ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে অবরুদ্ধ বরিশাল

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ৩ নভেম্বর ২০২২

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে অবরুদ্ধ বরিশাল

সমাবেশের ফটক

বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে অবরুদ্ধ হয়ে পরেছে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে সমাবেশের দুইদিন আগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সকল ধরনের নৌযান। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল থেকে বন্ধ হচ্ছে বাস ও থ্রী-হুইলার চলাচল। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন বিভাগের ছয় জেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।

খোঁজ  নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশের দুইদিন আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল-ভোলা রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে বরিশাল নদীবন্দর ও ডিসি ঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ও স্পিডবোট ভোলার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়নি। তেমনি ভোলা থেকেও কোনো নৌযান বরিশালে আসেনি।

এর আগে আজ শুক্রবার সকাল থেকে বাসসহ থ্রী-হুইলার বন্ধের ঘোষনা দেয়া হয়। অপরদিকে বুধবার রাতে নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। বাস, লঞ্চ, স্পীড বোর্ড বন্ধ ঘোষনার খবর পেয়েই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে গণসমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য বরিশালে অবস্থান করছেন। এছাড়াও বুধাবার রাতে সমাবেশস্থল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে রাত যাপন করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এদিকে বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে বরিশালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। আগামীকাল ৫ নভেম্বরের বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমেছে। গত কয়েকদিন থেকে তারা ধারাবাহিকভাবে মিছিল, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করছেন।

অপরদিকে আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকায় যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ সফল করতে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বরিশালে প্রতিদিন সব ওয়ার্ডে মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যুবলীগ। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক রইজ আহম্মেদ মান্নার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বিশাল এক মোটরসাইকেল শোডাউন দেয়া হয়েছে। একইসময় প্রধান দুই দল রাজপথে থাকায় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছে নগরবাসী।

বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি, তাদের গণসমাবেশ ব্যাহত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দরা।

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে ইতোমধ্যে গত সোমবার নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আগামী ৫ নভেম্বর বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষ্যে বিএনপি এবং কেন্দ্রীয় সমাবেশ সফল করতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকায় যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন সচেতন নগরবাসী। 

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু বলেন, কোনো সংঘাতের উদ্দেশ্যে নয়, কেন্দ্রীয় সমাবেশ উপলক্ষে তৃণমূল যুবলীগের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত যুবলীগের মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল। এই দলের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি গণতান্ত্রিক। অভিযোগ করা বিএনপির অভ্যাস। শুধুমাত্র অভিযোগ করার জন্যই তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত লঞ্চ স্পীড বোর্ড এবং ৪ ও ৫ নভেম্বর বাস ও থ্রী হুইলার চলাচল বন্ধ করার মাধ্যমে গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপির গণসমাবেশের প্রাক্কালে তারা (আওয়ামী লীগ) প্রতিদিন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিছিল করছে। পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া কিংবা সংঘাতের উদ্দেশ্যেই তারা এই কর্মসূচি নিয়েছে। বিএনপি এসব এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছে। ৫ নভেম্বর জনস্রোতে সব বাঁধা উড়ে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ 
লঞ্চ ও স্পিডবোট মালিক সমিতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লঞ্চ বন্ধের কোনো কারণ না জানাতে পারলেও বিএনপি নেতারা বলছেন, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেই নৌযানগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পরেছেন বরিশালের অভ্যন্তরীন রুটে নিয়মিত যাতায়াতাকারী যাত্রীরা। লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়ে মালিক সমিতি কিছু না জানালেও বিআইডবি্লউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, ভোলায় আওলাদ নামক একটি লঞ্চে বুধবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুধু ভোলা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে মেহেন্দিগঞ্জ ও মজুচৌধুরীরহাট রুটের লঞ্চগুলো বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত চলাচল করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভোলা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রীবাহী স্পিড বোট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা।

আবাসিক হোটেলে পুলিশের অভিযান
 নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোর খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে পুলিশ। হোটেল মালিকরা বলছেন, নতুন করে বোর্ডার বা অতিথি তোলার ক্ষেত্রে প্রশাসন থেকে দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মালিক সমিতির আওতায় দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে। মালিক সমিতি কয়েক বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। সমিতির সাবেক দায়িত্বশীলরা এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। জানা গেছে, বুধবার রাতে শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বরতদের সাথে কথা বলেছেন। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম বলেন, হোটেল তদারকি আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ। হোটেল কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে নিয়ম অনুসরণ করছেন কি না এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেয়ার জন্য হোটেলে যাওয়া হচ্ছে।

চলছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ
বিএনপির গনসমাবেশ করার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের একাংশে সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই দিন-রাত বঙ্গবন্ধু উদ্যানের একাংশে মঞ্চ নির্মাণের কাজ করছেন শ্রমিকরা।

বরিশালে পৌঁছেছে নেতাকর্মী
গণসমাবেশে যোগ দিতে বিভাগের ৬ জেলা থেকে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে বরিশালে পৌঁছেছেন। এছাড়া শুক্রবার এবং আগামীকাল শনিবার আরো নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেন। আত্মীয়-স্বজন এবং আবাসিক হোটেলে তারা অবস্থান নিয়েছেন। তবে বুধবার রাতে ভোলা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে বলে দাবী করেন বিএনপি নেতারা। অবশ্য এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে কোনো লাভ হবেনা। ৬৫ শতাংশ নেতাকর্মী ইতোমধ্যে বরিশাল শহরে অবস্থান নিয়েছেন। প্রয়োজনে নেতাকর্মীরা নৌপথে ট্রলারে ও সড়কে বাইসাইকেলে করে আসবেন, আর তাতেও সমস্যা হলে পায়ে হেঁটে আসবেন।

ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নগরী
গণসমাবেশের বাকি আর মাত্র একদিন। আর এই সমাবেশ উপলক্ষ্যে সমাবেশস্থলসহ বরিশাল জেলা ও মহানগর দলীয় কার্যালয়ের সামনে যেন ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুনের উৎসব চলছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর থেকে বরিশাল সমাবেশস্থল পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশ, ভবনের দেয়াল আর ল্যাম্পপোস্টে লাগানো হচ্ছে ব্যানার। রঙ-বেরঙের এসব ব্যানার ও ফেস্টুনে শোভা পাচ্ছে দলের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি দাবির কথা। এছাড়া গণসমাবেশের সফলতা কামনা করেও টানানো হয়েছে অসংখ্য পোস্টার। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা নগরীতে লিফলেট বিতরন করছেন।

মিছিল ও শ্লোগানে সরগরম
সমাবেশকে সামনে রেখে মিছিল ও শ্লোগানে সরগরম হয়ে উঠছে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা এ উদ্যানে আসা-যাওয়া করছেন। মেহেন্দীগঞ্জ, ভোলা, দৌলতখান উপজেলা, পটুয়াখালী, গলাচিপা, বরগুনা, কুয়াকাটা থেকে আসা নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুইদিন আগেই বরিশালে এসেছি। কোনো হোটেল খালি না থাকায় সমাবেশ মাঠেই বুধবার রাতে অবস্থান করেছি। সমাবেশস্থলে থাকা নেতাকর্মীরা কিছুক্ষন পর পরই বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছেন।

বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলসিক জাহান শিরিন বলেন, কোনো কিছুতেই বরিশালের গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকানো যাবেনা। প্রয়োজনে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে, বাইসাইকেলে, ট্রলার ও নৌকায় চেঁপে আসবেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, শো-ডাউন করে বরিশালে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। তারা বেপরোয়া হয়ে গেছেন বিএনপির জনসমর্থন দেখে। তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদেরকে যদি হোটেলে থাকতে দেয়া না হয়, তাহলে তারা সমাবেশস্থলে থাকবেন।

ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর
সমাবেশের আগেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যানার ও ফেস্টুন ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে সমাবেশস্থলের আশপাশ এলাকা সমূহসহ বিভিন্নস্থানে একইভাবে ব্যানার ও ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক। তিনি এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের যুব ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেন।

মানুষ এখন আর হামলা ও মামলাকে ভয় পায় না 
কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ডাঃ কেএমজেড জাহিদ হাসান বলেছেন, এখন আর বিএনপিসহ দেশের মানুষ সরকার দলের নেতাকর্মীদের হামলা ও মামলাকে ভয় পায়না। আজ মানুষ ফুঁসে উঠেছে বলেই ওরা মহড়া দিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় নগরীর সদররোডস্থ জেলা ও মহানগার বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডাঃ জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানার প্রতিবাদে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা 
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে নগরীতে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে মিছিল করেছে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা। যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মিছিল করেছেন বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দরা।

তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতেই আতঙ্ক সৃষ্টি করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপির সমাবেশের আগে ক্ষমতাসীনদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বরিশালের রাজপথে নতুন করে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। বুধবার বিকেল থেকে রাত অবধি নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে শত শত মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়ার নেতৃত্বে ছিলেন মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক রইজ আহমেদ মান্না। মিছিলের একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন সদর রোডে কিছু সময় অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, আগামী ১১ নভেম্বর যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী সফল করতে প্রস্তুতি হিসেবে নগরীতে তারা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন। নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক রইজ আহমেদ মান্নার নেতৃত্বে ৩০টি ওয়ার্ড ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা কয়েকশ’ মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে সদর রোড থেকে মিছিল বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করা হয়। পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়; ঢাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে আমরা মিছিল করেছি। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে একযোগে মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এসআর

×