বক্তব্য দিচ্ছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নীরব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ।
শনিবার (৬ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে ‘প্রেরণাদায়িনী মা’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গমাতা ছিলেন নীরব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যিনি বঙ্গবন্ধুকে সার্বক্ষণিক সাহস, অনুপ্রেরণা ও শক্তি জুগিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন বিজয়ী লক্ষ্মী নারী।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, যার কোনোটিতেই নেতার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়নি। এমনকি কারবালার প্রান্তরেও নারী হত্যা হয়নি। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ও বর্বর হত্যার ঘটনা ঘটে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট।
বেগম মুজিব তো সক্রিয় রাজনীতি করেননি, তাহলে কেন তিনি হত্যার শিকার হলেন? বেগম মুজিব থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছুই আছে।’
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা।
অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), শিক্ষাবিদ ও পরিবেশবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ এবং চিত্রশিল্পী হাশেম খান।
অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ বলেন, ‘বঙ্গমাতাকে আমি কাছ থেকে দেখেছি। রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় তিনি ঠিকই বিচলিত হতেন কিন্তু বাইরে সেটা প্রকাশ করতেন না।
বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে থাকতেন তখন একদিকে যেমন তিনি বাড়ি সামলানোর কাজ করেছেন, অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর মামলার আইনজীবীকে সামলানো, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজটিও করতেন। তিনি সবসময়ই ঠান্ডা মাথায় কাজগুলো করতেন।’
সভাপতির বক্তব্যে ড. আব্দুল খালেক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হতো না, তেমনই বেগম মুজিবের জন্ম না হলে শেখ মুজিব ‘মুজিব’ হয়ে উঠতেন না। বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুর জীবনের বড় বড় সিদ্ধান্তগুলোতে প্রভাব রেখেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু বেগম মুজিব থেকে পরামর্শ নিতেন।’