ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস
গাজা-ইউক্রেনসহ বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার গুরুত্বকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। তবে অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি এবং অনেক জোটে প্রধান ভূমিকার জন্য বিশ^মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখনো গুরুত্বপূর্ণ। আঞ্চলিক শক্তিগুলো নিজস্ব পথে চললেও স্বৈরতান্ত্রিক শাসকরা তাদের নিজ নিজ মিত্র তৈরি করে নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের জন্য এমন একটি বিশ^ অপেক্ষা করছে; যেখানে শান্তির চেয়ে সংঘাত বেশি। এই যুদ্ধ মোকাবিলা করেই পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন জরিপে কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুটি নতুন জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে সামন্য ব্যবধানে কমলা এগিয়ে রয়েছেন। তবে অধিকাংশ জরিপে দুজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে হলে ইলেক্টোরাল ৫৩৮টির মধ্যে ২৭০টি ভোট পেতে হবে। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, তিনি অস্থির, প্রতিশোধপরায়ণ, অপরাধপ্রবণ। তিনি অবাধ ক্ষমতার পেছনে ছুটছেন।
আর কমলাকে আক্রমণ করতে গিয়ে ট্রাম্প তাকে নিয়ে ‘বর্ণ ও লিঙ্গবিরোধী’, ‘অশালীন’ এবং ‘কুরুচিপূর্ণ’ কথা বলা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি কমলাকে, একজন ধ্বংসাত্মক মানুষ, যিনি নিজের চলার পথে সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে যান বলে অভিহিত করেছেন। ট্রাম্পের একজন মিত্র পুয়ের্তো রিকোকে ‘বর্জ্যরে ভাসমান দ্বীপ’ বলেছেন। ট্রাম্পের বন্ধু ডেভিড রেম কমলাকে ‘খ্রিস্টধর্মের বিরোধী’ এবং ‘শয়তান’ বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন কমলা। একইসঙ্গে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও অভিহিত করেছেন ট্রাম্পকে।
কমলা অভিযোগ করেন যে, ট্রাম্পের হিটলার প্রীতি আছে। কমলার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, তিনি বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথা বলেই যাচ্ছেন। আমাকে অ্যাডলফ হিটলার এবং বলে ডাকতে যাচ্ছেন। তিনি কমলাকে ‘কমরেড কমলা হ্যারিস’ বলে সম্বোধন করেছেন। তিনি কমলাকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ হিসেবে অভিহিত করেন।
কমলা ভোটারদের নির্বাচনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন, এই নির্বাচন ‘সম্ভবত আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট’ এবং এর মানে ‘স্বাধীনতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্য থেকে একটিকে বেছে নেওয়া’। এর মাধ্যমে মার্কিন ভোটাররা ‘সবচেয়ে অসাধারণ কাহিনীর পরবর্তী অধ্যায়টি লিখতে পারেন’। তিনি বলেন, প্রায় চার বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জনগণের ইচ্ছাকে দমন করার জন্য সশস্ত্র জনতাকে পাঠিয়েছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো খরচ কমানো।
তিনি গর্ভপাতের অধিকার রক্ষারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, মানুষ তাদের নিজের শরীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মৌলিক স্বাধীনতা রাখে। ওয়শিংটনে বক্তব্য প্রদানের সময় ট্রাম্প জিজ্ঞাসা করেন, ‘চার বছর আগের তুলনায় আপনি কি এখন ভালো অবস্থায় আছেন?’ তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পুনরাবৃত্তি করে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবসময় দুটি বিপরীত ধারার মধ্যকার একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়। যেমন: অতীত বনাম ভবিষ্যৎ, সমৃদ্ধি বনাম অবক্ষয়, শান্তি বনাম যুদ্ধ।
আর বর্তমানে এই নির্বাচন গণতন্ত্র বনাম কর্তৃত্ববাদের লড়াই হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলকে আলাদা ধারার বলে মনে হলেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশেষ করে যুদ্ধ ও শান্তির বিষয়ে তাদের মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য নেই। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সিইও কমফোর্ট ইরো বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সবচেয়ে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক শক্তি। তবে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সমাধানে সহায়তা করার শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের হ্রাস পেয়েছে। প্রাণঘাতী সব সংঘাত আরও জটিল হয়ে উঠছে, বড় বড় শক্তির দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং মধ্যম শক্তির দেশগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র তার নৈতিকতার উঁচু স্থান হারাচ্ছে।
কমলার জয় বর্তমান প্রশাসনের ধারাবাহিকতার প্রতিনিধিত্ব করে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আর ট্রাম্প যদি ক্ষমতায় আসেন তবে গাজা ও মধ্যপ্রাচ্যে চলমান বহুমুখী যুদ্ধে ইসরাইলকে আরও প্রশ্রয় দিতে পারেন। এমনকি, কিয়েভকে টপকে গিয়ে মস্কোর সঙ্গে চুক্তির প্রচেষ্টাও তিনি করতে পারেন। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দলের নেতৃস্থানীয়রা মনে করেন, চীন প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে আমেরিকাকে গ্রাস করার চেষ্টা করছে। আর চীনের নেতারা মনে করেন, হ্যারিস ও ট্রাম্প উভয়ই কঠোর হবেন। তবে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ মিত্তরের মনে করেন, কমলা হবেন মন্দের ভালো।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয় হলো : অর্থনীতি, গর্ভপাত ও অভিবাসন। তবে ভোটারদের নিকট প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে দেশটির অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচন অভিবাসীদের জন্য আতঙ্কের হয়ে উঠেছে। রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী কড়া বক্তব্য দিয়েছেন। নির্বাচনে জয়লাভ করে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পর প্রথম দিন থেকেই অভিবাসী বিতাড়নে কাজ শুরু করবেন এবং ‘অভিবাসী আক্রমণের’ ধারা উল্টে দেবেন। গাজায় চলমান ভয়াবহ যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন মার্কিন সিনটের বার্নি স্যান্ডার্স।
তবে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকেই তিনি ভোট প্রদানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘চরমপন্থী’ নেতানিয়াহু সরকারের নিকট যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা ও প্রাণঘাতী অস্ত্র বিক্রি আটকাতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। তবে শুধু কৌশলগত নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় গাজা ও পশ্চিম তীরে একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র দ্বারা সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ বর্ণনা করতে ট্রাম্প ও কমলা উভয়েই ‘গনহত্যা’ শব্দটি ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। উভয় রাজনৈতিক দল প্রকারান্তরে ইসরাইলের প্রতি নিরঙ্কুশ সমর্থন দিচ্ছে এবং যারা এ অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, তাদের সন্ত্রাসবাদের সমর্থক বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে, যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা নিজেদের দেহের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ তথা গর্ভপাতের অধিকার হারাবে। পরিবেশ বাঁচাতে জলবায়ুর পরিবর্তন রোধে যে লড়াই চলছে, তাও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ভারসাম্য নষ্ট হবে। ধনীরা আরও ধনী হবে এবং সাধারণ মানুষের ওপর করের আরও বোঝা চাপবে। আমেরিকার রাজনৈতিক বিপ্লব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভাসিয়ে দেবে এবং দেশে দীর্ঘকালীন কাক্সিক্ষত পরিবর্তন নিয়ে আসবে। কমলার প্রচার শিবিরের পক্ষ থেকে জেন-জি প্রজন্মকে কাছে টানতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
এবারের প্রেসডিন্টে নির্বাচনে ট্রাম্পকে বড় সমর্থন দিচ্ছেন ইলন মাস্ক। তিনি ট্রাম্পের প্রচার প্রচারণায় বিপুল অর্থ ব্যয় করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অংশ হলে তা মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স ও টেসলার-এর জন্য বড় সুবিধা দিতে পারে। ট্রাম্প সরকার গঠন করলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্রকে ঢেলে সাজাতে চান মাস্ক।
আরব ও মুসলিম ভোটারদের ক্ষোভ ডেমোক্রেটদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এতে আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পের সমর্থন বাড়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এটি ডেমোক্রেটদের জন্য উদ্বেগের কারণ। বিশে^র অনেক শক্তিশালী সরকার ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন আসন্ন নির্বাচনে জযলাভ করেন সেটি চায়। ট্রাম্পপন্থী শিবিরে রয়েছে আর্জেন্টিনা, ইসরাইল, রাশিয়া, ভারত, হাঙ্গেরি ও সৌদি আরব। আর কমলাপন্থি শিবিরে রয়েছে ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ, ব্রিটেন, জাপান, কানাডা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অনেক দেশ।
ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারেন, এই ভেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদের ঘুম হারাম হওয়ার অবস্থা। তারা এই ভেবে ভীত যে, ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথাগত বৈদেশিক নীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। সবচেয়ে লাভ হবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের। এই দুজনের চলমান সখ্যতা রাতারাতি কৌশলগত অংশীদারত্বে পরিণত হতে পারে। এর ফলে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ন্যাটোভিত্তিক যে আন্ত-আটলান্টিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে; তা হয় ভেঙে যাবে, নয়তো দুর্বল হবে। ইউরোপের যেসকল রাজনীতিক নিজ দেশে কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী; ট্রাম্প জিতলে তাঁরা সবচেয়ে উৎসাহী হবেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, ইতালিসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে অভিবাসন সংকটকে কেন্দ্র করে দক্ষিণপন্থীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এমনকি জার্মানিতেও দক্ষিণপন্থীরা অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প যে পুতিনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলগুলো তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানো ইউক্রেনের মোটেও উচিত হয়নি এমন মন্তব্যও করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের একদিনের মধ্যে এই যুদ্ধের সমাধান করবেন। তবে কিভাবে করবেন তা খোলাসা করেননি।
ট্রাম্প নির্বাচিত হলে মার্কিন প্রশ্রয়ে ইসরাইলি আগ্রাসন আরও বেপরোয়া হবে। তার প্রথম দফায় আন্তর্জাতিক আইনকে তোয়াক্কা না করে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেনে স্থানান্তর করেছিলেন। তার সময়ে ওয়াশিংটনে পিএলও দপ্তর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জাতিসংঘের ফিলিস্তিন ত্রাণ সংস্থার চাঁদাও আটকে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচিত হয়ে ট্রাম্প প্রথম দফায় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তথাকথিত ‘মুসলিম ব্যান’। সন্ত্রাসী অভিযোগে সাতটি মুসলিম দেশের জনগণের যুক্তরাষ্ট্র আগমন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
এশিয়ায় বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন নীতির বড় কোনো পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। কারণ ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতির একটি প্রধান স্তম্ভই হলো চীনের বিরোধিতা। তিনি নির্বাচিত হলে সেটি আরও জোরদার হবে। ট্রাম্প বলেন, অন্যান্য ন্যাটো রাষ্ট্রকেও তাদের ব্যযের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে তিনি বাধ্য করবেন। তবে হ্যারিস জিতলে ন্যাটো ওয়াশিংটনের হাতে থাকবে বলে মনে করেন ন্যাটোর সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল গোটেমোয়েলার। তবে তিনি বলেন, ইউক্রেনের বিজয় অর্জনের জন্য কমলা ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। তবে তিনি ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ থেকে পিছপা হবেন না।
জাতিসংঘের মানবিক ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয় বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল গ্রিফথস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশে^ অতুলনীয় প্রভাব বিস্তার করে কেবল অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির মাধ্যমেই নয়, বরং বিশ^মঞ্চে নৈতিক কর্তৃত্বের সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাবনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, কমলা জিতলে ভালো কিছু আশা করা যায়। তবে একতরফাবাদ এবং একলা চল নীতি নেওয়া ট্রাম্প যদি ফিরে আসেন, তাহলে বিশ^ব্যাপী অস্থিতিশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে গ্রিফিথস মনে করেন। বৈশি^ক সংঘাত ও অনিশ্চিয়তার এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র দায়িত্বশীল ও নীতিবাদ নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ নিয়ে উঠে দাঁড়াক সেটিই বিশ^বাসী কামনা করে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়