ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সবসময় গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহতের চেষ্টা করে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবীরা

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ১৪:৪২, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

সবসময় গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহতের চেষ্টা করে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবীরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি।

দেশের এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী আছে, তারা সবসময় গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী আছে, যারা বুদ্ধি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা সবসময় গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে। এটা তাদের একটা প্রচেষ্টা, যা আমরা যুগ যুগ ধরে দেখেছি।  

তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী করার ফলে দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে।  এখন আর অনির্বাচিত কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারছে না। যদিও অনেকের অন্তর জ্বালা আছে। যারা কোনোদিন ভোটেও জিততে পারবে না, রাজনীতিও করতে পারবে না, জনগণের মুখে সামনে দাঁড়ানোর সাহস নেই তাদের। 

সরকারপ্রধান বলেন, মার্শাল ল জারি করে ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা দিয়েছেন। যার ফলে আজকের বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার, মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। আমরা এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে এসে গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। এই গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের শক্তিকে দৃঢ় করা এবং ক্ষমতায় কে থাকবে না থাকবে, জনগণ যাতে নির্বাচিত করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা।

তিনি জানান, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল, এই ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। করোনাকালীন সময়েও গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছি। কে কোন দলের তা দেখিনি। আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেছি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর করে দিয়েছি। রংপুর বিভাগ আমারই করা। আমরা মানুষের জন্য কাজ করেছি।


 

এমএম

×