ছাত্রজনতার অভ্যুথানের মুখে ৫ ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।মন্ত্রীপরিষদ,সংসদ সদস্যসহ আত্নগোপনে চলে যান তার দলের নেতাকর্মীরা। লুটপাট, ছাত্র আন্দোলন দমন এবং শিশুসহ শত শত শিশু হত্যার অভিযোগে একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীবৃন্দ।এরমধ্যে সোমবার বরগুনার ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু, নরসিংদীর সিরাজুল ইসলাম আর সিলেটের ইয়াহিয়াসহ বেশ কয়েকজনই গ্রেফতার হয়েছেন, যাদেরকে গ্রেফতার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন খিলগাঁও ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. বাবুল ওরফে কসাই বাবুল (৫৪), খিলগাঁও থানার শান্তিপুর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজিজুল হক মুকুল (৪৯), পল্টন ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক ফাহাদ উল্লাহ (৪০), কলাবাগান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি কাউছার হাওলাদার (৫৫) ও নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান আল রোমান।
ডিএমপি জানায়, গত ১৯ জুলাই ফিজিওথেরাপি টেকনিশিয়ান সৈয়দ নাজমুল হাসান আফতাব নগরে তার বাসা থেকে বনশ্রী রাজি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর ককটেল বিস্ফোরণসহ গুলিবর্ষণ করলে নাজমুল বুকে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় ভিকটিমের আত্মীয় আব্দুল মালেক বাদী হয়ে ১৩ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় খিলগাঁও থানার গোড়ান এলাকা থেকে রোববার গভীর রাতে বাবুল ও আজিজুলকে এবং সোমবার গোড়ান শান্তিপুর এলাকা থেকে ফাহাদকে খিলগাঁও থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এছাড়াও সোমবার কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড থেকে কলাবাগান থানা পুলিশ কাউছার ও হাসান আল-রোমানকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদেরকে আদালতে পাঠনো হয়েছে হয়েছে বলেও জানায় ডিএমপি।
নাহিদা