ভারতীয় গণমাধ্যম যা প্রচার করছে তার শতভাগ মিথ্যা শতভাগ প্রপাগান্ডা এখনকার ঘটনা উল্লেখ করে ছবি দেখাচ্ছে ৫আগস্টের আগের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক শেখ হাসিনা ছিল ভারতের একটা পুতুল সরকার তো ভারত যা চাইতো শেখ হাসিনার কাছ থেকে সেইভাবে চলতো বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে বৈরি সম্পর্ক তৈরি হতে যাচ্ছে ভারতের কারণে ঠিক একই রকম ভাবে নেপালের সঙ্গেও ভারতের একটা বৈরি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে নেপালের কারণে নয় ভারতের কারণে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রোপাগান্ডায় বিশ্বাস করে না । আমরা প্রপাগান্ডায় বিশ্বাস করি না আমরা মিথ্যা প্রচারণায় বিশ্বাস করি না। বাংলাদেশের গণমাধ্যম যেটা করবে বা করা দরকার সত্য সংবাদ প্রকাশ করা ।
ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রচুর মিথ্যা ও ভুল সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। ভারতীয় রাজনীতিবিদরাও বলছেন একই সুরে হিন্দুরা খুব খারাপ অবস্থায় আছে শত শত হিন্দু হত্যা করা হচ্ছে এইরকম নানান মিথ্যা প্রচারণা করা হচ্ছে কিন্তু কেন
ভারতীয় মিডিয়া এই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে?
বাংলাদেশে কি হিন্দুদের উপরে নির্যাতন হয়েছে নাকি ভারতীয় গণমাধ্যম যেটা প্রচার করছে তার পুরোটাই অসত্য পুরোটাই প্রোপাগান্ডা ।বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য শেখ হাসিনা সরকারকে বিতাড়িত করার জন্যে বাংলাদেশে একটি গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থান সেই গণঅভ্যুত্থানের পরে শেখ হাসিনা অর্থাৎ আওয়ামী লীগের যারা সমর্থক আওয়ামী লীগের পক্ষ হয়ে যারা ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে দেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে তার বিরুদ্ধে এই গণঅভ্যুত্থান যারা সংগঠিত করেছে তাদের একটা তীব্র রাগ ছিল তীব্র ক্ষোভ ছিল শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে আওয়ামী লীগের নেতামন্ত্রী এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষের উপরে আক্রমণ হয়েছে কারো কারো বাড়িঘরও ভাঙচুর করা হয়েছে হত্যা করা হয়েছে । কারো কারো বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে সেই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মুসলিম কর্মী বা সমর্থকের বাড়ি যেমন ভাঙচুর করা হয়েছে আওয়ামী লীগের হিন্দু কর্মী বা সমর্থকদের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে তবে সেটা সংখ্যায় এমন না যেটা নিয়ে একেবারে খুব বড় রকমের হইচয় ফেলে দেয়া যায় অধিকাংশ জায়গায় ভাঙচুর বা আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে আওয়ামী লীগ সমর্থক বা আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে
খুব সামান্য সংখ্যক জায়গাতে ঘটনা ঘটেছে হিন্দু বলে সংখ্যালঘুরা সংখ্যায় যারা কম তাদের উপরে তাদের নানা রকমের টানাপড়েন থাকে বাংলাদেশেও সেই বাস্তবতাটা আছে তবে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের সেই বাস্তবতাটা হিন্দুরা তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো অবস্থানে আছে ।
হাসিনার অপশাসন চলেছে শেখ হাসিনার সেই অপশাসনের সময়েও এরকম দু চারটি ঘটনা ঘটেছে অর্থাৎ কিছু ঘটনা সত্যতা আছে এখন প্রশ্ন আসে যে ভারতীয় গণমাধ্যম কি প্রচার করছে এবং সেই প্রচারের কতটা সত্যি ?? ভারতীয় গণমাধ্যম যা প্রচার করছে তার শতভাগ মিথ্যা । শতভাগ প্রপাগান্ডা ভারতীয় গণমাধ্যম কি প্রচার করছে যেখানে শত শত হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে এর সামান্যতম কোন সত্যতা নেই ভারতীয় গণমাধ্যম প্রচার করা হচ্ছে যে বাংলাদেশে হিন্দুরা খুব খারাপ আছে যার সামান্যতম কোন সত্যতা নেই । ভারতের একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে তারা প্রচার করছে সেটা প্রথম প্রথম সারির স্যাটেলাইট চ্যানেল তারা প্রচার করছে যে বাংলাদেশে হিন্দুরা খারাপ আছে কয়েকজনের বক্তব্য প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম যে সবচেয়ে বড় মাপের অপরাধ করছে একটা দেশের বিরুদ্ধে এটা আনএইথিক্যাল বলছি আমি অপরাধ বলছি বলছি তারা একজনের বক্তব্য প্রচার করছে একজন হিন্দু যুবকের বক্তব্য প্রচার করছে যে আমরা ভয়ে আছি আতঙ্কে আছি এই বক্তব্য যখন প্রচার করছে তখন টেলিভিশনের স্ক্রিনকে তারা দুই ভাগে ভাগ করেছে ভাগ করে আরেক ভাগে দেখানো হচ্ছে ৫ আগস্টের আগে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ পুলিশ বিজিবি ছাত্রজনতার উপরে যে আক্রমণ করেছিল একটা রক্তাক্ত বাংলাদেশ তৈরি করেছিল একটা আগুনের ভীষিকা বাংলাদেশ তৈরি করেছিল ভারতের গণমাধ্যমগুলো এখনকার ঘটনা উল্লেখ করে ছবি
দেখাচ্ছে ৫ আগস্টের আগের এবং ভারতের প্রথম সারির যতগুলো চ্যানেল আছে সবগুলো চ্যানেল এই কাজ করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে যাদের তারা এই কাজগুলো করছে ।
আনন্দবাজারের মত পত্রিকা চ্যানেলেরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এই কাজ করছে । এই কাজ করছে এবিপি, আনন্দের মত স্যাটেলাইট চ্যানেল । তার মানে হচ্ছে তারা শতভাগ প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে ।
ভারতের বর্ধমান জেলার একটি মন্দির। সেই মন্দিরের একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম প্রচার করছে । ইন্ডিয়া সহ বহু গণমাধ্যম প্রচার করছে কালী প্রতিমার মাথা ধরে টানা হেচড়া করে ভাঙচুর করা হচ্ছে এই ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে বাংলাদেশের মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে সেটা হিসেবে । বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিস ল্যাব তারা যখন এই তথ্য যাচাই করতে গেল তারা এটা যাচাই করতে গিয়ে দেখলো যে ওই মন্দিরটি ভারতের বর্ধমান জেলার সুলতানপুরে অবস্থিত ভারতের বর্ধমান জেলার সুলতানপুরে বাংলাদেশের কোন এলাকায় নয় এবং ওই মন্দিরটির বিশেষত্ব হচ্ছে যে একটি মন্দির সেখানে ১২ ফুট উচ্চতার একটি কালী প্রতিমা রাখা হয় এবং সেই কালী প্রতিমাটির কিছু কিছু অংশ আস্তে আস্তে করে ভাঙ্গা হয় ১২ বছর ধরে ভাঙ্গা হয়। ১২বছর ধরে ভেঙে ওই কালী প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয় যেদিন বিসর্জন দেয়া হয় সেইদিন আরেকটি ১২ফুট উচ্চতার কালী প্রতিমা সেইখানে প্রতিস্থাপনকরা হয় । এটা তাদের ধর্মীয় রীতি এটা তাদের প্রার্থনার রীতি এটা তাদের বিসর্জনের রীতি ওই ভিডিও চিত্রটি ভারতীয় গণমাধ্যম,ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বাংলাদেশের মন্দির হিসেবে সেটাকে প্রচার করছে এবং ভারতীয় জনগণ সেটা বিশ্বাস করছে যে এই যে দেখো বাংলাদেশে মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে । এই যে মিথ্যাচার এই মিথ্যাচারটার কারণে ভারত এক ধরনের ঘৃণা ছড়াচ্ছে গণমাধ্যম যেটা করছে শতভাগ অসত্য মিথ্যা সংবাদকে তারা একেবারে সম্পূর্ণরূপে উল্টে দিয়ে মিথ্যা সত্য সংবাদে পরিণত করতে চাইছে ।
রাজু