ইতিহাসে এই প্রথম রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ। শনিবার ভোরেই নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় উদ্যান। সকাল ১০টায় সমাবেশস্থলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুরু হয়।
শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুরু হয়। দুপুর ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশের সড়ক থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে দেখা যায়।
জানা গেছে, এই মুহূর্তে সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে আসা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগরী উত্তরের গুলশান জোনের একটি মিছিলের সঙ্গে সমাবেশস্থলে যান মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। মিছিলের আগে তিনি সেখানে নেতাকর্মীদের উৎসাহমূলক বক্তব্যও দেন।
একইভাবে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে যোগ দিচ্ছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক দিয়েও একের পর এক মিছিল যেতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এসব নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন না, কারণ সেখানে আগেই স্থান পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। নেতাকর্মীরা আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।
নেতাকর্মীরা বলছেন, জামায়াতের এই সমাবেশ ‘ইতিহাস গড়ার সমাবেশ’। অতীতে এমন কিছু হয়নি, ভবিষ্যতেও এমন সমাবেশ বাংলাদেশে হবে কিনা তা বলা যায় না।
জামায়াতের সাত দফা দাবি হলো:
১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার
২. রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার
৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন
৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন
৫. জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন
৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ
৭. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ
সানজানা
