ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সানজিদার স্ট্যাটাস প্রমীলা ফুটবলের দর্শন

ওবায়দুল কবির

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

সানজিদার স্ট্যাটাস প্রমীলা ফুটবলের দর্শন

.

‘যারা আমাদের এই স্বপ্নটাকে আলিঙ্গন করার জন্য উৎসুক হয়ে আছেন সেই সকল স্বপ্ন সারথিদের জন্য এটি আমরা জিততে চাই। নিরঙ্কুশ সমর্থনের প্রতিদান আমরা দিতে চাই। ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনীকে এক পাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে তাদের জন্য এটি জিততে চাই। আমাদের এই সাফল্য হয়তো আরও নতুন কিছু সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া পেতে সাহায্য করবে। অনুজদের বন্ধুর এই রাস্তাটুকু কিছু হলেও সহজ করে দিয়ে যেতে চাই।’ নেপালের বিরুদ্ধে ফাইনালে মাঠে নামার আগে প্রমীলা ফুটবল টিমের একজন সদস্য সানজিদা আখতারের ফেসবুকে স্ট্যাটাস এটি।
সানজিদার এই ফেসবুক স্ট্যাটাস এখন দেশের খেলাপাগল বাঙালীর হাতে হাতে। আবার সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়া এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। প্রমীলাদের সাফ বিজয়ের পর এই স্ট্যাটাসটি মূল্যবান একটি দলিল বলেই মনে হচ্ছে। এই দলিলে আঁকা রয়েছে বাংলাদেশের প্রমীলা ফুটবলের এক অপূর্ব দর্শন। যেখানে রয়েছে খেলাপাগল বাঙালীর ভালবাসার চিত্র। রয়েছে পিছনের কারিগরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। লেখা আছে প্রমীলা ফুটবলারদের লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার কাহিনী। সবচেয়ে মূল্যবান অংশ হচ্ছে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা। এখনই সময় এই দর্শন বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যত পরিকল্পনা রচনার।
আমাদের আনন্দ উচ্ছ্বাসের উপাদান খুবই কম। উন্নয়নশীল একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের অর্থনৈতিক সাচ্ছন্দ্য যতটুকু থাকার কথা আমাদের ঠিক ততটাই রয়েছে। সামাজিক ও লিঙ্গ বৈষম্য আমাদের পিছিয়ে থাকার সাক্ষী দিচ্ছে সব সময়। জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদের উত্থানে আমরা বাঙালী সমাজের চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতিও হারাতে বসেছি। ঈদ বা পূজার সার্বজনীন অংশগ্রহণ প্রশ্নের মুখে। পদ্মা সেতুর মতো উদ্যাপন আমাদের খুব বেশি হয় না। খেলাধুলার বদৌলতেই আমরা মাঝে মধ্যে হাসতে পারি প্রাণ খুলে, মেতে উঠতে পারি আনন্দ উৎসবে। ক্রিকেটাররা মাঝে মধ্যেই আমাদের সেই আনন্দে ভাসানোর চেষ্টা করলেও ফুটবলপাগল বাঙালীর মনে আক্ষেপ থেকেই গেছে। ফুটবলের স্বর্ণযুগ আমরা হারিয়ে ফেলেছি। মাঠে যাওয়ার সুযোগ না পেয়ে রেডিও খুলে তওফিক আজিজ খান, আবদুল হামিদ, আতাউল হক মল্লিক, মঞ্জুর হাসান মিন্টু, খোদা বক্স মৃধা প্রমুখের ধারাভাষ্যে আবাহনী-মোহামেডানের খেলা উপভোগ করার আনন্দ আজ কোথায়? যারা মাঠে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তারা তো ভাগ্যবান। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে চিৎকার, হৈ চৈ,  কখনও মারামারির ঐতিহ্য হারিয়েই গেছে। সেই সময়ের সুপারস্টার সালাউদ্দিনের হাত ধরেই আমরা এই জনপ্রিয় ফুটবলকে নিয়ে গেছি পেছনের দিকে। গত এক যুগে আন্তর্জাতিক অঙ্গন দূরের কথা জনপ্রিয় আবাহনী মোহামেডানের খেলা কবে- কখন হয় তার খবর রাখে খুব কম বাঙালী। আবাহনী-মোহামেডানের পাশাপাশি শেখ রাসেল, শেখ জামাল ক্রীড়া চক্র এবং বসুন্ধরা কিংয়ের মতো ক্লাবপাড়ায় নতুন নাম যুক্ত হলেও ফুটবলের ঐতিহ্য ফিরেনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একের পর এক ব্যর্থতা ফুটবলকে নিয়ে গেছে প্রায় আঁতুড় ঘরে। এবার সাবিনারা সাফ জিতে কিছুটা হলেও সেই আক্ষেপ পূরণের চেষ্টা করেছে।
প্রতিটি বিজয়ে আমরা আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠি। সারা রাত ধরে উদ্যাপন করি। অল্প সময়ের মধ্যেই আবার হারিয়ে যায় সেই আনন্দের ছোঁয়া। আমরা এগোতে পারি না। ধরে রাখতে পারি না সাফল্য। চরমভাবাপন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, প্রতিকূল পরিবেশ এবং আর্থিক অনটনের মধ্যেও আফগান ক্রিকেট অতি অল্প সময়ে এগিয়েছে অনেক দূর। স্বয়ং সরকার প্রধানের আনুকূল্য-উৎসাহ, অর্থের প্রাচুর্য এবং খেলাপাগল বাঙালীর সমর্থনের জোয়ারেও আমাদের ক্রিকেট এগুতে পারছে না খুব একটা। এক পা এগুলে পিছিয়ে যাচ্ছে দুই পা। ক্রীড়া বিশ্লেষকদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা ও নেতৃত্বের দুর্বলতায় আমরা পাচ্ছি না কাক্সিক্ষত সাফল্য। সাবিনাদের বিজয়ে তৈরি হওয়া উৎসব আনন্দের ঢেউ আমরা মিলিয়ে দিতে চাই না। এই ঢেউ অব্যাহত রাখার জন্য সানজিদার স্ট্যাটাসটি আমাদের বিশ্লেষণ করা জরুরী।
স্ট্যাটাসের প্রথম দুই লাইন, ‘যারা আমাদের এই স্বপ্নটাকে আলিঙ্গন করার জন্য উৎসুক হয়ে আছেন সেই সকল স্বপ্ন সারথিদের জন্য এটি আমরা জিততে চাই। নিরঙ্কুশ সমর্থনের প্রতিদান আমরা দিতে চাই।’ তিনি ঠিক ভাবেই পাঠ করতে পেরেছেন বাঙালীর মনের কথা, আকাক্সক্ষার ব্যাপ্তি, স্বপ্ন-সাধের পরিসর। একই সঙ্গে তিনি বুঝতে পেরেছেন তাদের প্রতি ক্রীড়াপাগল মানুষগুলোর আন্তরিক সমর্থন। তাঁরা  নেপালের সঙ্গে ফাইনাল খেলাটা জিততে চেয়েছেন লক্ষ কোটি স্বপ্ন সারথি বাঙালীর জন্য। গভীর আত্মপ্রত্যয় এবং প্রাণান্ত চেষ্টায় তারা পেরেছেন বাঙালীর আকাশছোঁয়া স্বপ্ন স্পর্শ করতে। সমর্থনের শতভাগ প্রতিদান দিতে পেরেছেন বীর বাঙালী ললনারা। পেরেছেন উৎসব-আনন্দ বঞ্চিত জাতিকে উদ্যাপন উপহার দিতে।
তাঁর দ্বিতীয় লাইন ‘ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনীকে এক পাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে তাদের জন্য এটি জিততে চাই।’ সাবিনা-কৃষ্ণাদের চাওয়া-পাওয়া আকাশছোঁয়া নয়। তারা ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসের সংবর্ধনার প্রত্যাশাও করেন না। তাঁরা চান শুধু সম্মান। নারী খেলোয়াড়দের লাঞ্ছনা-বঞ্চনা থেকে মুক্তি। সানজিদার হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া স্ট্যাটাসে মনে পড়ছে ২০১৬ সালের কথা। এএফসি অনুর্ধ ১৬ ফুটবলে মোটামুটি এই দলটিরই প্রথম পর্বে সাফল্যের পর তারা বাড়ি ফিরছিলেন। এত বড় সাফল্যের পরও ফুটবল ফেডারেশন তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে পারেনি। ময়মনসিংহের কলসিন্দুর গ্রামে তাদের ফিরতে হয়েছিল লোকাল বাসে। সেদিন যুব ফুটবলের ৯ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে বাসে কয়েকজন যাত্রী যে অসভ্য আচরণ করেছিল তা আজও এই মেয়েদের মনে ক্ষত হয়ে রয়েছে। কয়েকজন যাত্রীও তাদের পক্ষে কথা বলে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন। অপরাধ ছিল মেয়ে হয়েও তারা ফুটবল খেলছে। সেই ৯ জনের মধ্যে সম্ভবত সানজিদাও ছিলেন। সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি হয়ত এমন হৃদয়ছোঁয়া স্ট্যাটাস লেখার পাশাপাশি খেলায় জিততে তাদেরকে সাহায্য করেছিল। রাষ্ট্র, ফুটবল ফেডারেশন এবং দেশবাসীর প্রতি তাদের আবেদন, ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসের প্রয়োজন নয়, সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলের জন্য সবাই যেন সোচ্চার হয়।
মেয়েদের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হবার পর প্রচার মাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদ আসছে, কত প্রতিকূল পরিবেশে প্রমীলারা বেড়ে উঠেছে, খেলাটা ধরে রেখে এগিয়েছে। মাঠে অনুশীলনেও এসেছে বাধা। সমাজের চোখরাঙানি অবজ্ঞা করে তারা মাঠে খেলেছেন, অনুশীলন করেছেন। কঠিন পরিস্থিতিতেও তাদের পাশে ছিলেন কয়েকজন প্রশিক্ষক। কলসিন্দুর গ্রামের মফিজউদ্দিন, সাতক্ষীরার প্রয়াত আকবর আলী, রংপুরের মিলন খান এবং হারুন অর রশীদ, রাঙ্গামাটির শান্তিমণি চাকমা ও বীরসেনা চাকমা, টাঙ্গাইলের গোলাম রায়হান। এরাই তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন সাবিনা, কৃষ্ণা, সানজিদাদের। বন্ধু বান্ধবের টিপ্পনী সহ্য করে এদের চ্যাম্পিয়ন করে তুলেছেন গোলাম রাব্বানী। সানজিদার স্ট্যাটাসে তারাও বাদ পড়েননি। সমাজের টিপ্পনী সহ্য করে যারা এই মেয়েগুলোকে এগিয়ে দিয়েছেন তাদের জন্যও জিততে চেয়েছেন সানজিদা। আজ তারা সকল লাঞ্ছনা-গঞ্জনার জবাব দিতে পেরেছেন। সবই ভুলে গেছেন। বুক ভরে গেছে এই বিজয়ে।       
বিজয়ের পর অবশ্য দৃশ্যপটের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। যারা তখন ছিলেন সমালোচনায় মুখর, তারাই এখন প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন। যারা অতীতে বাধা দিয়েছেন তারাই এখন সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছেন। বিজয় মিছিলে সবাই আজ একাকার। কেউ টিপ্পনী কাটছে না, কেউ ভ্রু কুঁচকে তাকাচ্ছে না তাদের দিকে। লাখো মানুষের বিজয় মিছিলে ভেসে গেছে সকল অপচেষ্টা। রাষ্ট্র, ফুটবল ফেডারেশন এবং আমাদের সবাইকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। বিজয়ের পথ ধরে আমাদের তৈরি করতে হবে এগিয়ে যাবার পথ। মেয়েদেরকে ছুঁতে পারা সবুজ ঘাসের সংস্পর্শ অব্যাহত রাখার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সানজিদা তার স্ট্যাটাসে এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন।  শেষ দিকে তিনি বলেন, আমাদের এই সাফল্য হয়ত আরও নতুন কিছু সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া পেতে সাহায্য করবে। অনুজদের বন্ধুর এই রাস্তাটুকু কিছু হলেও সহজ করে দিয়ে যেতে চাই।’
সানজিদার এই ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হয়েছে। কথা রেখেছেন তারা। অনুজদের বন্ধুর পথ এখন অনেকটাই সহজ। আরও সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়াদের জন্ম নিতে এখন খুব একটা সমস্যা হবে না। শুধু ধরে রাখতে হবে এই বিজয়ের ঝাঞ্জা। বিজয়ের মহাসড়ক ধরে  মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও হয়ত এগিয়ে যেতে পারবে। শুধু তাদের চেনাতে হবে সঠিক পথ। ফুটবল পাগল বাঙালীর এক সময়ের সুপার স্টার কাজী সালাউদ্দিন ফুটবলের জন্য অনেক করেছেন। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। এক জনের জ্ঞান ও সামর্থ্যরে সীমাবদ্ধতা থাকে। পরিবর্তনের ধারা তাই চিরায়ত। ফুটবল প্রশাসনেও পরিবর্তন আসতে হবে। খুলে দিতে হবে দ্বার। সুযোগ করে দিতে হবে কাজী সালাউদ্দিনের মতো আরও অনেক প্রতিভাকে। হয়ত গোলাম রাব্বানীর মতো এমন কেউ অপেক্ষা করছেন, যার হাত ধরে এগিয়ে যাবেন জামাল ভুইয়া, বিশ^নাথ ঘোষ, মামুনুলরা। সাবিনাদের মতো জামাল ভুইয়ারাও আমাদের ভাসাতে পারবেন আনন্দ জোয়ারে।
সানজিদা প্রত্যাশা না করলেও তাদেরকে ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশের লাখ লাখ মানুষ তাদের প্রাণখোলা সংবর্ধনা জানিয়ে বরণ করেছে স্বদেশে। এই কালজয়ী স্ট্যাটাসের পর যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের উদ্যোগে রাতারাতি ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসের ব্যবস্থা করা হয়। ছাদখোলা বাসে করে সাবিনা-কৃষ্ণা-সানজিদারা বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনে যান। সে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ৩০ মিনিটের রাস্তা পার হতে তাদের লেগে যায় চার ঘণ্টা।

হাজার হাজার ক্রীড়াপাগল বাঙালী রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি উদ্যাপন করেন সাফ প্রমীলা ফুটবল বিজয়ের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে বিজয়ী মেয়েদের অভিবাদন জানান দেশের অনেক সেলিব্রেটি, বিশিষ্টজন এবং সাধারণ মানুষ। ফুলে ফুলে ভরিয়ে দেয়া হয় তাদের। এমন উদ্যাপন বহুদিন বাঙালী দেখেনি। সারাদেশের মানুষ টিভির পর্দায় উপভোগ করেন এই অভাবনীয় দৃশ্য। এই মুহূর্তে দেশে নেই দেশের প্রধান ক্রীড়ামোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন সাবিনা কৃষ্ণারা দেশবাসীর উষ্ণ অভিনন্দনে সিক্ত হচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে আরও বড় কোন উদ্যাপনে ভাসবে বাঙালী।  
উদ্যাপন হতে থাকুক। বিজয় কিভাবে এসেছে এই প্রশ্ন আজ একেবারেই নয়। আজ শুধু উদ্যাপনেরই পালা। আনন্দ-উদ্যাপনেই রচনা করতে হবে ভবিষ্যতের মহাসড়ক। এগিয়ে যেতে হবে অনেক দূর। এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু দুর্মুখ ব্যক্তি নানা কথা বলার চেষ্টা করছেন। তাদের আওয়াজ অবশ্য খুবই ক্ষীণ। এই আওয়াজ আরও ক্ষীণ হয়ে যাবে। প্রমীলাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এরা আর খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। সুযোগ যখন এসেছে তা কাজে লাগাতে হবে। ধরে রাখতে হবে বিজয়ের পতাকা। কিছুতেই হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না এই গৌরবগাথা। সানজিদার এই ফুটবল দর্শন কাজে লাগাতে পারলে আমাদের মেয়েরা একদিন নিশ্চয়ই বিশ্বজয়ের সাহস দেখাবে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, জনকণ্ঠ

×