
৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ
৭. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ
সানজানা