ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু

ড. মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ১৯ আগস্ট ২০২২

দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু

দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু

মানব ইতিহাসে ক্ষমতার পালাবদলে মারামারি-হানাহানি নতুন কোন ঘটনা নয়কয়েক শবছর আগেও যুদ্ধ-বিগ্রহ কিংবা রক্তপাত ব্যতিরেকে ক্ষমতার পট-পরিবর্তন হতে পারে- এমনটি ভাবাও ছিল দুষ্করএমনকি, ক্ষমতার উত্তরাধিকারের দাবিতে একই রাজ-পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কলহ-বিবাদ এবং ক্ষেত্রবিশেষে পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ অনেকটাই নৈমিত্তিক ঘটনা ছিলঅধুনা বিশ্ব পরিম-লে শিক্ষা-দীক্ষায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি এবং বিশ্বের একটি উল্লেখযোগ্য অংশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হাতবদলের ব্যবস্থা প্রবর্তিত হওয়ার ফলে এ ধরনের রক্তপাতের ঘটনা কমে আসে

তবে একেবারে যে বন্ধ হয়ে গেছে তা কিন্তু নয়৭৫-এর ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডির বিশেষত্ব হলো, সেদিন বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র রাসেলসহ তাঁর স্ত্রী, পুত্র কিংবা পুত্রবধূ- কেউই ঘাতকের নির্মম বুলেট থেকে রেহাই পাননিশুধু দুইকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাঁদের পরিবারবর্গ দেশের বাইরে থাকার সুবাদে ভাগ্যগুণে বেঁচে যানইতিহাসে এ রকম নির্মম হত্যাকা-ের নজির খুব বেশি পাওয়া যাবে না

ইতিহাসের মানদ-ে আগস্ট ট্র্যাজেডির বিচার করতে গিয়ে ঐতিহাসিক ও রাজনীতিকগণ হয়ত নিজ নিজ অবস্থান থেকে বহু-মাত্রিক বিশ্লেষণ হাজির করবেনতবে বাংলাদেশ নামের এ ভূখ-টি যতদিন তার স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকবে, আগস্ট এদেশের মানুষের কাছে ফি বছর বিশেষ ব্যঞ্জনা নিয়ে উপস্থিত হবেকিন্তু কেন? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিশ্চিতরূপে এটাই যে, এদেশের মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার সুতীব্র আকাক্সক্ষা জাগরিত করে বঙ্গবন্ধু যেভাবে ৭১-এ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অনিবার্য করে তুলেছিলেন, তা তাঁকে বাঙালী জাতির সহস্র বছরের ইতিহাসে এক অবিসংবাদিত মহানায়কে পরিণত করে

২০০৪ সালে বিবিসি বাংলা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালীনির্বাচনে এক শ্রোতা জরিপের আয়োজন করে এবং শীর্ষ ২০ জনের একটি তালিকা তৈরি করে, যাতে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে শীর্ষস্থান লাভ করেছেনমজার বিষয় হলো, বঙ্গবন্ধু তার পরে তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পাওয়া রবিঠাকুরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পয়েন্ট লাভ করেনব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে পরবর্তীতে পাকিস্তান রাষ্ট্রে এ ভূভাগের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানীর মতো অনেক বড় মাপের নেতার দেখা পেয়েছে, যাদের প্রত্যেকেই ছিলেন নিজ নিজ কীর্তিগুণে এক একজন মহীরুহ

কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির এক মাহেন্দ্রক্ষণে তাঁর সময়োচিত কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে যেভাবে এ ভূভাগের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষাকে ভাষা দিতে পেরেছিলেন, তা তাঁকে জনপ্রিয়তার এমন এক উচ্চ শিখরে উন্নীত করেছিল, যা এদেশের মানুষ এর আগে কখনও দেখেনি, ভবিষ্যতেও হয়ত দেখবে না

যুদ্ধ শেষে মুক্ত বঙ্গবন্ধু যখন তাঁর পর্বতপ্রমাণ জনপ্রিয়তা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন, তাঁর ওপর যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিতে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে এটিকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়এই গুরুদায়িত্ব পালনে তাঁর দুঃখজনক হত্যাকা-ের আগ পর্যন্ত তিনি সাকল্যে সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মতোইতিহাসের বিস্তারিত বিশ্লেষণে যাওয়ার সুযোগ এখানে নেইতবে কিছু সমালোচনা ও ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও এটুকু বললে অত্যুক্তি হবে না যে, মোটা দাগে তিনি সঠিক পথেই এগুনোর চেষ্টা করেছিলেন

প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর সামনে সম্ভবত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করাযুদ্ধের সময় যারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন, তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের প্রায় সকলেই অস্ত্র ফিরিয়ে দেনখুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হনস্বল্পতম সময়ের মধ্যে তিনি দেশকে একটি সংবিধান উপহার দেনসময়ের পরিক্রমায় এই সংবিধানে নানাবিধ কাটাছেঁড়া হলেও অদ্যাবধি এটিই এদেশে সাংবিধানিক শাসনের ভিত্তিভূমি হিসেবে কাজ করছে

বঙ্গবন্ধু জানতেন, এ জাতিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে শিক্ষাই হবে সবচেয়ে বড় অস্ত্রতাই, শিক্ষার ভিত্তিমূলকে মজবুত করার প্রয়াসে তিনি প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা চালু করে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের ব্যবস্থা করেনপাশাপাশি, মুক্ত পরিবেশে নির্বিঘেœ জ্ঞানচর্চার সুযোগ করে দিতে তিনি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেনবিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আর্থিক বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রতিষ্ঠা করেন

উচ্চতর মেডিক্যাল শিক্ষা ও গবেষণার পথ সুগম করতে তিনি তকালীন ইনস্টিটিউট অব পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল রিসার্চ (আইপিজিএমআর)- আজকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ)-এর শয্যা সংখ্যা ৩০০ থেকে ৫০০-এ উন্নীত করে একে বৃহত্তর কলেবর প্রদান করেনএছাড়া, প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) প্রতিষ্ঠা করেনদেশে ধর্মচর্চা ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি যথাযথ গুরুত্বারোপ করে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন করেন

বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, কৃষি ও কৃষকরাই এদেশের অর্থনীতির মূল শক্তিএ কারণে কৃষি ক্ষেত্রে প্রণোদনা দানে তিনি অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল কৃষকদের বিএডিসির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে সার ও সেচযন্ত্র বিতরণের ব্যবস্থা করাকৃষি গবেষণার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে সমন্বয়ের জন্য তিনি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) প্রতিষ্ঠা করেন

জ্বালানি খাতেও বঙ্গবন্ধু বিশেষ গুরুত্বারোপ করেনতৈল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ অনুসন্ধান, উত্তোলন ও ব্যবহারের লক্ষ্যে তিনি নিজস্ব ও জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ মিনারেল, এক্সপ্লোরেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (বিএমইডিসি) এবং খনিজ তেল ও গ্যাস খাতকে নিয়ে বাংলাদেশ মিনারেল, অয়েল এ্যান্ড গ্যাস কর্পোরেশন (বিএমওজিসি) গঠন করেনএর ফলে তাঁর সময়কালেই আটটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়শিল্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছুটা সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, তবে অনেকটা অবাঙালী শিল্পপতিদের অর্থকড়ি সমেত দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট শূন্যতা পূরণে, বঙ্গবন্ধু বৃহ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হনকিন্তু, সীমিত শাসনকাল, ব্যবস্থাপনায় অনভিজ্ঞতা, বহির্বিশ্বের পরিস্থিতিসহ অভ্যন্তরীণ নানা সঙ্কটের কারণে এ লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হয়

পররাষ্ট্র নীতিতে বঙ্গবন্ধু সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’- এই মূলনীতি গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশকে জাতিসংঘসহ প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হনপাকিস্তানের প্ররোচনায় দেশের জন্মলগ্ন থেকে মুসলিম বিশ্বের একটি বড় অংশের সঙ্গে যে টানাপড়েন চলছিল, তা তিনি বহুলাংশে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন এবং ওআইসির সদস্যপদ অর্জন করেনতবে, এজন্য তাঁকে কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও আজন্ম শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে একটি বোঝাপড়ায় আসতে হয়

এই স্ট্র্যাটেজির অংশ হিসেবে তিনি ৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেনএকই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ৭৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশে ৭১-এর গণহত্যার নেপথ্য কুশীলব তকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোও বাংলাদেশ সফরে আসেন

একজন জাতীয় নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ গড়ার প্রয়োজনীয়তা সম্যক উপলব্ধি করেছিলেনএ কারণে সব ধরনের বিরোধ ভুলে তিনি সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস নেনবহির্বিশ্বে যেমন তিনি সবার প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, দেশাভ্যন্তরেও তেমনি স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতের মুঠোয় পেয়েও তাদের প্রতি ঔদার্য প্রদর্শন করেছিলেনরক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনকারী একটি দেশের প্রধানের জন্য এমন মহানুভবতা প্রদর্শন খুব সহজ বিষয় ছিল না, তবে পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক দেশেই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বাস্তববাদী নেতাদের দেশ ও জাতির পুনর্গঠনের প্রয়োজনে সমঝোতার পথে হাঁটতে দেখা গেছে

সাম্প্রতিক ইতিহাসে এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো গৃহযুদ্ধ পরবর্তী দক্ষিণ আফ্রিকা, যেখানে নেলসন ম্যান্ডেলাকে তাঁর বিরোধীদের প্রতি অতীত ভুলে গিয়ে অকাতরে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যায়

এভাবে, বলা চলে, সদ্য স্বাধীন এই দেশের গতিধারা ঠিক করে দিতে বঙ্গবন্ধু প্রয়োজন মাফিক সব ক্ষেত্রেই হাত দিয়েছিলেনএদেশের মানুষ বিশ্বের দরবারে গর্বিত বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে, এটাই ছিল তাঁর নিরন্তর কামনাতবে, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে রাতারাতি পাল্টে দেয়ার মতো কোন আলাদীনের চেরাগ তাঁর হাতে ছিল নাকিছু লোকের দুর্নীতি ও ক্ষেত্রবিশেষে সমন্বয়ের অভাবও তাঁর প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করে

বহুদলীয় গণতন্ত্রের সুবাদে দেখা দিতে শুরু করে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জওদেশের বিভিন্ন জায়গায় কিছু সশস্ত্র গ্রুপ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেএমতাবস্থায়, বঙ্গবন্ধু সব দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাকশাল গঠন করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেনসন্দেহ নেই, তাঁর উদ্দেশ্য মহ ছিল, কিন্তু সমালোচকরা এখানে গণতন্ত্রের ইতি দেখতে শুরু করে এবং তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই ইস্যুটিকে একটি মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াস পায়খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ১৫ আগস্টের দুঃখজনক ঘটনায় তাঁর কর্মময় জীবনের অকাল পরিসমাপ্তি ঘটেফলে, তাঁর এ উদ্যোগ কতটুকু ফলবতী হতো তা দেখার মতো যথেষ্ট সময় মেলেনি

এ কারণে এটা নিয়ে হয়ত বা প্রশ্ন থেকেই যাবেগত ৫০ বছরে বিভিন্ন আঙ্গিকে দেশের প্রভূত উন্নতি হয়েছেকিন্তু বঙ্গবন্ধু যে ঐক্যবদ্ধ, স্বাধীন, স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন, তার কতটুকু অর্জিত হয়েছে? এজন্য মতপার্থক্য কমিয়ে এনে সর্বস্তরের জনতার মধ্যে যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন, তাঁর মতো সেই উপলব্ধি কি আমাদের মাঝেও কাজ করছে বর্তমানে?

 

লেখক : অধ্যাপক ও সভাপতি ফার্মেসি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

×